জেলখানায় আলেমদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রশংসা করেছেন তরুণ আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী। তবে চলমান সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে দলটিকে পরামর্শ দিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রফিকুল ইসলাম মাদানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে এসব কথা বলেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমি যখন জেলখানায় ছিলাম, সেই সময় যেই দল বা দলের লোকেরা আমার ও আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি খোঁজখবর রেখেছে, সেই দলটির নাম জামায়াতে ইসলামী।
শুধু আমি নই, অনেক মজলুম আলেমের খোঁজখবর রাখার এবং সহযোগিতা করার সাক্ষী আমি নিজে। জেলে আমি ও আমিরে জামায়াত কাছাকাছি ছিলাম। তিনি মাঝে মাঝে আমার রুমে হাদিয়া পাঠাতেন—এটা ছিল আমাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা। আমি হেফাজতের আলেমদের বলতাম, ‘দেখেছেন জামায়াতের দূরদৃষ্টি!’
যে যতটুকু করেছে, ততটুকু বলাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব; এখানে আমার কোনো দ্বিধা নেই।
যারা ২৪-এর বিপ্লবের প্রকৃত চিত্র জানে, তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবে যে শাহাদাত পিয়াসী ছাত্রশিবিরের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর অবদান অবশ্যই আছে, তবে শেষ সময়ের মূল চ্যালেঞ্জটা ছাত্রশিবির নিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী এই জাতিকে সাদিক কায়েমের মতো তরুণ তুর্কি উপহার দিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই আপনাদের মঙ্গল কামনায় কথাগুলো বলছি।
আরো পড়ুন
মুসলিম সভ্যতার ১০ প্রাচীন নগরী
যে সন্তোষ শর্মা আমাকে, শায়খ হারুন ইজহার হাফিজাহুল্লাহ এবং আরো অনেক আলেমকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, সে যে বাংলাদেশের এক চিহ্নিত ‘র’-এর এজেন্ট—এটা কে না জানে! তাকে দাওয়াতি সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমাদের মনে কষ্ট আসাটাই স্বাভাবিক। যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের আমরা যখন আমাদের নির্যাতনকারীদের সম্মানের সঙ্গে ক্তব্য দিতে দেখি, তখন তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়—যা সহজে বোঝানো যায় না।
তাই এই সমালোচনাকে বিনা ব্যাখ্যায় মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করি। এটাও মনে রাখবেন—এই ভারতীয় গোষ্ঠী কখনো আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। যতই তাদের সঙ্গে মিল দেওয়ার চেষ্টা করেন, কোনো লাভ হবে না।
বরং তাদের সঙ্গে ওঠাবসা আপনাদের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা কমিয়ে দেবে। এমনকি আপনাদের দলের অনেকেও এই বিষয়টা সমর্থন করবেন না।
তাই নুরুজ্জামান নোমানী ভাইসহ যারা একপাক্ষিকভাবে এ ধরনের কাজকে সমর্থন করছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন—তাদের অনুরোধ করব এসব বন্ধ করুন।
জামায়াত নেতাদের বলছি—সতর্ক থাকুন, এদের থেকে দূরে থাকুন এবং হিতাকাঙ্ক্ষীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিন।