<p>সম্ভব্য স্থল হামলার আগে পূর্ব রাফাহ থেকে প্রায় ১ লাখ মানুষকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন বলে আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব আগেই ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, রাফাহতে সামরিক অভিযান হলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে পড়বে। কারণ সেখানে ১.৫ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।</p> <p>সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে মুওয়াসি নামক ইসরায়েল-ঘোষিত মানবিক অঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল সীমিত পরিসরে অভিযান চালাবে। শোশানি বলেন, ইসরায়েল একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে এবং সরে যাওয়ার জন্য বিমান থেকে লিফলেট ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে সর্কতা জারি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল মুওয়াসিতে ফিল্ড হাসপাতাল, তাঁবু, খাবার ও পানিসহ মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করছে। </p> <p>নাম প্রকাশ না করে মার্কিন এক কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন,  ইসরায়েল চলতি সপ্তাহে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করেছে।</p> <p>ওই কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন প্রসাশন ইরায়েলিদের বিস্তারিত পরিকল্পনাটি জানার পরও মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেনি। তারা বলেছে,  রাফাহ অভিযানের ফলে অনেক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ঝুঁকিতে ফেলে দিবে। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই অভিযানের বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আমরা এখনও এমন অভিযানের পরিকল্পনা দেখিনি, যা আমাদের নিশ্চিত করবে যে বেসামরিক নাগরিক  সুরক্ষিত থাকবে।”</p> <p>আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যরাও রাফাহ আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। কারণ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল রাফাহ।</p> <p>সূত্র: আলজাজিরা</p>