বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় মালয়েশিয়াপ্রবাসী অধ্যাপক সাইদুর

মোহাম্মদ আলী, মালয়েশিয়া
মোহাম্মদ আলী, মালয়েশিয়া
শেয়ার
বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় মালয়েশিয়াপ্রবাসী অধ্যাপক সাইদুর

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় আবারও স্থান করে নিয়েছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যাপক সাইদুর রহমান। অসাধারণ গবেষণাকর্মের জন্য চলতি বছর (২০২৫) এডি সায়েন্টিফিক র‍্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ বিশ্বের ৩৩ হাজার ৫১১ বিজ্ঞানী এইচ-ইনডেক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি/মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং ২০২৫ প্রকাশ করে। এর মধ্যে তালিকায় সাত নম্বরে থাকলেও এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন অধ্যাপক সাইদুর।

এর আগে ২০২৪ সালের স্কলারজিপিএস অনুসারে সানওয়ে ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইদুর রহমান সাসটেইনেবল এনার্জি বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। একই বছরে স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ারের বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যেও এনার্জি বিষয়ক গবেষণাক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’-এর সমন্বিত জরিপে এ তালিকা প্রকাশ করে। বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচক বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়।

গুগল স্কলারের বিশ্লেষণ অনুসারে তার এইচ-ইনডেক্স ১৩৯ এবং ৭৬ হাজারেরও বেশি উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার কৃতী সন্তান সাইদুর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন।

২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাইদুর রহমান বিশ্বসেরা গবেষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সাইদুর রহমান ২০২৪ সালে ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’-এর প্রকাশিত তালিকায় মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন ১ নম্বরে। তিনি রিসার্চ ডটকম এবং স্কলার জিপিএস গবেষণা বিশ্লেষণেও এক নম্বর গবেষক হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন।

তার অসামান্য গবেষণা দক্ষতার জন্য সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিসটিঙ্গুইশড রিসার্চ প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, যা শুধু শীর্ষ গবেষকদের মধ্যে দেওয়া একটি মর্যাদাপূর্ণ পদ। ওয়েব অব সায়েন্স ন্যানোফ্লুয়েড গবেষণায় তিনি বিশ্বের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

অধ্যাপক সাইদুর রহমান সানওয়ে ইউনিভার্সিটিতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ল্যাব তৈরি করেছেন।

এই ল্যাবটি অ্যাডভান্সড ম্যাটারিয়াল ডেভেলপমেন্ট এবং এনার্জি ট্রান্সফার, সৌর এনার্জি, এনার্জি স্টোরেজ, ক্লিন ওয়াটার ডেভেলপমেন্টে ব্যবহার করা হয়।

২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানকে সিআইপি সম্মাননাও প্রদান করে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিউইয়র্কে মধ্যরাতে বাংলাদেশির বাড়িতে আগুন, ৩ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিউইয়র্কে মধ্যরাতে বাংলাদেশির বাড়িতে আগুন, ৩ জনের মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার মধ্যরাতে জামাইকাস্থ বাংলাদেশি মিজবাহ মাহমুদের বাড়িতে লাগা আগুনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় দমকল বাহিনীর এক সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরো চারজন। যার মধ্যে দুজন বাংলাদেশি।

মৃত সবাই মেক্সিকান নাগরিক বলে জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ নিহতদের নাম প্রকাশ করেনি। বাড়ির মালিক প্রবাসী বাংলাদেশি মিজবাহ ব্রংকসের জ্যাকোবী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

এলাকাবাসী বলছেন, বাড়িটিতে ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি লোক থাকতেন। অনেকে ছিলেন ব্যাচেলর।

মন্তব্য

বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, কোথায় অভিযোগ করলে মিলবে প্রতিকার?

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, কোথায় অভিযোগ করলে মিলবে প্রতিকার?
সংগৃহীত ছবি

বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতিনিয়ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র। বিশেষ করে দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন হাজার হাজার বিদেশগামী। বিদেশে যাওয়ার জন্য ঋণ করে দালাল ও এজেন্সির কাছে টাকা দিলেও সময়মতো অনেকে বিদেশ যেতে পারেন না। বরং সেই টাকার জন্য মাসের পর মাস দালালের পিছনে ঘুরতে হয়।

অনেক সময় বিদেশগামীরা নানা হয়রানিরও শিকার হোন।

তবে বিদেশে পাঠানোর নামে কেউ প্রতারণা করলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে অভিযোগ করা যায়। কিন্তু এই বিষয়টি অনেকেই জানেন না। যেহেতু গ্রামঞ্চাল থেকে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, তাই এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেকেই অবহিত নন।

তবে বিএমইটিতে অভিযোগ করলে খুব সহজেই সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়।

দুই উপায়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে অভিযোগ করা যায়। প্রথমত, রাজধানীর কাকরাইলের বিএমইটি অফিসে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত অনলাইনেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে পারবেন।

অনলাইনে অভিযোগ করতে বিএমইটি ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন অভিযোগ ফরমটি পূরণ করতে হবে।

যেখানে ভুক্তভোগীর তথ্য, অভিযোগের বিবরণ ও ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা/এনওসি, নিয়োগপত্র, টাকার রসিদ , ফাইল , ভিডিও (সর্বোচ্চ ১০ mb ) , অডিও (সর্বোচ্চ ১০ mb ) ইত্যাদি জমা দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ হওয়ার বিএমইটি অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডেকে পাঠাবেন। উভয় পক্ষের মধ্যে শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করবেন।

অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি রাজধানীর কাকরাইলের বিএমইটি অফিসে গিয়ে সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে একটি ফরম ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে। যেখানে উল্লিখিত সকল বিষয়াদি লিখে জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াই গেলে এজেন্সি যে অর্থ নিয়ে থাকে সেই অর্থ ভুক্তভোগীরা ফেরত পাবেন।

মন্তব্য

৪০ দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৪০ দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি
সংগৃহীত ছবি

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসীরা যাতে ভোটে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য ‘প্রক্সি’ ভোটিং পদ্ধতিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নানা কারণে এই কার্যক্রমে প্রবাসীদের তেমন সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমকর্তারা।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়া; এই সাতটি দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করে দূতাবাসে এসে ফটো তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে কার্যক্রমটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, সাতটি দেশ থেকে মোট আবেদন পড়েছে ৪২ হাজার ২৬৯টি।

যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তিন হাজার ৪০১টি আবেদন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে ২০ হাজার ১৮৪টি আবেদন। তদন্ত শেষে আবেদন অনুমোদন হয়েছে ১৭ হাজার ৬০৭ জনের। অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ৪৫৭ জনের আবেদন।
আর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙুলের ছাপ ও ছবি নেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ১২৮ জনের। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮ হাজার ৫৮৯টি। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে মালয়েশিয়ায় ৭৮৪ জন। গত বছরের মে থেকে এই আবেদনগুলো এসেছে।

নির্বাচন কমিশন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বেশি থাকেন।

এসব দেশের বিষয় মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো— সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্দান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিসর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস। এসব দেশে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ জন প্রবাসী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে- দুই হাজার ৫০০ জন।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ওই ৪০টি দেশেই কার্যক্রমটি সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তা হাতে নিতে হচ্ছে। তবে যেসব দেশে কার্যক্রম চলমান, সেখান থেকেও খুব একটা সাড়া মিলছে না।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পাসপোর্ট। কেননা, বৈধ পাসপোর্টধারী ছাড়া কারো আবেদন তারা আমলে নিচ্ছে না। এ ছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানও একটা কারণ। অন্যদিকে অনেকেই নিরক্ষর হওয়ার কারণেও আসছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রবাসীদের অধিকাংশই কাজের জন্য বিদেশ গিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কাজ সেরে বা কাজের ফাঁকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে ভোটার হওয়া অনেকের জন্যই প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি হয়তো ভোটার হতে চান, আর তার কর্মক্ষেত্রে হয়তো কোনো রিমোট অঞ্চলে, তাহলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের রাজধানীতে স্থাপিত আমাদের দূতাবাসে এসে ভোটার হতে চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক।

আবার অনেকেই প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। হয়তো ভুয়া কাগজ বানিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন আর সঠিক কাগজ দেখাতে পারছেন না। ফলে সেটাও আইনের বরখেলাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকের আগ্রহ থাকলেও ভোটার করে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই কার্যক্রম সেভাবে এগোচ্ছে না।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সাতটি দেশে ভোটার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের আমাদের দূতাবাসের লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা একটা নির্দিষ্ট ফি নিয়ে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অর্থাৎ তারা অনলাইনের তথ্যের ইনপুট দেওয়া, ছবি তোলা ও চোখের আইরিশ নেওয়ার কাজটি করে দিচ্ছে। এরপর সেই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেই আবেদনের সত্যতা প্রমাণে তদন্ত করছেন। তদন্তে সত্যতা মিললে সেটিকে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি। এরপর প্রবাসীর এনআইডি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে।

তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আইনের ব্যত্যয় করা যায় না। বৈধ কাগজপত্র থাকলে এবং ভোটার হতে চাইলে তার জন্য কোনো অসুবিধা নেই। খুব সহজেই ভোটার হতে পারবেন।

অন্যদিকে প্রবাসীদের অনেকেই দেশ থেকেই ভোটার হয়ে গেছেন। কেননা, যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিদেশে গিয়েছেন, তারা এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারেননি। কাজেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, প্রবাসীদের অধিকাংশেরই এনআইডি আছে এবং তারা ভোটার হয়েছেন। অন্যরা যারা হননি, তাদের জন্যই আমরা সুযোগটি সৃষ্টি করেছি। তবে বৈধ কাগজপত্র লাগবে। ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ হলে ভালো সাড়াই মিলবে বলে আশা করি।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতে এসে রবিবার (২০ এপ্রিল) প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো পদ্ধতি পায়নি কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এ বিষয়ে ইসিসচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে ভোটার হয়ে যাবেন। আর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কমিশন পদ্ধতি খুঁজছে। এ ক্ষেত্রে তিনটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেকোনো পদ্ধতিতে ভোট হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এ ক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। সেই কার্যক্রমকেই এগিয়ে নিচ্ছে বর্তমান নাসির কমিশন।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মন্তব্য

২২ বাংলাদেশিসহ ৫০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২২ বাংলাদেশিসহ ৫০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া
সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন অপরাধে সাজা শেষে ২২ বাংলাদেশিসহ ৫০ কারাবন্দি অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। ২২ বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছেন ভিয়েতনামের ৯,  ইন্দোনেশিয়ার ৯, পাকিস্তানের ৬, ভারতীয় ২ ও চীনা ২ নাগরিক।

গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার জোহরবারু রাজ্যের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৫০ বিদেশি নাগরিকের সাজা শেষ হওয়ায় ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী বন্দিদের কেএলআই ১, ২, ও সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ার পেনাল কোড (আইন ৫৭৪), বিপজ্জনক ড্রাগস অ্যাক্ট ১৯৫২ (আইন ২৩৪), ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর বিভিন্ন অপরাধে কারাভোগ শেষে দেশটির আইন অনুযায়ী তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফেরত পাঠানো হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ