সেঞ্চুরির পুরস্কার ‘হেয়ার ড্রায়ার’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
সেঞ্চুরির পুরস্কার ‘হেয়ার ড্রায়ার’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল
ম্যাচ শেষে জেমস ভিন্সকে একটি হেয়ার ড্রায়ার দেয় করাচি কিংস। ছবি : এক্স থেকে

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর শুরু হয়েছে জমজমাটভাবে। টুর্নামেন্টে শুরুর পরের দিন করাচি কিংসের ইংলিশ ব্যাটার জেমস ভিন্স মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ম্যাচ শেষে তাকে দেওয়া অদ্ভুত এক পুরস্কার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

শনিবার রাতে করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভিন্স মাত্র ৪৩ বলে ১০১ রান করেন।

তার ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে মুলতানের দেওয়া ২৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ৪ উইকেটে জয় পায় করাচি। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন ভিন্স। 

তবে মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচ শেষে দেওয়া একটি অদ্ভুত পুরস্কার নিয়ে।

অতিরিক্ত পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয় একটি হেয়ার ড্রায়ার! দলীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যাচের ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়’ হিসেবে তাকে এই উপহার দেওয়া হয়েছে। 

এই উদ্ভট পুরস্কার দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মিম ও ট্রল। একজন মজা করে লিখেন, ‘জেমস ভিন্স এখন বলবেন—'ম্যান অব দ্য ম্যাচ নয়, সালোন অব দ্য ম্যাচ! পরেরবার হয়তো শেভিং জেল বা শ্যাম্পু দিবে!’

আরেকজন আইপিএলের সাথে তুলনা করে ট্রল করে, ‘আইপিএলে খেলোয়াড়রা ম্যাচ জিতলে মেডেল বা চেইন পায়, আর পিএসএলে হেয়ার ড্রায়ার! মান নেই, দর্শক নেই, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও প্রতিযোগিতামূলক লিগের সাথে কোন তুলনাই চলে না।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শান্তদের বিশ্বাস করে যেন ভুলই করেছেন সিমন্স

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
শান্তদের বিশ্বাস করে যেন ভুলই করেছেন সিমন্স
জন্মদিনের উপহার হিসেবে শিষ্যদের কাছে সিলেটে জয় চেয়েছিলেন সিমন্স। কিন্তু আশাহত হয়েছেন তিনি। ছবি : কালের কণ্ঠ, সিলেট থেকে

হাট-বাজারে একটা কথা প্রচলিত আছে—‘বাকির কথা ফাঁকি’। অর্থাৎ বাকি দিয়েছেন তো ফাঁকির শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ ফিল সিমন্স মজা করে কি কিছু সময়ের জন্য নিজেকে এমনটা ভাবতে পারেন!

হয়তো পারেন। কেননা দোকানদারদের মতো কোনো কিছু বিক্রি না করলেও সিমন্সের যে প্রাপ্তির সুযোগ ছিল।

কিন্তু সেটা এখন হাতছাড়া হয়েছে তার। সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারায়। গত ২০ এপ্রিল টেস্ট সিরিজ শুরুর দুই দিন আগে জীবনের ৬২ বসন্তে পা দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ। এমন বিশেষ দিনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিষ্যদের কাছে জন্মদিনের উপহার হিসেবে এখন কিছু চান কি না?

আরো পড়ুন
‘পর্তুগিজ রোনালদো নন, ব্রাজিলের রোনালদোই সেরা’

‘পর্তুগিজ রোনালদো নন, ব্রাজিলের রোনালদোই সেরা’

 

সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন শুনে সিমন্স বলেছিলেন, ‘এখন কিছু চাই না।

টেস্ট জয়ই আমার জন্য বড় উপহার হবে।’ অন্য সব গুরুর মতোই শিষ্যদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন সিমন্স। বিশ্বাস রাখার যথেষ্ট কারণও হয়তো তার কাছে ছিল। ঘরের মাঠে সিরিজ বলে কথা!

প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, জয়ের আশা জাগা অমূলক নয়।

নিজেদের সোনালি সময় পার করে আসা আফ্রিকান দলটা এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে আছে। তাই শিষ্যদের ওপর ভরসা রেখে নিজের জন্মদিনের উপহারটা বাকির খাতায় রেখে দিয়েছিলেন সিমন্স। অন্য কোনো দল (অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা) হলে হয়তো এমনটা করতেন না কোচ!

তবে সিমন্স যেন ভুল পাত্রে নিজের বিশ্বাসকে সঁপে দিয়েছিলেন। যতই ঘরের মাঠে খেলা হোক না কেন, আর সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ কোচের ভুল ভেঙেছে।

22
জিম্বাবুয়ের কাছে ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে আত্মপক্ষ সমর্থন নেন শান্ত।
ছবি : কালের কণ্ঠ, সিলেট থেকে

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে কস্মিনকালেও ধারাবাহিক ছিল না। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটের এই কুলীন সংস্করণে বাংলাদেশ চলছে এলোমেলো পা ফেলে। মাঝে মাঝে যে চমক দেখায়নি তা অবশ্য নয়। ২২ জয় তো আর এমনি এমনিই আসেনি। তবে জয়গুলো ব্যতিক্রম হিসেবে ধরলে একটু নিরাপদ থাকা যায়। পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হয়। দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ২২ জয় এসেছে ১৫১ ম্যাচে। আর ১৮ ড্রয়ের বিপরীতে হার ১১১।

পরিসংখ্যানেই প্রমাণ করে টেস্টে বাংলাদেশ কেমন ধারাবাহিক ছিল। সঙ্গে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে চোখ বুলালে বিষয়টা পরিষ্কার হয়। পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করার পর নিজেদের পুরনো চেহারাতেই আবার ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ৬ টেস্টের পাঁচটিতেই হেরেছে। আর ‘সবেধন নীলমণি’ হয়ে জয়টি এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা।

তবে মাঠে নামার পর শান্তদের কাছে সবকিছুই বুমেরাং হয়ে ফিরে এলো। সেটিও সর্বশেষ ১০ টেস্টে জয়ের মুখ দেখতে না পারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সব কিছু নিজেদের পক্ষে থাকার পর হারকেই যেন পছন্দ করল বাংলাদেশ। হারকে কেউই বেছে নিতে না চাইলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলার কারণ, সিলেটে তাদের খেলার ধরন। বোলাররা অবশ্য দারুণ কিছুই করেছেন। কিন্তু টেস্টে জয় বা ড্র পেতে হলে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে সেই ব্যাটাররা কী করলেন? কিছুই যে করেননি এমন নয়, রান না করলেও আসা-যাওয়ার লাইনটা দীর্ঘ করেছেন।

আরো পড়ুন
হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ

হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ

 

প্রথমবার খেলতে আসা জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান বেনেট অপরিচিত কন্ডিশনে দুই ইনিংসে ফিফটি করে দলের জয়ে যখন অবদান রাখছেন তখন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মিলিয়েও পঞ্চাশ রানের জুটি গড়তে পারেননি। আবার সেট হওয়া ব্যাটাররা যখন আশা দেখিয়েছেন ঠিক তখনই ভূত মাথায় চেপেছে। বাজে শটে ইনিংসের মৃত্যু ডেকে এনে পরে সংবাদ সম্মেলনে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

যেমনটা গতকাল ম্যাচ শেষে হারের সকল দায় নিজের কাঁধে নিয়ে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করলেন অধিনায়ক শান্ত, ‘আজকের ম্যাচ নিয়ে যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন একজন অধিনায়ক হিসেবে, তাহলে পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি। সত্যি কথা। কারণ সকালের ওই আউটটাতেই (সব কিছু) নষ্ট হয়ে গেছে। এই পুরো ম্যাচে সবার দিকে আসলে (অভিযোগ) নিয়ে যেতে চাই না। পুরো দায়ভার আমি নিতে চাই। খুব বাজে সময়ে আমি আউট হয়েছি।’

22
সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ছেন। ছবি : কালের কণ্ঠ, সিলেট থেকে

ম্যাচ হারার পর এমন অকপট স্বীকারোক্তি অবশ্য নতুন নয়। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বা ক্রিকেটার পরিবর্তন হলেও তাদের মুখের কথা একই থাকে। অথচ কোন সময় কোন শট খেলতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে নিজেদের সংযম করতে হবে সবকিছু বুঝেন তারা। কিন্তু ম্যাচে প্রয়োগের সময় যেন খালি মাথায় মাঠে নামেন। 

ক্রিকেটের এসব বিষয়ে যিনি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেই মুশফিকুর রহিমও আবার পারফরম্যান্সে পেছনে পরে আছেন। এতটাই বাজে ছন্দে আছেন যে, সবশেষ ১২ ইনিংসে করতে পারেননি একটি ফিফটিও। যেন নিজের জায়গাটা ধরে রেখেছেন ‘সিনিয়র’ কোটায়। কারণ, বয়স তো আর কম হলো না। সামনের মাসেই ৩৮ বছর পূর্ণ করবেন তিনি। অন্য দুই সংস্করণ থেকে অবসর নিলেও অভিজাত সংস্করণে এমন পারফরম্যান্সের পরও একাদশে টিকে যাওয়ার কারণ আর কীবা হতে পারে!

আরো পড়ুন
এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

 

সমন্বয়হীনতার অভাবে তাই সিলেট টেস্টে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে। এতে হারের ক্ষত নিয়ে সিমন্সের আফসোসটা আরো বেড়ে গেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিকই হয়তো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজবেন বাংলাদেশি কোচ। আর সেটি হচ্ছে ঠকে যাওয়া সেই সব দোকানদারদের মতো। যারা এমন কিছুর থেকে রক্ষা পেতে দোকানে বড় অক্ষরে ঝুলিয়ে রাখেন কিংবা মুখে বলে দেন, ‘বাকি চাহিয়া আর লজ্জা দিয়েন না’।

মন্তব্য

‘পর্তুগিজ রোনালদো নন, ব্রাজিলের রোনালদোই সেরা’

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
‘পর্তুগিজ রোনালদো নন, ব্রাজিলের রোনালদোই সেরা’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রোনালদো নাজারিও। ছবি : সংগৃহীত

দুজনই ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে রোনালদো নাজারিও ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিতে বলা হলে ভাবতে তো হবেই। অনেকে ভাবতে সময় নিলেও জুলিও বাপতিস্তা সেই সময় নিতে চান না।

 

রোনালদো নাজারিওকেই সেরা বলে মনে করেন বাপতিস্তা। স্বদেশি বলেই ফেনোমেনকে বেছে নিয়েছেন এমনটা মনে করেন না ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার। কোয়ালিটির কারণেই সিআর সেভেনের থেকে আর নাইনকে এগিয়ে রাখেন বলে জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনালের হয়ে খেলা এই সাবেক ফরোয়ার্ড।

আরো পড়ুন
হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ

হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ

 

রোনালদো নাজারিওর পারফরম্যান্সকে ‘মাথা নষ্ট’ পারফরম্যান্স বলেই মনে করেন বাপতিস্তা।

সম্প্রতি ফুটবল ইতালিয়া ডট কম নামে এক ওয়েবসাইটকে তিনি বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারে তারা অনেক বিশেষ কিছু করেছে। অবশ্যই, সময়ের হিসেবে ধরলে ক্রিস্টিয়ানোকে নিয়ে কোনো বিতর্কই হতে পারে না। কিন্তু কোয়ালিটি এবং ফর্মের বিষয়ে চোটের আগে ব্রাজিলিয়ান রোনালদোকে দেখেছি আমি। রোনালদো অতীতে যা করেছে আর কোনো খেলোয়াড়কে এমনটা করতে দেখিনি।
যা করেছে তার জন্য সে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তার পারফরম্যান্স সত্যি মাথা নষ্ট করার মতো। তাই আমার পছন্দ অবশ্যই স্বদেশি।’

ক্রিস্টিয়ান ও রোনালদো দুজনই পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার প্রসিদ্ধ করেছে। সিআর সেভেন তো ৪০ বছর বয়সেও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বুট জোড়া তুলে রাখার আগে বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে হাজার গোলের রেকর্ড গড়তে চান তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো বিশ্বকাপ না জিতলেও নিজ দেশের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে ক্লাব পর্যায়ে ৫টি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন। ঘরোয়া লিগের শিরোপা তো জিতেছেনই। সঙ্গে পাঁচবার ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন রিয়ালের কিংবদন্তি।

আরো পড়ুন
এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

 

অন্যদিকে ক্লাব পর্যায়ে কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি রোনালদো নাজারিও। তবে তার নামের পাশে দুটি বিশ্বকাপ জ্বলজ্বল করছে। সঙ্গে দুইবার ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি। পর্তুগিজ তারকার আগে খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদেও। খেলেছেন ইতালির লিগ সিরি আতেও।

মন্তব্য

হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতীয় কোচ
মেইলে হত্যার হুমকি পেয়েছেন গম্ভীর। ছবি ; ক্রিকইনফো

হত্যার হুমকি পেয়েছেন গৌতম গম্ভীর। ভারতের কোচকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুটি বার্তা দিয়েছে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’ নামের একটি সংগঠন। এমনটিই জানিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই।

গম্ভীরকে দুই বার মারার হুমকি দেওয়া হলেও বার্তা একই ছিল।

বার্তায় লেখা ছিল, ‘আমি তোমাকে খুন করব।’ প্রথমটি দুপুরে আর দ্বিতীয়টি সন্ধ্যার দিকে পাঠানো হয়। ভারতের সাবেক ওপেনার যেদিন বার্তা পান সেদিনই কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন ব্যক্তি নিহত হন সন্ত্রাসীদের হামলায়।

আরো পড়ুন
এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

 

মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পর দ্রুতই রাজধানী দিল্লির রাজিন্দরনগর পুলিশ স্টেশন ও ডিসিপি সেন্ট্রাল দিল্লিকে জানান গম্ভীর।

তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) হার্শা বর্ধন। তিনি বলেছেন, ‘ইমেলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি পাওয়া গম্ভীরের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।’ সঙ্গে তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি।

আরো পড়ুন
কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয়

কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয়

 

এবারই প্রথম হুমকি পেয়েছেন গম্ভীর এমনটা অবশ্য নয়, আগেও পেয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে তখন বিজেপির সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার নিহতের ঘটনায় ৪৩ বছর বয়সী কোচ সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘হতাহত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। চরম মুল্য দিতে হবে দায়ীদের।’

মন্তব্য

এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
এ বছর হচ্ছে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

এ বছরের জুন-জুলাইয়ে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু আচমকা এক ঘোষণা দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) জানিয়েছে, এ বছর হচ্ছে না এই আসর। প্রতিযোগিতার ১৫তম আসরটি আগামী বছর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আগামী জুন-জুলাইয়ে এবারের আসরটি আয়োজনের কথা এর আগে জানিয়েছিল সাফ কর্তৃপক্ষ।

তবে ভেন্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত তখন চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা; সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে শোনা গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার নাম।

বৃহস্পতিবার সাফ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নতুন সিদ্ধান্ত জানায়। সেখানে বলা হয়েছে, সাফ, এর সদস্য দেশগুলো এবং স্পোর্টফাইভ (কমার্শিয়াল রাইটস হোল্ডার) মনে করে, আরো ভালোভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাই এ বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে, আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ