কিলিয়ান এমবাপ্পেকে আগলে রাখার কোনো চেষ্টাই করলেন না রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ডেভিড আনচেলত্তি। আসলে এমবাপ্পে যে ফাউলটা করে লাল কার্ড দেখেছেন তাতে তাকে আগলে রাখার কোনো পথ খোলা ছিল না রিয়ালের সহকারী কোচের সামনে।
তাই ম্যাচ শেষে দ্বিধাহীন কণ্ঠে ডেভিড আনচেলত্তি জানালেন, এমবাপ্পে তার অপরাধের শাস্তি পেয়েছে। রিয়ালের সহকারী কোচ এমনটিও জানিয়েছেন যে, তার শিষ্য হিংস্র নন।
কার্ড নিষেধাজ্ঞার কারণে কোচ কার্লো আনচেলত্তির বদলে ডাগআউটে দাঁড়ানো তার ছেলে বলেছেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার কথা হয়নি। প্রথম, আমরা বলতে চাই সে হিংস্র নয়। ঘটনাটির জন্য সে ক্ষমা চেয়েছে। সে যা করেছে তার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আলভাসের মিডফিল্ডার অ্যান্তনিও ব্ল্যাংকোকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন এমবাপ্পে। রেফারি সিজার সোতো গ্রাদো সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে ভিএআরের সহায়তায় লাল কার্ড দেখান। তবে লাল কার্ডেই পার পাচ্ছেন না এমবাপ্পে। ভয়ংকর ফাউলের শাস্তি হিসেবে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন তিনি।
আরো পড়ুন
সেঞ্চুরির পুরস্কার ‘হেয়ার ড্রায়ার’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল
এমবাপ্পের লাল কার্ড নিয়ে ডেভিড আনচেলত্তির আপত্তি না থাকলেও কেন— এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তার শিষ্য সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। কার্লো আনচেলত্তির ছেলে বলেছেন, ‘লাল কার্ডই ছিল। সে অপরাধের শাস্তি পেয়েছে। নিশ্চিতভাবেই তাকে করা ম্যাচের ছোট ছোট ফাউলগুলো এই প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করেছে। তবে তার এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছে।’
আরো পড়ুন
সেঞ্চুরিতে বাবার ‘কুসংস্কার বিশ্বাস’ ভাঙলেন অভিষেক
এমবাপ্পের জন্য রাতটা খারাপ গেলেও রিয়ালের জন্য ছিল না। ম্যাচের অর্ধেকের বেশি সময় ১০ জন নিয়ে ম্যাচ খেললেও হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে লস ব্ল্যাংকোসরা। এমবাপ্পের মাঠ ছাড়ার আগেই ১-০ ব্যবধানের জয়ের কাজটি সেরে রেখেছিলেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলটি করেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার।