লাহোরের মালিকের চোখে রিশাদ ‘গেম চেঞ্জার’

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
লাহোরের মালিকের চোখে রিশাদ ‘গেম চেঞ্জার’
রিশাদের উইকেট উদযাপন। ছবি : এক্স থেকে

যথার্থই বলেছেন লাহোর কালান্দার্সের মালিক সামিন রানা। গতকাল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৭৯ রানের জয়ের পর রিশাদ হোসেনকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে সম্বোধন করেছেন দলটির অন্যতম মালিক ও প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও)।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে প্রথমবার বিদেশের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে নামেন রিশাদ। আর তাতে অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

৩১ রান খরচ করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম উইকেট নেওয়ার সময় ম্যাচের ভাগ্যও নির্ধারণ করে দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। কেননা ২৩১.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ রান করা রাইলি রুশো তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতেছিলেন। দারুণ এক গুগলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারকে বোল্ড করেন।
পরে মোহাম্মদ আমির ও আবরার আহমেদের উইকেট নেন।

আরো পড়ুন
এমবাপ্পে অপরাধের শাস্তি পেয়েছে, বলছেন রিয়াল কোচ

এমবাপ্পে অপরাধের শাস্তি পেয়েছে, বলছেন রিয়াল কোচ

 

ম্যাচ জয়ের পর তাই রিশাদের প্রশংসা করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করলেন না সামিন। প্রশংসা করার সময় রিশাদকে ‘বাংলাদেশি ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। দলটির সিওও বলেছেন, “বাংলাদেশি ভাইকে নিয়ে কী বলতে পারি...রিশাদ, আমার মনে হয় তুমি ‘গেম চেঞ্জার’।

তুমি যেভাবে বল করেছ, তাতে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং বুঝিয়ে দিয়েছ এবারের টুর্নামেন্টে সেরা বোলিং আক্রমণ এই দলের।”

আরো পড়ুন
পিএসএল অভিষেকে দ্যুতি ছড়ালেন রিশাদ

পিএসএল অভিষেকে দ্যুতি ছড়ালেন রিশাদ

 

লাহোরের মালিকের কাছ থেকেই শুধু এমন প্রশংসা পাননি রিশাদ। সতীর্থ স্যাম বিলিংসের কাছে পেয়েছেন। ম্যাচে ৫০ রান করা ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন, ‘দলে কয়েকজন দক্ষ বোলার আছে। রিশাদ এসেই যেভাবে খেলেছে, তা দারুণ।

সে অসাধারণ বল করেছে, বল স্পিন করাতে চেয়েছে। এই সংস্করণে কবজির স্পিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাইলি রুশোর উইকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তার পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুঃসময়ে জোড়া দুঃসংবাদ পেল রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
দুঃসময়ে জোড়া দুঃসংবাদ পেল রিয়াল
কার্লো আনচেলোত্তি। ছবি : রিয়াল মাদ্রিদ ওয়েবসাইট

সময়টা ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। গত সপ্তাহে আর্সেনালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে লস ব্লাঙ্কোরা। লা লিগাতেও শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা—শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে, হাতে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ।

এর মাঝেই সামনে আরো একটি বড় পরীক্ষা।

আগামী শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে আনচেলোত্তির শিষ্যরা। মৌসুম বাঁচাতে এই ফাইনালই এখন রিয়ালের বড় ভরসা।

আরো পড়ুন
উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

 

ম্যাচটি একে তো ফাইনাল, তারওপর প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি দুবারের দেখায় বার্সেলোনার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কার্লো আনেচেলোত্তির দল।

৯ গোল হজমের বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পেরেছে দুবার। তাই কোপা দেল রে’র এই ফাইনাল রিয়ালের জন্য শুধু ট্রফির লড়াই নয়, ঘুরে দাঁড়ানোরও বড় সুযোগ।

তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বড় দুঃসংবাদ পেতে হলো মাদ্রিদকে। 
গেতাফের বিপক্ষে গত রাতে লা লিগা ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জয় পেলেও ইনজুরিতে পড়েছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়—ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা এবং মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।

এই চোটে তারা ফাইনালে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ আনচেলোত্তি বলেন, ‘উভয়েরই (আলাবা-কামাভিঙ্গা) পেশিতে চোট লেগেছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি, তবে তাদের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।’

আরো পড়ুন
গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল

গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল

 

এর মধ্যেই কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ফেরলান্দ মেন্ডির অনুপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়া আলাবা ও ক্যামাভিঙ্গার ইনজুরি—ফাইনালের আগে রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রিয়াল কোচের জন্য।

এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই আনচেলোত্তিকে বিকল্প পরিকল্পনার দিকে তাকাতে হচ্ছে। বাম ডিফেন্সে দেখা যেতে পারে তরুণ ডিফেন্ডার ফ্রান গার্সিয়াকে। তবে তার কাজটা সহজ হবে না মোটেও—ফাইনালে তাকে থামাতে হবে বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় বালক, দারুণ ফর্মে থাকা লামিন ইয়ামালকে। 

মন্তব্য

উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
উদযাপন করতে গিয়ে সতীর্থকে চড়, উদ্ভট কাণ্ড ঘটালেন পাকিস্তানি বোলার

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরে প্রথম জয় তুলে নেয়ার ম্যাচে এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তের জন্ম দিলেন মুলতান সুলতান্সের পেসার উবায়েদ শাহ। ভিডিওতে দেখা যায় উইকেট পাওয়ার পর উদযাপন করতে গিয়ে দলীয় সতীর্থ উসমান খানের মাথায় লাগিয়ে বসেন এক চড়।

ঘটনাটি ঘটে ২২ এপ্রিল মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে ম্যাচে। লাহোরের ইংলিশ ব্যাটার স্যাম বিলিংসকে আউট করার পর আবেগে ভেসে যান উবায়েদ।

হঠাৎ করেই তিনি লাফিয়ে উঠে হাত ঘুরিয়ে উদযাপন করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত উসমান খানের মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করে বসেন। তখন উসমান খানের মাথায় হ্যাট থাকলেও, কোনো হেলমেট ছিল না।

দুর্ঘটনাটি ঘটার পরপরই মাঠে ছুটে আসেন মেডিকেল টিম। উসমান খান প্রাথমিক চিকিৎসার পর আঙুল তুলে জানান ‘আমি ঠিক আছি’ এবং খেলা চালিয়ে যান।

সতীর্থরাও তৎক্ষণাত উদ্বেগ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়।

এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার মাঝেও উবায়েদ শাহ বল হাতে রাখেন দারুণ প্রভাব। ম্যাচে তিনি ৪ ওভারে ৩টি উইকেট নিয়ে লাহোরের রান তাড়ায় লাগাম টানেন। 

মন্তব্য

১৫ বছর, ০ ট্রফি : এবার কি বদলাবে কেইনের ভাগ্য?

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
১৫ বছর, ০ ট্রফি : এবার কি বদলাবে কেইনের ভাগ্য?
হ্যারি কেইন।

টটেনহামে কাটিয়েছেন ১৪ বছরেরও বেশি সময়। হ্যারি কেইন যে ক্লাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, যেখানে একের পর এক গোল করে নিজের নাম তুলেছেন উঁচুতে, সেই ক্লাবই গত বছর ছেড়েছিলেন অধরা শিরোপার স্বাদ পেতে। কিন্তু হায়! বায়ার্ন মিউনিখেও নিজের অভিষেক মৌসুমে শিরোপার সন্ধান মেলেনি কেইনের। মৌসুমে বায়ার্নও ছিল শিরোপাহীন।

তাই গোলের পর গোল করা কেইনকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দেন বায়ার্ন সমর্থকরা। অবশেষে ‘অভিশাপ’ ঘুচানোর দ্বারপ্রান্তে ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড। ক্লাব ও জাতীয় দলে ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথমবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে আর মাত্র দুটি জয় থেকে দূরে হ্যারি কেইন।

জার্মান লিগে ৩০ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন।

দুইয়ে থাকা লেভারকুসেন পিছিয়ে আট পয়েন্টে। পরের দুটি ম্যাচ জিতলে কোনো হিসাব ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হবে বায়ার্ন। আর ২৬ এপ্রিল বায়ার্ন যদি নিজেদের ম্যাচ জিতে যায় এবং অন্য ম্যাচে অর্গসবার্গের কাছে লেভারকুসেন হেরে গেলে সেদিনই হতে পারে বায়ার্নের শিরোপা উৎসব। আর ট্রফি ছুঁয়ে দেখবেন কেইন।

টটেনহাম, বায়ার্ন মিউনিখ ও ইংল্যান্ড; যেখানেই খেলেছেন সেখানেই বারবার দূর থেকে ট্রফি দেখতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৫ সালে লিগ কাপ ফাইনাল দিয়ে শুরু। চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় টটেনহাম। দুই বছর পর প্রিমিয়ার লিগে আশা জাগিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি স্পার্সরা। চেলসির পেছনে থেকে টটেনহাম লিগ শেষ করলেও ২৯ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন কেইন।

২০১৯ সালে সঙ্গী হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ পরাজয়ের হতাশা। সেবার লিভারপুলের কাছে টটেনহামের হার ২-০ ব্যবধানে। ২০২১ সালে আবারও লিগ কাপ ফাইনালে হার, এবার ম্যানচেস্টার সিটি কাছে ১-০ গোলে। একই বছর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খুব কাছে গিয়েও হতাশা সঙ্গী কেইনের। ওয়েম্বলিতে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হার ইংলিশদের। পরের ইউরোতেও ফাইনালে ইংল্যান্ড, কিন্তু এবারও অপেক্ষা ফুরায়নি কেইনের। স্পেনের কাছে হার ২-১ গোলে। তাতে কেইনের গোলের মোড়ানো ক্যারিয়ারে শুধু অপেক্ষা বেড়েই চলে।

এবার লিগে ২৮ ম্যাচে ২৪ গোল করেছেন ৩১ বছরের এই ফুটবলার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল ৩৬টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বায়ার্ন। দলটির সব মনোযোগ এখন লিগ ঘিরে। পরের দুটি ম্যাচ জিতলেই বায়ার্নের শিরোপা পুনরুদ্ধারের সঙ্গে অপেক্ষা ফুরাবে কেইনের। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য দিন গণনা ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। 

মন্তব্য

গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
গুলেরের গোলে শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখল রিয়াল
গেতাফের বিপক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন আর্দা গুলের। ছবি : রিয়াল ওয়েবসাইট

লা লিগায় শিরোপার লড়াইয়ে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। তরুণ তারকা আর্দা গুলেরের একমাত্র গোলে গেতাফেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান চারে নামিয়ে এনেছে লস ব্লাঙ্কোরা।

গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর চাপের মুখে পড়া রিয়াল মাদ্রিদের জন্য ম্যাচটি ছিল প্রমাণের মঞ্চ। কার্লো আনচেলত্তির দল চাপ সামলে নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্সে তুলে নেয় গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট।

ম্যাচের ২১তম মিনিটে গুলেরের জোরালো শট গেতাফের গোলরক্ষক সোরিয়ার হাত ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচে রিয়াল একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে গেতাফেও কয়েকবার আক্রমণে ওঠে, কিন্তু থিবো কোর্তোয়ার দুর্দান্ত সেভে তারা গোল বঞ্চিত হয়।

আসন্ন কোপা দেল রে ফাইনালের কথা মাথায় রেখে রিয়াল মাদ্রিদের একাদশে ছয়টি পরিবর্তন আনেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

কার্ড নিষেধাজ্ঞার কারণে কিলিয়ান এমবাপ্পে আগে থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। এদিন বেঞ্চে রাখা হয় জুড বেলিংহাম ও রদ্রিগোকেও। এছাড়াও একাদশে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ লুকা মড্রিচ, অ্যান্তোনিও রুডিগার ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার। তাদের জায়গায় শুরু থেকে মাঠে নামেন তিন তরুণ প্রতিভা—এন্ড্রিক, আর্দা গুলের ও ব্রাহিম দিয়াজ।

ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে হঠাৎ করেই খেলা কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায়। রেফারি দুই দলের ম্যানেজার ও এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন। তার আগে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার চুয়োমেনি রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু অভিযোগ তোলেন। এরপর স্টেডিয়ামে ঘোষণা দিয়ে দর্শকদের বর্ণবাদী মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

শেষ পর্যন্ত আর্দা গুলেরের একমাত্র গোলে রিয়াল মাদ্রিদ মাঠ ছাড়ে স্বস্তির জয় নিয়ে।

এই জয়ে লিগের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন মাত্র চার পয়েন্ট, বাকি আছে পাঁচটি ম্যাচ। সামনে ১১ মে এল ক্লাসিকো –যা শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এর আগে সেভিয়ার মাঠে আগামী শনিবার কোপা দেল রে’র ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা। 

ম্যাচ শেষে মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেন, ‘আজকের লক্ষ্য ছিল তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করা, আর সেটা আমরা করতে পেরেছি।প্রথমার্ধে দল দারুণ খেলেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটু ভুগতে হয়েছে, কারণ গেতাফে তখন আমাদের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ