পাহাড়ে বর্ষবরণ : একসঙ্গে উদযাপন করলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাহাড়ে বর্ষবরণ : একসঙ্গে উদযাপন করলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা
ছবি : কালের কণ্ঠ

বর্ষবরণ উপলক্ষে পাহাড়ে শুরু হয়েছে নানা উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা—বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসু, বিষু অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব।

এসব উৎসবে মেতেছে উঠেছে পাহাড়ি জনপদের বাসিন্দারা। উয়ই সিং মার্মা, রবিন তঞ্চঙ্গ্যা, উ অং সিং মার্মা  মৈত্রীময়  চাকমা, পুলক চাকমা, স্বর্ণা চকমা, সিদ্ধাঙ্গনা চাকমাসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা মেতে ওঠেন উৎসব আনন্দে।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার বন্ধুরা। 

ফুল দিয়ে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে পূজা ও ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষু-এর সূচনা হয়েছে।

নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী ফুলবিজু পালন করেন চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের লোকজন। ভোর থেকেই নারী, পুরুষ ও শিশুরা রঙিন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, কলাপাতায় সাজানো ফুল নিয়ে নদীর তীরে সমবেত হন।

মোমবাতি জ্বালিয়ে ও ফুল অর্পণের মাধ্যমে অতীতের সব ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। প্রার্থনায় উঠে আসে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভবিষ্যতের সুন্দর জীবনের আকাঙ্ক্ষা।

ভোরে ফুল সংগ্রহ করে নদীতে গিয়ে ফুল নিবেদন করেছেন স্বর্ণা চাকমা। অতীতের ভুল মুছে গিয়ে আগামীর দিনগুলো মঙ্গলময় হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরে পুলক চাকমা বলেন, ‘আমরা অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করি, যেন আগামী বছর সুখ ও শান্তিতে কাটে।’

সিদ্ধাঙ্গনা চাকমা বলেন, ‘চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রতিবছরই এভাবেই সাঙ্গু নদীতে ফুল বিজু উদযাপন করে। এটি আমাদের ঐতিহ্য এবং আত্মিক শান্তির উৎস।’

বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রবিন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও সর্বাধিক আনন্দঘন উৎসব বিষু উৎসব, যা তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি এই অঞ্চলে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ বিশ্বাস, রীতি নীতির মাধ্যমে পালন করে থাকে। বিষুর প্রথম দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিষু’।

ফুল বিষু তে ‘গঙা মা’ (জলদেবী) উদ্দেশ্যে কলাপাতায় সাজানো রঙিন ফুল, জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে প্রার্থনার মাধ্যমে তারা অতীতের ভুলভ্রান্তির ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতের শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এটি শুধু একটি ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি জাতির জীবনযাত্রা, বিশ্বাস, প্রকৃতিপ্রেম ও ঐতিহ্যের মিলিত রূপ। যা আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের ঐতিহ্য, মানবতা, প্রকৃতিপ্রীতি এবং সহাবস্থানের শিক্ষা নিয়ে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে।

এই বিষু তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্যে আরো আনন্দঘন হয়ে ওঠে যখন ফুল বিষুর দিনে হাজার বছর আগে থেকে চলা ‘ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা’ সম্মিলিতভাবে আয়োজন করা হয়।

বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উয়ই সিং মার্মা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রাচীন ও প্রাণের উৎসব বিজু। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ফুল সংগ্রহ করে তা নদী, ও প্রবহমান জলধারায় ভাসিয়ে দেন। এই ফুল ভাসানো এক ধরনের উদ্দেশ্য জল-বুদ্ধ আধ্যাত্মিক প্রার্থনা, যেখানে সবাই অতীতের দুঃখ-কষ্ট মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী ও প্রবীণরা সকলে মিলে এই আয়োজনে অংশ নেয়। ফুল দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়, চারপাশে তৈরি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। এই উপলক্ষে বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত যে এবারের ফুল বিজুতে বসুন্ধরা শুভসংঘ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময়ই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে সমাজের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
শেয়ার
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
সংগৃহীত ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আওরাবুনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মনস্বিতা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম কামরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, বরিশাল অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর ফারুক হোসেন খান, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন ও দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা সংবাদদাতা মো.আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন
‘রাস্তায় চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই দোষ?’

‘রাস্তায় চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই দোষ?’

 

আওরাবুনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিবুজ্জামান সবুর। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শ্যামলী রানী বিশ্বাস, বিনয় কৃষ্ণ হাওলাদার, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিশা মেহজাবিন ও একই শ্রেণির তীর্থ রায়। 

বক্তারা জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। প্রতিবছর অসংখ্য শিশু এই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আসছে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপকুলীয় অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে, যখন নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও ডোবা পানিতে থই থই করে, তখন পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। এ কর্মশালায় সচেতনাতার মাধ্যমে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ব্যাপক আলোচনা করেন।

আরো পড়ুন
তালের টাকা জলে!

তালের টাকা জলে!

 

শিক্ষার্থী আরিশা মেহজাবিন বলে, বেশির ভাগ শিশুরা খেলতে খেলতে পুকুর, ডোবা, খালের পানিতে ডুবে মারা যায়। অভিভাবকরা যদি নজর না রাখেন, তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতে খুব বেশি সময় লাগে না।

তাই আমাদের মা-বাবাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া আমাদের বড় ভাই-বোনদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অপর শিক্ষার্থী তীর্থ রায় বলে, শিশুর বয়স ৫ বছর হলেই তাদের সাঁতার শেখানো উচিত। এর আগের বয়সী শিশুদের নজরদারিতে রাখলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।  

বিশেষ অতিথি দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা সংবাদদাতা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ১-৫ বছর বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

বিশেষ করে দুপুরের পর যখন মা-বাবা বা অভিভাবকরা কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখনই শিশুরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

বিশেষ অতিথি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ছোট শিশুরা যেহেতু সাঁতার জানে না। পানিতে পড়ে গেলে তারা আত্মরক্ষার কৌশল জানে না, তাই ডুবে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প থাকে না। এই অজ্ঞানতা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষ অতিথি ফারুক হোসেন খান বলেন, আগে অভিভাবকরা শিশুদের কোমড়ে ঘন্টা (ঝুনঝুনি) বেঁধে দিতো। এতে করে শিশুরা কোথায় যায় শব্দ শুনেই অভিভাবক শিশুদের গতিবিধি বুঝতে পারতেন। এখন কালের আবর্তে সেটি হারিয়ে গেছে। তাছাড়া অভিভাবকদের অসচেনতা, মোবাইল আশক্তি টেলিভিশনের সিরিয়ালে প্রতি এতটাই আশক্তি তাদের ছোট শিশুরা কোথায় যায়, কি করে তার খেয়াল থাকে না। ফলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

স্বাগত বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা সভাপতি সাকিবুজ্জামান সবুর বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য মতে প্রতি বছর দেশে ১৭ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু। বয়স ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১-৫ বছরের শিশুরাই ঝুঁকির মুখে থাকে। বর্ষা মৌসুম ও বন্যার সময় গ্রামাঞ্চলের ঘরের আশাপোশে পানিতে পূর্ণ থাকে। এ সময় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার শিশুদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসা না দিতে পারায় অনেক শিশু অকালে ঝড়ে যায়। এর প্রতিকারে অভিভাবকদের সচেনতাই জরুরী।

আরো পড়ুন
বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

 

প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, শিশু পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রতিরোধে পরিবারের সচেতনতা খুবই জরুরী। সেই সাথে যেসব পরিবারে ছোট ছোট শিশু রয়েছে তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যেমন পুকুর ডোবা নালার পাশে নিরাপত্ত বেষ্টনি তৈরী করা, একটু বড় হলেই সাঁতার শেখানো, নিরাপদ খেলার স্থান নিশ্চিত করা, শিশু বাহিরে থাকলে প্রতি মূহুর্তে তার প্রতি নজর রাখাসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে শিশুদের দেখে রাখা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন, একটি শিশুর প্রাণ অমূল্য। প্রতিটি মৃত্যুই একটি পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু একটি প্রতিরোধযোগ্য দুর্যোগ। সামান্য সচেতনতা, সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই এই করুণ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে অভিভাবক ও শিশুদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্তব্য

স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার
সংগৃহীত ছবি

স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‌‌‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে’ উপহার পাঠাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন তার লেখা পঞ্চাশেরও অধিক বই শুভসংঘর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’র জন্য। উপহার পাওয়া এই বই পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধিতে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘ স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বইগুলো হস্তান্তর করে।

বইগুলো স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারের প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাফায়েত রায়হান শিহাবের হাতে তুলে দেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবী মো. হাসিবুল হাসান, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তাহমিদ আরেফিন সাজিদ এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ পল্লবী থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মবিনুল হায়দার শুভ্র।

আরো পড়ুন
৯৯৯-এ ফোন দেওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

৯৯৯-এ ফোন দেওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

 

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগারের অপারেশন টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর সাফায়েত রায়হান শিহাব জানান, প্রবাদ আছে—‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’। বই অজানাকে জানায়, অচেনাকে চেনায় এবং অদেখাকে দেখায়।

এককথায় বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় কাউন্টারে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়। যা কখনো কখনো বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছায়। যাত্রীদের অপেক্ষার সময়টুকু আনন্দময় করতে উদ্যোগ নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।
 

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ এবং সিএমপির ট্রাফিক উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গড়ে তুলেছে ব্যতিক্রমী পাঠাগার। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’। 

রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ বাসযোগে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। চার বছর ধরে বাস কাউন্টারে যাত্রীদের জন্য পাঠাগার গড়ে তোলার কাজ করছে স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিম। ২০২০ সালে প্রথম রাঙামাটিতে পাহাড়িকা বাস কাউন্টারে অবসর পাঠাগার চালু হয়।

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিমের পরিচালনায় ‘অবসরে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই’ স্লোগানে এই পর্যন্ত বিভিন্ন বাস কাউন্টার, সেলুন এবং ইউনিয়ন পরিষদে ১৫টি অবসর পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবলিত বই, উপন্যাস, গল্পের বই, আত্ম উন্নয়ন মূলক বই, কাব্যগ্রন্থ, সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, শিশুতোষ গল্পের বই দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে এসব পাঠাগার। 

আরো পড়ুন
কালের কণ্ঠ প্রতিনিধির ফেসবুক পোস্টে রঙিন টিনের ঘর পেলেন পঙ্গু ভিক্ষুক

কালের কণ্ঠ প্রতিনিধির ফেসবুক পোস্টে রঙিন টিনের ঘর পেলেন পঙ্গু ভিক্ষুক

 

বইগুলো হস্তান্তরের সময় গ্রিন লাইনের অপেক্ষারত যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ‘ইমদাদুল হক মিলন স্যারের লেখা বই শুধু কল্পনার জগৎ নয়, বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। তিনি আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে সাহিত্যকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। তার উপহার শুধু বই নয়, এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।’ 

অন্য একজন যাত্রী বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার তৈরি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, যাত্রীরা অপেক্ষারত অবস্থায় বইগুলো পড়ে সময় কাটাতে পারবেন।’ আরো বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে প্রাপ্ত বইগুলো গ্রন্থাগারের যোগ হওয়ায় গ্রন্থাগার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।’

গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগ, বিশেষ করে মিলন স্যারের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও ভালোবাসা, প্রমাণ করে যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং তা তারা যথাযথভাবে পালন করছে।’

আরো পড়ুন
মাগুরায় শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় চার্জ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ এপ্রিল

মাগুরায় শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় চার্জ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ এপ্রিল

 

উল্লেখ্য, স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। পাঠাগারটি স্থানীয় তরুণ ও পাঠকদের কাছে একটি জ্ঞানের আলো হয়ে উঠছে প্রতিদিন।

বইগুলো পাঠাগারে পৌঁছানোর মাধ্যমে শুধু একটি পাঠাগার নয়, বরং একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঠাভ্যাস ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়বে—এমনটাই আশা রাখছে বসুন্ধরা শুভসংঘ ও স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন।

মন্তব্য

বসুন্ধরা শুভসংঘের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষণা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষণা
বামে মো. আল আমিন ও ডানে সুজন মিয়া

‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাখার ২০২৫ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ আল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া মনোনীত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য ৩৮ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান উপদেষ্টা করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

অন্য উপদেষ্টারা হলেন- বিশিষ্ট সমাজ সেবক তারেক খন্দকার, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এম এ রকিব, বাংলা নিউজের বিশ্বজিৎ ভট্রাচার্য বাপন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মোছা. রহিমা খাতুন, সহসভাপতি সরকার পঙ্কজ শেহজাদ, সহসভাপতি নন্দিতা বৈশ্য, সহসভাপতি মোহাম্মদ সুহেল্জুামান, সহসভাপতি  মো. মিজানুর রহমান, সহসভাপতি  মো. শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন নান্টু মনি দেব, মো. আতাউর রহমান, অমিত বসু।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামছুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান সাদী, অর্থ সম্পাদক জুল হাকাম, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান, নারী বিষয়ক সম্পাদক দীপ্তি চক্রবত্তী, ইভেন্ট সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুহেল, প্রচার সম্পাদক আমিনুর রশিদ চৌধুরী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চন্দ্র দেব, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মৌসুমী শর্মা, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চন্দ্র দেব আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল মিয়া, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামন দিপু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য অনিক দেবনাথ, কার্যকরী সদস্য উত্তম দেবনাথ, কার্যকরী সদস্য মো. ওমর ফারুক, কার্যকরী সদস্য মো. আব্দুল মুকিত নাহিদ, কার্যকরী সদস্য ইয়াকুব আলী।

বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সামাজিক সংগঠন।

সংগঠনটি দীর্ঘদিন সৌন্দর্যবর্ধন, আর্থিক অনুদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, দুস্থ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে বিনা মূল্যে গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পথ শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থাসহ নানা সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।

মন্তব্য

স্বপ্নযাত্রীর অবসর পাঠাগারকে বই উপহার দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বপ্নযাত্রীর অবসর পাঠাগারকে বই উপহার দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি: কালের কণ্ঠ

স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে উপহার হিসেবে বই পাঠিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন তার লেখা পঞ্চাশেরও অধিক বই শুভসংঘের মাধ্যমে ওই পাঠাগারকে পাঠিয়েছেন। উপহার পাওয়া এই বই পাঠ্যভ্যাস তৈরিতে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘ স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারের নিকট বইগুলো হস্তান্তর করে।

বইগুলো স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারের প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাফায়েত রায়হান শিহাবের হাতে তুলে দেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রীন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবী মো. হাসিবুল হাসান, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তাহমিদ আরেফিন সাজিদ এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ পল্লবী থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মবিনুল হায়দার শুভ্র।

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগারের অপারেশন টিমের চীফ কো-অর্ডিনেটর সাফায়েত রায়হান শিহাব জানান, প্রবাদ আছে বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। বই অজানাকে জানায়, অচেনাকে চেনায় এবং অদেখাকে দেখায়।

এক কথায় বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় কাউন্টারে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়। যা কখনও কখনও বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছায়। যাত্রীদের অপেক্ষার সময়টুকু আনন্দময় করতে উদ্যোগ নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।
 ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ এবং সিএমপির ট্রাফিক উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গড়ে তুলেছে ব্যতিক্রমী পাঠাগার। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’। 

রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ বাসযোগে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন।  ৪ বছর ধরে বাস কাউন্টারে যাত্রীদের জন্য পাঠাগার গড়ে তোলার কাজ করছে স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিম। ২০২০ সালে প্রথম রাঙামাটিতে পাহাড়িকা বাস কাউন্টারে অবসর পাঠাগার চালু হয়।

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিমের পরিচালনায় ‘অবসরে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই’ স্লোগানে এই পর্যন্ত বিভিন্ন বাস কাউন্টার, সেলুন এবং ইউনিয়ন পরিষদে ১৫টি অবসর পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত বই, উপন্যাস, গল্পের বই, আত্ম উন্নয়ন মূলক বই, কাব্যগ্রন্থ, সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, শিশুতোষ গল্পের বই দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে এসব পাঠাগার। 

বইগুলো হস্তান্তরের সময় গ্রীন লাইনের অপেক্ষারত যাত্রী মিসেস মমতাজ বেগম বলেন, “ইমদাদুল হক মিলন স্যারের লেখা বই শুধু কল্পনার জগৎ নয়, বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। তিনি আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে সাহিত্যকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। তার উপহার শুধু বই নয়, এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।’

অন্য একজন যাত্রী বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার তৈরি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, যাত্রীরা অপেক্ষারত অবস্থায় বইগুলো পড়ে সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়াও বলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে প্রাপ্ত বইগুলো গ্রন্থাগারের যোগ হওয়ায় গ্রন্থাগার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।’

গ্রীন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগ, বিশেষ করে মিলন স্যারের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও ভালোবাসা প্রমাণ করে যে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং তা তারা যথাযথভাবে পালন করছে।’

উল্লেখ্য, স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। পাঠাগারটি স্থানীয় তরুণ ও পাঠকদের কাছে একটি জ্ঞানের আলো হয়ে উঠছে প্রতিদিন।

বইগুলো পাঠাগারে পৌঁছানোর মাধ্যমে শুধু একটি পাঠাগার নয়, বরং একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঠাভ্যাস ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়বে—এমনটাই আশা রাখছে বসুন্ধরা শুভসংঘ ও স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশনের। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ