জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা
ছবি : কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বসুন্ধরা শুভসংঘের একঝাঁক তরুণ সদস্য নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা—এই তিনে ভর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই’ এমন বিশ্বাস থেকেই এ আয়োজন।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৩১৫ নম্বর রুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় আলোচকরা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকার কথা, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।

কেউ কেউ আবার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন স্বপ্নে দেখান।

জবি শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের সভাপতিত্বে ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় আরো অংশ নেন কমিটির বিভিন্ন নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

সভায় শুভসংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আনজুম বিশ্বাস বলেন, গণ-অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে- বাংলাদেশ এখনো স্বপ্ন দেখতে জানে, জানে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। আমরা যারা এই দেশের ভবিষ্যৎ, সেই তরুণ প্রজন্ম, আজ আমাদের কাঁধে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব।

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ হবে এক সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র— যেখানে মানুষ কথা বলবে মুক্ত মনে, চিন্তা করবে স্বাধীনভাবে।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ বলেন, বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন— যেখানে সুযোগ ও সেবার সমান অধিকার পাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ। যেখানে শিক্ষার মান হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের, গবেষণায় আমরা প্রতিযোগিতা করব বিশ্বের সঙ্গে, আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।

শুভসংঘের সদস্য আবিদা সুলতানা আঁখি বলেন, আমরা চাইলে উদ্যোক্তা হয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

চাকরি খুঁজে না বেড়িয়ে, চাকরি দেওয়ার মানুষ হতে পারি। আমরা চাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের কৃষককে শহরের বাজারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারি প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

আইনবিষয়ক সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে পারি, সচেতনতা বাড়াতে পারি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারি যেকোনো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে। তরুণ মানেই স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা। আমরা যদি আমাদের মেধা, সময় আর প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তবে একদিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ আর ‘গরিব’ নামে পরিচিত হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী ও নবীন সদস্য রাফিজুল ইসলাম বলেন,  দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু নয়, পাশাপাশি দরকার বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতাসম্পন্ন জ্ঞান। আমরা যদি প্রযুক্তি, যোগাযোগ, উদ্যোক্তা দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে পারদর্শী না হই— তাহলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারব না। কাজেই দরকার বাস্তবমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগমূলক পরিবেশ। দক্ষ তরুণ মানেই একটি দক্ষ বাংলাদেশ। আর দক্ষ বাংলাদেশই পারবে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠিয়ে দিতে।

বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমাদের তরুণসমাজ। এই তরুণরাই পারে আধুনিক, শিক্ষিত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তবে তার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরি। একজন শিক্ষিত, সচেতন ও দক্ষ তরুণ শুধু নিজের জীবন বদলায় না— সে সমাজকেও বদলায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়া, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হওয়া এবং মানবিক নেতৃত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, আজকের এই সভা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে। আমরা সবাই মিলে একটি শিক্ষিত, দক্ষ, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ। 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
সংগৃহীত ছবি

মাদরাসার আবাসিক শিশু শিক্ষার্থীদের দাঁতের যত্ন শেখাতে কুমিল্লার লালমাইয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব চেঙ্গাহাটাস্থ আল ইসরা মাদরাসার (বালক শাখা) হিফজ বিভাগে এই আয়োজন করা হয়।  

দৈনিক কালের কণ্ঠের কুমিল্লার লালমাই-সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় শিশুদের দাঁত ব্রাশের পদ্ধতি ও দাঁতের যত্নে বিভিন্ন নিয়ম শেখান বাগমারা বাজারস্থ সেবা ডেস্টাল কেয়ারের বিএসসি-ডেন্টিস্ট মফিজুল ইসলাম মুন্না (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ ইন ডেন্টিস্ট্রি)।

সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন শুভসংঘের সদস্য ও মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন সামির হোসেন। দাঁতের যত্ন শেখার পর অংশগ্রহণকারী ৩৫ শিক্ষার্থীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি করে ব্রাশ ও এক প্যাকেট করে টুথপেস্ট দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

 

বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াকুব আলী নিমেলের সঞ্চালনায় সচেতনতামুলক সভায় উপস্থিত ছিলেন আল ইসরা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাছুম বিল্লাহ মুহাজির, বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই শাখার সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুপ সিরাজী, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম রাফসান, আল ইসরা বালিকা শাখার হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ ইসমাইল হোসেন শামীম, আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ, হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ফাহিম, কিতাব বিভাগের শিক্ষক ক্বারী নাঈম হোসেন, নূরানী বিভাগের শিক্ষক হাফেজ জাবেদ।

আল ইসরা মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিছবাহুল ইসলাম বলেন, আমি আগে শুধু সকালে ব্রাশ করতাম।

আজ থেকে সকাল-রাত দুই বেলা ব্রাশ করবো। ব্রাশ করার সঠিক নিয়মটাও সভা থেকে শিখতে পেরেছি।

আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ বলেন, শিশুদের দাঁতের যত্নে এই ধরনের কর্মসূচি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য অনুকরণীয়। এমন আয়োজন করায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

আরো পড়ুন
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ, লালমাই উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ডা. শামীম ইকবাল মজুমদার বলেন, পবিত্র কোরআন হিফজ করতে গিয়ে শিশুদের মা বাবা থেকে দূরে গিয়ে মাদরাসায় আবাসিক থাকতে হয়। আবাসিকে থাকা শিশুরা দাঁতের যত্ন নিতে ভুলে যায়। সেই শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে শুভসংঘের ব্যতিক্রম আয়োজন।

মন্তব্য

বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
সংগৃহীত ছবি

সাংগ্রাই উৎসব হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান এবং আনন্দঘন একটি উৎসব। পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব। উৎসবটি মারমাদের নববর্ষের সূচনার পাশাপাশি ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সাংগ্রাই উৎসব বর্তমানে শহর ও গ্রামে মিলিয়ে বেশ বড় পরিসরে উদযাপিত হয়।

সাংগ্রাইয়ে রঙিন মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঘিলা খেলা, জলকেলি উৎসব, নানা পদের খাবার ও  পিঠাপুলি তৈরি হয়ে থাকে। এটি বর্মী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় (সাধারণত ১৩-১৬ এপ্রিল) উদযাপন করা হয়। সাংগ্রাইয়ের সবচেয়ে আনন্দঘন ও চিত্রসম্মত অংশ হলো জল ছিটানো উৎসব। এলাকাভিত্তিক আনন্দ অনুষ্ঠান ভাগাভাগি করে  নিতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ জল উৎসব  হয়ে থাকে।
 

আরো পড়ুন
যে ভাসমান বাজারে বিক্রি হয় শত কোটি টাকার তরমুজ

যে ভাসমান বাজারে বিক্রি হয় শত কোটি টাকার তরমুজ

 

বর্ষ বরণ উৎসব সাংগ্রাই এর অংশ হিসেবে জলকেলিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শহরের রাজার মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে  উৎসবে যোগ দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের শুভার্থী উয়ই সিং মার্মা, রবিন তঞ্চঙ্গ্যা, উঅং সিং মার্মা, রংথুই ম্রো, স্বর্ণা চাকমা, চন্দ্রিমা বড়ুয়া, উ হ্লা শৈ মার্মা প্রমুখ।

মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন ঠিক সেই সময়ে হাজার হাজার লোকের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে বান্দরবান রাজার মাঠ। এ যেন প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়েছেন তারা।

চারিদিকে মারমা সঙ্গীতের মূর্ছনা, আর নাচ-গানে আনন্দে মেতে উঠে শিশুসহ সবাই। একজন তরুণ একজন তরুণীর দেহে জল ছিটায়। আর ওই তরুণীও ওই তরুণের দেহে পাল্টা জল ছিটিয়ে তার প্রতি উত্তর দেয়। এভাবে তরুণ-তরুণীরা পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে মৈত্রী পানি বর্ষণে মেতে উঠে।
এ সময় হাজার হাজার পাহাড়ী-বাঙালী মৈত্রী পানি বর্ষণ উপভোগ করে।

আরো পড়ুন
ক্ষতিপূরণ বুঝে পাইনি, মাথা-গলার রগে খুব ব্যথা (ভিডিওসহ)

ক্ষতিপূরণ বুঝে পাইনি, মাথা-গলার রগে খুব ব্যথা (ভিডিওসহ)

 

জল উৎসবের রয়েছে একাধিক অর্থপূর্ণ দিক—

শুদ্ধতা ও নতুন জীবনের সূচনা : পানি হচ্ছে বিশুদ্ধতার প্রতীক। একজন আরেকজনকে পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার মন ও সম্পর্কের বার্তা দেয়।

সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ : এতে বন্ধু-পরিজন, এমনকি অপরিচিতরাও একে অপরকে আনন্দে মাতিয়ে তোলে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রবিন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত মারমা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নতুন বর্ষবরণ উৎসব ‘মাহাঃ সাংগ্রাই’ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করে থাকে। মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে সকলের প্রতি সুখ, সমৃদ্ধি কামনা ও মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানায়। এতে মারমা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সকল স্তরের মানুষেরাও অংশগ্রহণ করে এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উয়ই সিং মার্মা আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী জল উৎসব নববর্ষের প্রাক্কালে আমাদের জন্য গভীর তাৎপর্য বয়ে আনে। এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতি, ঐক্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অনন্য উদযাপন। এটি কেবল একটি উৎসবকে প্রতিনিধিত্ব করে না তবে আমাদের পরিচয়, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক সম্প্রীতিও মূর্ত করে তোলে।

আমরা গর্বিত ও আনন্দিত কারণ এবারের জল উৎসবে বসুন্ধরা শুভসংঘ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময়ই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে সমাজের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
শেয়ার
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
সংগৃহীত ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আওরাবুনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মনস্বিতা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম কামরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, বরিশাল অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর ফারুক হোসেন খান, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন ও দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা সংবাদদাতা মো.আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন
‘রাস্তায় চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই দোষ?’

‘রাস্তায় চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই দোষ?’

 

আওরাবুনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিবুজ্জামান সবুর। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শ্যামলী রানী বিশ্বাস, বিনয় কৃষ্ণ হাওলাদার, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিশা মেহজাবিন ও একই শ্রেণির তীর্থ রায়। 

বক্তারা জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। প্রতিবছর অসংখ্য শিশু এই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আসছে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপকুলীয় অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে, যখন নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও ডোবা পানিতে থই থই করে, তখন পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। এ কর্মশালায় সচেতনাতার মাধ্যমে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ব্যাপক আলোচনা করেন।

আরো পড়ুন
তালের টাকা জলে!

তালের টাকা জলে!

 

শিক্ষার্থী আরিশা মেহজাবিন বলে, বেশির ভাগ শিশুরা খেলতে খেলতে পুকুর, ডোবা, খালের পানিতে ডুবে মারা যায়। অভিভাবকরা যদি নজর না রাখেন, তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতে খুব বেশি সময় লাগে না।

তাই আমাদের মা-বাবাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া আমাদের বড় ভাই-বোনদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অপর শিক্ষার্থী তীর্থ রায় বলে, শিশুর বয়স ৫ বছর হলেই তাদের সাঁতার শেখানো উচিত। এর আগের বয়সী শিশুদের নজরদারিতে রাখলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।  

বিশেষ অতিথি দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা সংবাদদাতা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ১-৫ বছর বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

বিশেষ করে দুপুরের পর যখন মা-বাবা বা অভিভাবকরা কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখনই শিশুরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

বিশেষ অতিথি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ছোট শিশুরা যেহেতু সাঁতার জানে না। পানিতে পড়ে গেলে তারা আত্মরক্ষার কৌশল জানে না, তাই ডুবে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প থাকে না। এই অজ্ঞানতা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষ অতিথি ফারুক হোসেন খান বলেন, আগে অভিভাবকরা শিশুদের কোমড়ে ঘন্টা (ঝুনঝুনি) বেঁধে দিতো। এতে করে শিশুরা কোথায় যায় শব্দ শুনেই অভিভাবক শিশুদের গতিবিধি বুঝতে পারতেন। এখন কালের আবর্তে সেটি হারিয়ে গেছে। তাছাড়া অভিভাবকদের অসচেনতা, মোবাইল আশক্তি টেলিভিশনের সিরিয়ালে প্রতি এতটাই আশক্তি তাদের ছোট শিশুরা কোথায় যায়, কি করে তার খেয়াল থাকে না। ফলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

স্বাগত বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা সভাপতি সাকিবুজ্জামান সবুর বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য মতে প্রতি বছর দেশে ১৭ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু। বয়স ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১-৫ বছরের শিশুরাই ঝুঁকির মুখে থাকে। বর্ষা মৌসুম ও বন্যার সময় গ্রামাঞ্চলের ঘরের আশাপোশে পানিতে পূর্ণ থাকে। এ সময় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার শিশুদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসা না দিতে পারায় অনেক শিশু অকালে ঝড়ে যায়। এর প্রতিকারে অভিভাবকদের সচেনতাই জরুরী।

আরো পড়ুন
বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

 

প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, শিশু পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রতিরোধে পরিবারের সচেতনতা খুবই জরুরী। সেই সাথে যেসব পরিবারে ছোট ছোট শিশু রয়েছে তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যেমন পুকুর ডোবা নালার পাশে নিরাপত্ত বেষ্টনি তৈরী করা, একটু বড় হলেই সাঁতার শেখানো, নিরাপদ খেলার স্থান নিশ্চিত করা, শিশু বাহিরে থাকলে প্রতি মূহুর্তে তার প্রতি নজর রাখাসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে শিশুদের দেখে রাখা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন, একটি শিশুর প্রাণ অমূল্য। প্রতিটি মৃত্যুই একটি পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু একটি প্রতিরোধযোগ্য দুর্যোগ। সামান্য সচেতনতা, সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই এই করুণ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে অভিভাবক ও শিশুদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্তব্য

স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার
সংগৃহীত ছবি

স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‌‌‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে’ উপহার পাঠাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন তার লেখা পঞ্চাশেরও অধিক বই শুভসংঘর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’র জন্য। উপহার পাওয়া এই বই পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধিতে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘ স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারে বইগুলো হস্তান্তর করে।

বইগুলো স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারের প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাফায়েত রায়হান শিহাবের হাতে তুলে দেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবী মো. হাসিবুল হাসান, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তাহমিদ আরেফিন সাজিদ এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ পল্লবী থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মবিনুল হায়দার শুভ্র।

আরো পড়ুন
৯৯৯-এ ফোন দেওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

৯৯৯-এ ফোন দেওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

 

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগারের অপারেশন টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর সাফায়েত রায়হান শিহাব জানান, প্রবাদ আছে—‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’। বই অজানাকে জানায়, অচেনাকে চেনায় এবং অদেখাকে দেখায়।

এককথায় বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় কাউন্টারে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়। যা কখনো কখনো বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছায়। যাত্রীদের অপেক্ষার সময়টুকু আনন্দময় করতে উদ্যোগ নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন।
 

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ এবং সিএমপির ট্রাফিক উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গড়ে তুলেছে ব্যতিক্রমী পাঠাগার। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’। 

রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ বাসযোগে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। চার বছর ধরে বাস কাউন্টারে যাত্রীদের জন্য পাঠাগার গড়ে তোলার কাজ করছে স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিম। ২০২০ সালে প্রথম রাঙামাটিতে পাহাড়িকা বাস কাউন্টারে অবসর পাঠাগার চালু হয়।

স্বপ্নযাত্রী পাঠাগার অপারেশন টিমের পরিচালনায় ‘অবসরে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই’ স্লোগানে এই পর্যন্ত বিভিন্ন বাস কাউন্টার, সেলুন এবং ইউনিয়ন পরিষদে ১৫টি অবসর পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবলিত বই, উপন্যাস, গল্পের বই, আত্ম উন্নয়ন মূলক বই, কাব্যগ্রন্থ, সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, শিশুতোষ গল্পের বই দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে এসব পাঠাগার। 

আরো পড়ুন
কালের কণ্ঠ প্রতিনিধির ফেসবুক পোস্টে রঙিন টিনের ঘর পেলেন পঙ্গু ভিক্ষুক

কালের কণ্ঠ প্রতিনিধির ফেসবুক পোস্টে রঙিন টিনের ঘর পেলেন পঙ্গু ভিক্ষুক

 

বইগুলো হস্তান্তরের সময় গ্রিন লাইনের অপেক্ষারত যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ‘ইমদাদুল হক মিলন স্যারের লেখা বই শুধু কল্পনার জগৎ নয়, বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। তিনি আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে সাহিত্যকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। তার উপহার শুধু বই নয়, এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।’ 

অন্য একজন যাত্রী বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার তৈরি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, যাত্রীরা অপেক্ষারত অবস্থায় বইগুলো পড়ে সময় কাটাতে পারবেন।’ আরো বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে প্রাপ্ত বইগুলো গ্রন্থাগারের যোগ হওয়ায় গ্রন্থাগার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।’

গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সম্রাট হাওলাদার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগ, বিশেষ করে মিলন স্যারের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও ভালোবাসা, প্রমাণ করে যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং তা তারা যথাযথভাবে পালন করছে।’

আরো পড়ুন
মাগুরায় শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় চার্জ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ এপ্রিল

মাগুরায় শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় চার্জ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ এপ্রিল

 

উল্লেখ্য, স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। পাঠাগারটি স্থানীয় তরুণ ও পাঠকদের কাছে একটি জ্ঞানের আলো হয়ে উঠছে প্রতিদিন।

বইগুলো পাঠাগারে পৌঁছানোর মাধ্যমে শুধু একটি পাঠাগার নয়, বরং একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঠাভ্যাস ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়বে—এমনটাই আশা রাখছে বসুন্ধরা শুভসংঘ ও স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ