দেশে অমঙ্গল নেই, যেটুকু আছে তা-ও দূর হয়ে যাবে : প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে অমঙ্গল নেই, যেটুকু আছে তা-ও দূর হয়ে যাবে : প্রেসসচিব
সংগৃহীত ছবি

দেশ থেকে অমঙ্গল দূর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, দেশ থেকে ইতিমধ্যে অমঙ্গল দূর হয়ে গেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের চেষ্টা করছি। যেটুকু অশুভ আছে, তা-ও দূর হয়ে যাবে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রমনার বটমূলে বর্ষবরণ উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

 

প্রেসসচিব বলেন, নতুন বাংলাদেশে নববর্ষের উৎসব একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সবাই সকাল থেকে খুব আনন্দে আছি। নববর্ষকে বরণ করছি।

আমাদের ইচ্ছা ছিল আমরা সবাই সমতল ও পাহাড়ের জাতি-গোষ্ঠী সবাই মিলে একসঙ্গে মিলে আনন্দ করব, আনন্দ ভাগাভাগি করব। এটা হয়েছে।

এ সময় দেশের উত্তরোত্তর উন্নতির প্রচেষ্টার কথাও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব।

এর আগে সকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এবারের বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। শুধু দেশের মানুষই নন, নতুন বছরের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ মেতে উঠেন বিদেশি শিক্ষার্থী ও পর্যটকরাও। 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাতের সময় নির্ধারণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাতের সময় নির্ধারণ

ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্ব ঈদুল আজহা উদযাপন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।


 

মন্তব্য

এক মাসের মধ্যে মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এক মাসের মধ্যে মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দাবি

উচ্চ আদালতে আগামী এক মাসের মধ্যে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আপিল শুনানি শেষে রায় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক্স ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে রায় দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি কার্যকর করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। 

‎শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন সংগঠনটির সদস্যরা। 

সংবাদ সম্মেলনে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় দেওয়া হয়।

রায়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ কার্যদিবসে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। 

বর্তমানে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলমান রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করতে হবে।

সেই সঙ্গে রায় ঘোষণার পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের সাবেক সহকর্মী হত্যার রায় কার্যকর করার দাবিতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন বলেন, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড ছাড়াও স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে প্রদীপ কুমার দাশ তার কর্মকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেকনাফে এক ভয়ভীতির রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি তথাকথিত ক্রসফায়ারে অন্তত ১৪৫ জনকে হত্যা করেছেন ও ক্রসফায়ার বাণিজ্যের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন। এমনকি, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় এক নারীর জমি দখলের চেষ্টা করায় তিনি বরখাস্তও হয়েছিলেন। ‎এসপি মাসুদের মতো অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাসহ কালো টাকার মালিকরা শত বাধা দেওয়া সত্ত্বেও প্রায় ১৮ মাসব্যাপী বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার রায় দেন।

‎তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে পলাতক ফ্যাসিস্টদের দোসর ইয়াবা ব্যবসায়ী বদিদের মতো অপরাধী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির দীর্ঘদিনের সংশ্লিষ্টতা ছিল, যা বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত করেছে।

তাই আমরা জুডিশিয়ারি, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিস্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি, প্রলোভন বা রাজনৈতিক চাপ যেন আপনাদের প্রভাবিত করতে না পারে। একই সাথে আমরা শিশু আছিয়া, পারভেজ ও তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ জুলাই-আগস্টে গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম ‎দ্রুততার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখছি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে যেকোনো চাপ উপেক্ষা করে বিচারিক ‎কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছি।

‎এসময় কোনো বিচারে যেন বৈষম্য না হয় সে দাবি করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এছাড়া বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার সমালোচনা করেন তারা। সদস্যরা বলেন, সিনহা হত্যা মামলার রায় এদিক সেদিক করতে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

‎এসময় তারা অভিযোগ তুলে বলেন, কিছু সুশীল স্বশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। অথচ জনগণের হয়েই কাজ করে সেনাবাহিনী। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট করলেন সাখাওয়াত, আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডোর (অব.) মেহেদি, উপসংগঠক সৈনিক নাইমুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মেজর রাজিবুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ক্যাপ্টেন (অব.) শুভ আফ্রিকা, সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা সাঈদ আলী প্রমুখ।
 

মন্তব্য

সরকারের দেওয়া ভর্তুকির সুফল পাচ্ছে না কৃষক, অভিযোগ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারের দেওয়া ভর্তুকির সুফল পাচ্ছে না কৃষক, অভিযোগ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

দুই দশক আগেও কৃষিতে ভর্তুকি ছিল দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা। সেই ভর্তুকির অর্থ গত অর্থবছরে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এমনকি গত ১৬ অর্থবছরে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, যার বেশির ভাগই মেরে দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

বছরে দেড় লাখের বেশি মৃত্যু, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বছরে দেড় লাখের বেশি মৃত্যু, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবি

দেশে তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এমন মৃত্যুকে জাতির জন্য হুমকি উল্লেখ করে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করাসহ দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের দাবি জানানো হয়।

গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত এক সেমিনারে এসব দাবি জানানো হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনেক পুরনো এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার রোধ করতে পারছে না।

সেমিনারে বক্তারা দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে প্রধান দাবিগুলো হলো- সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, ভেপ/ই-সিগারেটের মতো নতুন পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক কম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশ করা।

সেমিনারের আগে অংশগ্রহণকারীরা প্রতীকী হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে পদযাত্রা ও স্বাক্ষর অভিযান পরিচালনা করেন, যা সরকারের প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের আহ্বান হিসেবে পাঠানো হবে। সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সংশোধনের দাবি তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মকে এই আন্দোলনের অংশ করে তোলা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ