আরো ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আরো ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা আমেরিকান-ইসরায়েলি নাগরিক কিথ সিগেলকে মুক্তি দিয়েছে। ছবি : এএফপি

আরো তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী গোষ্ঠী হামাস। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে দুইজন এবং গাজা সিটিতে অন্য জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপের চতুর্থ পর্যায়ে তাদের মুক্তি দিল হামাস।

ইসরায়েল পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।

তবে আলজাজিরা বলছে, তিন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে শনিবারই ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলিরা হলেন— ইয়ারদেন বিবাস (৩৪), মার্কিন-ইসরায়েলি কিথ সিগেল (৬৫) ও ফরাসি-ইসরায়েলি অফার ক্যালদেরন (৫৩)।

আরো পড়ুন
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইটনের দাবানল শতভাগ নিয়ন্ত্রণে

লস অ্যাঞ্জেলেসের ইটনের দাবানল শতভাগ নিয়ন্ত্রণে

 

গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত গাজা সিটিতে একই রেড ক্রস কর্মকর্তাদের কাছে আমেরিকান-ইসরায়েলি নাগরিক কিথ সিগেলকে হস্তান্তর করা হয়। খান ইউনিস এবং গাজা উভয় স্থানে শত শত হামাস যোদ্ধাকে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পাঁচজন ও তিন ইসরায়েলিসহ মোট আটজনকে মুক্তি দেয় হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পায় ১১০ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ছয় সপ্তাহের ধাপে হামাস ৩৩ জন নারী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও আহত বন্দিকে মুক্তি দেবে। প্রতি বেসামরিক জিম্মির জন্য ইসরায়েল ৩০ জন বন্দি এবং প্রতি সেনার জন্য ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে।

ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার কথা। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি
প্রতীকী ছবি : চ্যাটজিপিটি দিয়ে তৈরি

এয়ারটেল ভারতের গ্রাহকদের কাছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংকের উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। দুই কম্পানির বরাত দিয়ে এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ভারতে স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি। তবে স্পেসএক্সকে ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে হবে।

এয়ারটেল ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে এয়ারটেলের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে স্টারলিংকের সরঞ্জাম সরবরাহ, এয়ারটেলের মাধ্যমে ব্যবসায়িক গ্রাহকদের স্টারলিংক পরিষেবা দেওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রদায়, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার এই পদক্ষেপ এয়ারটেলের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’  

স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইন্টারনেটব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রত্যন্ত স্থানেও স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, রিমোট ওয়ার্কসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করে।  

এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল বলেছেন, ‘এই অংশীদারি আমাদের ভারতের সর্বদূরবর্তী এলাকাতেও বিশ্বমানের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি, ব্যবসা ও সম্প্রদায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা পায়। স্টারলিংক এয়ারটেলের পণ্যসম্ভারকে আরো শক্তিশালী করবে, যাতে ভারতের গ্রাহকরা যেখানেই বসবাস বা কাজ করুক না কেন, তারা যেন নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড সুবিধা পেতে পারে।’

অন্যদিকে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল বলেছেন, ভারতের টেলিকম শিল্পে এয়ারটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তাই স্পেসএক্সের সরাসরি পরিষেবার পরিপূরক হিসেবে তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ব্যবসায়িকভাবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।  

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে ও স্টারলিংকের রূপান্তরকারী প্রভাব ভারতের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। আমরা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হই যখন দেখি, মানুষ, ব্যবসা ও সংস্থাগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কী কী অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক কাজ করছে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারে শীর্ষে রয়েছে, যার এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ওয়্যার্ড ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে। একই সঙ্গে জিওর প্রায় ৫০ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

এয়ারটেলেরও প্রায় ৩০ কোটি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।

তবে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ রয়েছে, দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয়ে স্পেকট্রাম কিনেও তারা এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

মন্তব্য

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সেজে বিধায়কদের কাছে অর্থ দাবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সেজে বিধায়কদের কাছে অর্থ দাবি
গ্রেপ্তারকৃতদের ইম্ফলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : এক্স থেকে সংগৃহীত

ভারতের মণিপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ সেজে বিধায়কদের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি দাবি করেছিল প্রতারকচক্র। সম্প্রতি এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবককে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে আনা হয়েছে ইম্ফলে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মণিপুর বিধানসভার স্পিকার থোকচোম সত্যব্রত সিংয়ের কাছে একটি ফোন আসে।

অপর প্রান্ত থেকে পুরুষকণ্ঠ জানায়, তিনি অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ। এরপর মন্ত্রী পদের জন্য সত্যব্রতের কাছে চার কোটি রুপি দাবি করা হয়। শুধু স্পিকারই নয়, ফেব্রুয়ারিজুড়ে মণিপুরের আরো কয়েকজন নেতাকে একইভাবে ফোন করে টাকা দাবি করেছিল প্রতারকচক্রটি। আর প্রতিবারই অর্থ চাওয়া হয়েছে জয় শাহর নাম করে।
 

এ ঘটনার দেশটির পুলিশ তিনজকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে তাদের দিল্লি থেকে মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮(৪) ও ৩১৯(২) ধারার অধীনে প্রতারণা ও ছদ্মবেশ ধারণের মামলা করা হয়েছে।

এ ছাড়া পৃথক একটি ঘটনায় ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিও জয় শাহ সেজে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি বিধায়ক আদেশ চৌহানের কাছ থেকে পাঁচ লাখ রুপি দাবি করেছিলেন।

মন্তব্য

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ আদালতের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ আদালতের
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি : এএফপি

বিপদ বাড়ল দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে এবার তার বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিলেন দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত। তার সঙ্গে আপের আরো কয়েকজন নেতানেত্রীর বিরুদ্ধেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

কেজরিওয়াল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা সরকারি অর্থ অপব্যবহার করেছিলেন। সরকারি বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বড় বড় বিজ্ঞাপন বোর্ড দিয়েছিলেন তারা। মঙ্গলবার দিল্লির নিম্ন আদালতে সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল।

শুনানিতে বিচারক দিল্লি পুলিশকে কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে ওই অভিযোগের তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে পুলিশকে। কেজরিওয়াল ছাড়া আপ নেতা গুলাব সিং ও নেত্রী নিকিতা শর্মার বিরুদ্ধেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই একই অভিযোগে মামলা করার আবেদন জানানো হয়েছিল দিল্লির নিম্ন আদালতে।

যদিও সেই সময় মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় এই একই অভিযোগে আপকে সুদসহ ১৬৩ কোটি ৬২ লাখ রুপি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, প্রকল্পের প্রচারের জন্য আপ সরকারের জন্য যা বরাদ্দ ছিল, তার থেকে বেশি খরচ করেছে তারা। পদ্মশিবিরের দাবি, ‘বিজনেস ব্লাস্টার্স’ প্রকল্পে ৫৪ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা খরচ করে ৮০ কোটি রুপি।

শুধু এই একটা প্রকল্প নয়, আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেছিল বিজেপি।

মন্তব্য

পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে দেশে প্রবেশ করতে দিল না যুক্তরাষ্ট্র

    কূটনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে উদ্বেগ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে দেশে প্রবেশ করতে দিল না যুক্তরাষ্ট্র
তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত কে কে ওয়াগান। ফাইল ছবি : ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত

তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত কে কে ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউজ মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত কে কে ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিবাসনসংক্রান্ত আপত্তি ছিল, যার কারণে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূত ওয়াগান বৈধ মার্কিন ভিসা ও প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি নিয়েই ব্যক্তিগত সফরের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসে যাচ্ছিলেন। তবে সেখানে পৌঁছনোর পর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে দেয়। পরবর্তীতে কর্মকর্তারা তাকে তিনি যেখান থেকে গিয়েছেন সেখানে ফেরত যেতে বাধ্য করেন, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও এই সিদ্ধান্তের প্রকৃতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।  

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে নিশ্চিত করে, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।

তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এ বিষয়ে যেন কোনো ধরনের অনুমান করা না হয়, কারণ এটি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে দ্য নিউজের সূত্র জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থা ওয়াগানকে ‘বিতর্কিত ভিসা রেফারেন্সের’ কারণে চিহ্নিত করে, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। তবে ঠিক কী কারণে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

 

ওয়াগান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক কূটনীতিক। তিনি কাঠমাণ্ডুতে পাকিস্তানের দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব, লস অ্যাঞ্জেলেসে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে ডেপুটি কনসাল জেনারেল, ওমানের রাজধানী মাসকাটে রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নাইজারে পাকিস্তানের দূতাবাসে মিশনপ্রধান ছিলেন এবং ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসী পাকিস্তানি ও কনস্যুলার বিষয়ক শাখার মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।  

এদিকে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় ওয়াগানকে ইসলামাবাদে ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনা ইতিমধ্যে পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনৈতিক নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

 

সূত্র আরো জানিয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লস অ্যাঞ্জেলেসের কনস্যুলেটকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ