বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।
স্ট্যাটাসে খান তালাত মাহমুদ রাফি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দোয়া একান্ত কাম্য।
বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।
স্ট্যাটাসে খান তালাত মাহমুদ রাফি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দোয়া একান্ত কাম্য।
ফেসবুক পোস্ট তিনি স্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন। সেখান থেকে জানা যায়, রাফির স্ত্রীর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু। ফেসবুকে তার বাড়ি বরিশাল উল্লেখ আছে। পড়াশোনা লেখা আছে, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ।
তার আইডিতে ঢুকে দেখা গেছে, রাফির সঙ্গে ছবি কাভার ফটো করেছেন জান্নাত।
এদিকে তার বিয়ের খবর প্রকাশের পর বন্ধু, সহযোদ্ধা এবং অনুসারীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে রাফি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত ছাত্রদের তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানসহ ১২৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নাম নেই ঢাবির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের।
এ ছাড়া ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত অনেকের নাম তালিকায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির অনেকেই।
তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এটা আমরা জানতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী তানভীর হাসান সৈকতের নাম আসেনি তালিকায়। এ ছাড়া আবু ইউনুসের মতো সন্ত্রাসীদের নামও আসেনি।
তিনি আরো লিখেছেন, সায়েন্সের তিন হল থেকে সম্ভবত একজনের নাম এসেছে বহিষ্কারের তালিকায়।
এই বহিষ্কারের তালিকা বানানোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা কারা আছে এটা জানতে চাই আমরা। কাদের শেল্টার দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তানভীর হাসান সৈকত নিজে বসে এই লিস্ট বানিয়েছে।
দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাফে সালমান রিফাত। সেই মন্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল উল্লেখ করে এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাফে।
আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট করেন তিনি।
ওই পোস্টে রাফে বলেন, গতকাল মিডিয়ায় আমার এক টকশোতে আমি জামায়াতে ইসলামী নিয়ে একটি আনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছি।
তিনি আরো বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বড় দুইটা রাজনৈতিক দল। আগামী দিনে এই দুটো দল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আমারা যারা নতুন প্লাটফরমের উদ্যোগ নিয়েছি, আমরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সবাই দেশের জন্য এক সাথে কাজ করবে এই আকাঙ্ক্ষা রাখি।
ওয়াসার আটসোর্সিংয়ের নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সুপারিশ করেছেন, এমন কিছু নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়া পোস্টে মাসউদ বলেন, আউটসোর্সিং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি কিংবা পরীক্ষা হয় না। এটা দৈনন্দিন ব্যাসিসে স্বল্প সময়ের চাকরি। ক্রাইসিস মোমেন্টে জনবল সংকট নিরসনে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণত এই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
এটা নিয়েই চলছে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন হান্নান মাসউদ।
তিনি ওই পোস্টে আরো বলেন, নাহিদ ইসলাম ভাই, Nusrat Tabassum আপুকে আমি অন্তত ৪ বছর ধরে চিনি। উনাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিছু মানুষ চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে, চিলের পেছনেই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কান কানের জায়গায় আছে কি না তা আর হাত দিয়ে ধরে দেখছে না।
এই পোস্টে কিছুক্ষণ আগে আরো একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে হান্নান মাসউদ বলেন, মিডিয়া ট্রায়াল চলছেই... আর সেই ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা রনি। ‘ওই কিরে ওই কিরে’, ‘মধু রসমালাই’সহ আরো নানা মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল তিনি। ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সেই তরমুজ বিক্রেতাকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে অনেক মানুষ। ফলে নতুন এক বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল সেই তরমুজ বিক্রেতা।
সেই তরমুজ বিক্রেতার দোকানে অনেকেই বিনা কারণে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। ভিডিও করছেন। ফলে ক্রেতারা সেই তরমুজ বিক্রেতার দোকান এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে ভেঙে পড়েছেন সেই বিক্রেতা।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার। তিনি লিখেছেন, ‘তরমুজ ব্যবসায়ীকে দিয়ে সবাই ফেসবুকে বা নিজের ব্র্যান্ডিং করে ডলার কামাইলো, অপরদিকে ওই তরমুজ ব্যবসায়ী নিজের তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছে, তার দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
এরপর শামীম লেখেন, ‘ভাইরাল হওয়ার লোডই আলাদা! জুস আছে, সবাই তোমার পাশে আছে! জুস খাওয়া শেষ, বিদায় বাংলাদেশ! লোকটার জন্য মায়াই লাগতেসে।
সম্প্রতি এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তা ব্যাপক শেয়ার হয়। সেই ভিডিওর কল্যানে ভাইরাল হয়ে যান তরমুজ বিক্রেতা রনি।