ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 

জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

 

ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।

আকাশের দিকে থাকালেই মনে হয় যেন শত শত পাখি আকাশজুড়ে উড়ছে। ফুলপুর খেলার মাঠে ঘুড়ি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার, ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিজয়ীরা হলেন এ বি এম আরিফুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, উপজেলা ছাত্রদল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুলপুর হেল্পজোন। ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ীদের আগামীকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

ফুলপুর উপজেলার মানুষের আন্তরিকতায় এ নববর্ষ উপলক্ষে অন্য রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম। দুই দিন ধরে চলবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অসহায় সায়েদা বানুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
অসহায় সায়েদা বানুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসাড় গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী সায়েদা বানু (৫৫)। দুই দশক আগে হঠাৎ করেই তার দুই পা অকেজো হয়ে যায়। অনেক জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় তার।

চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটি হুইলচেয়ার জোটাতে পারেননি অসহায় সায়েদা বানু। অভাব অনটনের কারণে হুইলচেয়ার কেনার সামর্থ্যও ছিল না তার। অবশেষে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে তার বাড়িতে গিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা হুইলচেয়ার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন তার হাতে।

আরো পড়ুন
আখাউড়ায় গুলিসহ তিনজন গ্রেপ্তার

আখাউড়ায় গুলিসহ তিনজন গ্রেপ্তার

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডুসহ অন্যানরা।

হুইলচেয়ার পেয়ে আপ্লূত হয়ে পড়েন সায়েদা বানু। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে অনেকবার গিয়েছি। কেউ আমাকে একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়নি।

আজ বসুন্ধরা শুভসংঘ হুইলচেয়ারসহ আমাদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বসুন্ধরা শুভসংঘ এভাবে অসহায় মানুষের সেবা করে যাক।

বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, কালের কণ্ঠে ওই নারীকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তারপর আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

 

আরো পড়ুন
রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

 

সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আমাদের জেলায় অসহায় নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। 

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কালের কণ্ঠ ডিজিটাল এডিশনের আপনজন পর্বে সায়েদা বানুকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়।

মন্তব্য

খুলনায় শিশুদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের দুপুরের খাবার বিতরণ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় শিশুদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের দুপুরের খাবার বিতরণ
ছবি: কালের কণ্ঠ

বৈশাখের তপ্ত দুপুরে দরিদ্র শিশুদের মাঝে একবেলার খাবার দিয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা সদস্যরা। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কালের কণ্ঠ ব্যুরো চত্বরে শিশুদের মাঝে এ খাবার তুলে দেওয়া হয়।

ছুটির দিনে খাবার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে শিশুরা। অনুভূতি প্রকাশ করে শিশুরা বলেছে, খাবার পেয়ে তারা খুশি।

এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। ‘বন্ধের দিনটি ভালোই কাটলো। যারা এই আয়োজন করেছেন, তাদের জন্য দোয়া করছি।

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি বিপুল রায় চৌধূরির সভাপতি খাবার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক কেীশিক দে, বসুন্ধরা শুভসংঘের সহসভাপতি কাজী মাহবুব, সৌমেন কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর মন্ডল, সহ-সম্পাদক মো. সাদিক, সদস্য চন্দন সরকার, ফটো সাংবাদিক নাজমুল হক পাপ্পু প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময়ই দরিদ্র, হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দরিদ্র শিশুদের মধ্যে একবেলা খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আগে খুলনায় প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

অদূর ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সুখে-দুঃখে বসুন্ধরা শুভসংঘ কাজ করবে।

মন্তব্য

শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
সংগৃহীত ছবি

মাদরাসার আবাসিক শিশু শিক্ষার্থীদের দাঁতের যত্ন শেখাতে কুমিল্লার লালমাইয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব চেঙ্গাহাটাস্থ আল ইসরা মাদরাসার (বালক শাখা) হিফজ বিভাগে এই আয়োজন করা হয়।  

দৈনিক কালের কণ্ঠের কুমিল্লার লালমাই-সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় শিশুদের দাঁত ব্রাশের পদ্ধতি ও দাঁতের যত্নে বিভিন্ন নিয়ম শেখান বাগমারা বাজারস্থ সেবা ডেস্টাল কেয়ারের বিএসসি-ডেন্টিস্ট মফিজুল ইসলাম মুন্না (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ ইন ডেন্টিস্ট্রি)।

সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন শুভসংঘের সদস্য ও মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন সামির হোসেন। দাঁতের যত্ন শেখার পর অংশগ্রহণকারী ৩৫ শিক্ষার্থীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি করে ব্রাশ ও এক প্যাকেট করে টুথপেস্ট দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

 

বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াকুব আলী নিমেলের সঞ্চালনায় সচেতনতামুলক সভায় উপস্থিত ছিলেন আল ইসরা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাছুম বিল্লাহ মুহাজির, বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই শাখার সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুপ সিরাজী, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম রাফসান, আল ইসরা বালিকা শাখার হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ ইসমাইল হোসেন শামীম, আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ, হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ফাহিম, কিতাব বিভাগের শিক্ষক ক্বারী নাঈম হোসেন, নূরানী বিভাগের শিক্ষক হাফেজ জাবেদ।

আল ইসরা মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিছবাহুল ইসলাম বলেন, আমি আগে শুধু সকালে ব্রাশ করতাম।

আজ থেকে সকাল-রাত দুই বেলা ব্রাশ করবো। ব্রাশ করার সঠিক নিয়মটাও সভা থেকে শিখতে পেরেছি।

আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ বলেন, শিশুদের দাঁতের যত্নে এই ধরনের কর্মসূচি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য অনুকরণীয়। এমন আয়োজন করায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

আরো পড়ুন
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ, লালমাই উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ডা. শামীম ইকবাল মজুমদার বলেন, পবিত্র কোরআন হিফজ করতে গিয়ে শিশুদের মা বাবা থেকে দূরে গিয়ে মাদরাসায় আবাসিক থাকতে হয়। আবাসিকে থাকা শিশুরা দাঁতের যত্ন নিতে ভুলে যায়। সেই শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে শুভসংঘের ব্যতিক্রম আয়োজন।

মন্তব্য

বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
সংগৃহীত ছবি

সাংগ্রাই উৎসব হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান এবং আনন্দঘন একটি উৎসব। পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব। উৎসবটি মারমাদের নববর্ষের সূচনার পাশাপাশি ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সাংগ্রাই উৎসব বর্তমানে শহর ও গ্রামে মিলিয়ে বেশ বড় পরিসরে উদযাপিত হয়।

সাংগ্রাইয়ে রঙিন মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঘিলা খেলা, জলকেলি উৎসব, নানা পদের খাবার ও  পিঠাপুলি তৈরি হয়ে থাকে। এটি বর্মী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় (সাধারণত ১৩-১৬ এপ্রিল) উদযাপন করা হয়। সাংগ্রাইয়ের সবচেয়ে আনন্দঘন ও চিত্রসম্মত অংশ হলো জল ছিটানো উৎসব। এলাকাভিত্তিক আনন্দ অনুষ্ঠান ভাগাভাগি করে  নিতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ জল উৎসব  হয়ে থাকে।
 

আরো পড়ুন
যে ভাসমান বাজারে বিক্রি হয় শত কোটি টাকার তরমুজ

যে ভাসমান বাজারে বিক্রি হয় শত কোটি টাকার তরমুজ

 

বর্ষ বরণ উৎসব সাংগ্রাই এর অংশ হিসেবে জলকেলিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শহরের রাজার মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে  উৎসবে যোগ দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের শুভার্থী উয়ই সিং মার্মা, রবিন তঞ্চঙ্গ্যা, উঅং সিং মার্মা, রংথুই ম্রো, স্বর্ণা চাকমা, চন্দ্রিমা বড়ুয়া, উ হ্লা শৈ মার্মা প্রমুখ।

মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন ঠিক সেই সময়ে হাজার হাজার লোকের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে বান্দরবান রাজার মাঠ। এ যেন প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়েছেন তারা।

চারিদিকে মারমা সঙ্গীতের মূর্ছনা, আর নাচ-গানে আনন্দে মেতে উঠে শিশুসহ সবাই। একজন তরুণ একজন তরুণীর দেহে জল ছিটায়। আর ওই তরুণীও ওই তরুণের দেহে পাল্টা জল ছিটিয়ে তার প্রতি উত্তর দেয়। এভাবে তরুণ-তরুণীরা পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে মৈত্রী পানি বর্ষণে মেতে উঠে।
এ সময় হাজার হাজার পাহাড়ী-বাঙালী মৈত্রী পানি বর্ষণ উপভোগ করে।

আরো পড়ুন
ক্ষতিপূরণ বুঝে পাইনি, মাথা-গলার রগে খুব ব্যথা (ভিডিওসহ)

ক্ষতিপূরণ বুঝে পাইনি, মাথা-গলার রগে খুব ব্যথা (ভিডিওসহ)

 

জল উৎসবের রয়েছে একাধিক অর্থপূর্ণ দিক—

শুদ্ধতা ও নতুন জীবনের সূচনা : পানি হচ্ছে বিশুদ্ধতার প্রতীক। একজন আরেকজনকে পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার মন ও সম্পর্কের বার্তা দেয়।

সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ : এতে বন্ধু-পরিজন, এমনকি অপরিচিতরাও একে অপরকে আনন্দে মাতিয়ে তোলে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রবিন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত মারমা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নতুন বর্ষবরণ উৎসব ‘মাহাঃ সাংগ্রাই’ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করে থাকে। মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে সকলের প্রতি সুখ, সমৃদ্ধি কামনা ও মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানায়। এতে মারমা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সকল স্তরের মানুষেরাও অংশগ্রহণ করে এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উয়ই সিং মার্মা আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী জল উৎসব নববর্ষের প্রাক্কালে আমাদের জন্য গভীর তাৎপর্য বয়ে আনে। এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতি, ঐক্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অনন্য উদযাপন। এটি কেবল একটি উৎসবকে প্রতিনিধিত্ব করে না তবে আমাদের পরিচয়, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক সম্প্রীতিও মূর্ত করে তোলে।

আমরা গর্বিত ও আনন্দিত কারণ এবারের জল উৎসবে বসুন্ধরা শুভসংঘ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময়ই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে সমাজের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ