মোরসালিনকে নিয়েই সাফের চূড়ান্ত দল, বাদ এলিটা কিংসলে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
মোরসালিনকে নিয়েই সাফের চূড়ান্ত দল, বাদ এলিটা কিংসলে
বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এবং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি : মীর ফরিদ

চমক রেখেই সাফের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন ও ফর্টিস এফসির ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলাম। 

বাদ পড়েছেন ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে, মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি, ফরোয়ার্ড শাহরিয়ার ইমন, সাজ্জাদ হোসেন ও  গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা ও রিমন হোসেন।

একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামীকাল কম্বোডিয়ার উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ। ১২ জুন কম্বোডিয়ার স্থানীয় দল  তিফি আর্মির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৫ই জুন ম্যাচ খেলে পরদিন সাফের ভেন্যু বেঙ্গালুরুতে যাবে জামাল ভুইয়ারা। আট দল নিয়ে আগামী ২১ জুন শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসর।

২৩ সদস্যের দল:
গোলরক্ষক : আনিসুর রহমান জিকো, মিতুল মারমা ও শহিদুল আলম ।
ডিফেন্ডার : কাজী তারিক রায়হান, ইসা ফয়সাল, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মন, মেহেদি হাসান মিঠু, রহমত মিয়া, ও আলমগীর মোল্লা।
মিডফিল্ডার :  সোহেল রানা (কিংস), মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা (আবাহনী), রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরসালিন ও মোহাম্মদ হৃদয়।
ফরোয়ার্ড : রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান সজীব।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পিএসএলে অনন্য কীর্তি শাদাব খানের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
পিএসএলে অনন্য কীর্তি শাদাব খানের
শাদাব খান।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অনন্য কীর্তি গড়লেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অধিনায়ক শাদাব খান। বুধবার মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করে পিএসএলের ইতিহাসে প্রথম স্পিনার হিসেবে ১০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন এই লেগ স্পিনার।

এটি ছিল শাদাবের ৮৯তম পিএসএল ম্যাচ। এই অর্জনের মাধ্যমে চতুর্থ বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকলেন ২৫ বছর বয়সী এই স্পিনার।

তার আগে আছেন হাসান আলি (১১৮ উইকেট), ওয়াহাব রিয়াজ (১১৩) ও শাহীন শাহ আফ্রিদি (১০৯)। তবে স্পিনার হিসেবে প্রথম ১০০ উইকেটের মালিক শাদাব। 

পিএসএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকা 

ক্রমিক নং  নাম উইকেট ইনিংস
১. হাসান আলী ১১৮ ৮৬
২. ওয়াহাব রিয়াজ ১১৩  ৮৭
৩. শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০৯ ৭৫
৪. শাদাব খান ১০০ ৮৯
৫. ফাহিম আশরাফ ৭৯ ৭৩

ম্যাচে শাদাব খান ৩ ওভারে ২৯ রানে ১ উইকেট নেন। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই মুলতান সুলতান্স ১৬৮ রানে আটকে যায়।

অন্য বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী, জেসন হোল্ডার ও রিলি মেরেডিথ প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।

ম্যাচটি ইসলামাবাদ ইউনাইটেড জিতে নেয় ৭ উইকেটে। এটি তাদের টানা পঞ্চম জয়। এ জয়ে তারা এখনো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে দলটি।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বকালের সেরা ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারের জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সর্বকালের সেরা ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারের জন্মদিন আজ
সংগৃহীত ছবি

স্ত্রী জেসি মার্থা মেঞ্জিসকে ডেকে যার ব্যাটিং দেখতে বলেছিলেন স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান। সেই ছেলেটির আজ জন্মদিন। ৫২ পেরিয়ে পা দিলেন ৫৩-তে। তিনি আর কেও নন, ‘ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটার’ শচীন টেন্ডুলকার।

সর্বকালের সেরা ব্যাটার কিংবা ক্রিকেটার- যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা উঠলে যে নামটা সবার আগে থাকবে সেটি হচ্ছে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ক্রিকেটের সঙ্গে এই নামটা যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের নামের পাশে কত শত যে রেকর্ডের পসরা সাজানো আছে সেটা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। নামের পাশে যোগ করেছেন নানা খেতাব-উপাধি।

একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে হয়ে গেলেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। আজ (২৪ এপ্রিল) টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের মালিক শচীন টেন্ডুলকারের ৫২ তম জন্মদিন।

১৯৭৩ সালের এইদিনে মুম্বাইয়ের একটি নার্সিং হোমে জন্ম হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের। বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মনের ভক্ত ছিলেন তার বাবা রমেশ টেন্ডুলকার।

আর তাইতো ছেলের নাম রাখেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ৫১টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

১৯৯০-এর ১১ আগস্ট ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর ৫১ নাম্বারটি ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৬৬৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান, সেঞ্চুরির সংখ্যা ১০০।

টেস্টে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯২১ রান, ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ রান, সর্বোচ্চ ২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ ওয়ানডে ম্যাচের রেকর্ড। শচিনের এ রেকর্ডগুলো অমর হয়ে থাকবে বলে মত ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।

ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির অগ্রপথিকও তিনি। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৭ বলে অপরাজিত ২০০ রান করেন। এরমধ্যে ক্রিকেটের বরপুত্র পেয়ে যান জীবনের সেরা অর্জন। ২০১১ সালে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উঁচিয়ে ধরেন সোনালি ট্রফি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেন শেষ ম্যাচ। ওয়াংখেড়েতে টেস্ট ম্যাচে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস।

ক্রিকেট জগতে টেন্ডুলকাররা বারবার আসবেন না। শচীন রমেশ টেন্ডুলকার একজনই।

মন্তব্য

কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয়

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয়
রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময়ের ছবি। এএফপি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট খেলবে না ভারত। এ কথা পুনরায় জোর দিয়ে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) সহ-সভাপতি রাজীব শুকলা।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। সে বার ভারত সফর করেছিল পাকিস্তানদল।

অপরদিকে, ভারত সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল ২০০৮ সালে। চলতি বছরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণের জন্য ভারত রাজি না হওয়ায়, ভারতের সব ম্যাচ এবং ফাইনাল স্থানান্তরিত করে দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়।

রাজীব শুক্লা স্পোর্টস টক-এ বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের সরকার যা বলবে, আমরা তাই করব।

পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলি না, কারণ সরকারের অবস্থান তেমনই। আর ভবিষ্যতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলব না। তবে আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিতে হয় বলেই খেলা হয়, সেটাও আইসিসির সঙ্গে চুক্তির কারণে।’

বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ শইকিয়া বলেন, ‘পেহেলগামে নিরীহ মানুষদের ওপর যে নির্মম জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাতে গোটা ক্রিকেট মহল স্তব্ধ ও শোকাহত।

বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও প্রার্থনা জানাই।’

বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে পেহেলগাম হামলার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। খেলোয়াড় ও স্টাফরা কালো ব্যাজ পরে মাঠে নামেন এবং কোনো উৎসবপূর্ণ আয়োজন ছাড়াই ম্যাচ পরিচালিত হয়।

মন্তব্য

দুঃসময়ে জোড়া দুঃসংবাদ পেল রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
দুঃসময়ে জোড়া দুঃসংবাদ পেল রিয়াল
কার্লো আনচেলোত্তি। ছবি : রিয়াল মাদ্রিদ ওয়েবসাইট

সময়টা ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। গত সপ্তাহে আর্সেনালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে লস ব্লাঙ্কোরা। লা লিগাতেও শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা—শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে, হাতে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ।

এর মাঝেই সামনে আরো একটি বড় পরীক্ষা।

আগামী শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে আনচেলোত্তির শিষ্যরা। মৌসুম বাঁচাতে এই ফাইনালই এখন রিয়ালের বড় ভরসা।

আরো পড়ুন
উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

 

ম্যাচটি একে তো ফাইনাল, তারওপর প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি দুবারের দেখায় বার্সেলোনার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কার্লো আনেচেলোত্তির দল।

৯ গোল হজমের বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পেরেছে দুবার। তাই কোপা দেল রে’র এই ফাইনাল রিয়ালের জন্য শুধু ট্রফির লড়াই নয়, ঘুরে দাঁড়ানোরও বড় সুযোগ।

তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বড় দুঃসংবাদ পেতে হলো মাদ্রিদকে। 
গেতাফের বিপক্ষে গত রাতে লা লিগা ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জয় পেলেও ইনজুরিতে পড়েছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়—ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা এবং মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।

এই চোটে তারা ফাইনালে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ আনচেলোত্তি বলেন, ‘উভয়েরই (আলাবা-কামাভিঙ্গা) পেশিতে চোট লেগেছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি, তবে তাদের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।’

আরো পড়ুন
গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল

গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল

 

এর মধ্যেই কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ফেরলান্দ মেন্ডির অনুপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়া আলাবা ও ক্যামাভিঙ্গার ইনজুরি—ফাইনালের আগে রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রিয়াল কোচের জন্য।

এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই আনচেলোত্তিকে বিকল্প পরিকল্পনার দিকে তাকাতে হচ্ছে। বাম ডিফেন্সে দেখা যেতে পারে তরুণ ডিফেন্ডার ফ্রান গার্সিয়াকে। তবে তার কাজটা সহজ হবে না মোটেও—ফাইনালে তাকে থামাতে হবে বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় বালক, দারুণ ফর্মে থাকা লামিন ইয়ামালকে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ