বিবিসির বিশ্লেষণ

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক সৌদি আরবে হওয়ার কথা কেন উঠল

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক সৌদি আরবে হওয়ার কথা কেন উঠল
(বাঁ থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, মুহাম্মদ বিন সালমান, ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথ খোঁজার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌদি আরবে বৈঠক করতে পারেন তিনি। এরপর অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে, তিনি কেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে উপসাগরীয় দেশটিকে বেছে নিলেন। তিনি বৈঠকের নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি, তবে এটি শিগগিরই হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমনকি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানও এতে অংশ নিতে পারেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেছেন। সৌদি আরব এক বিবৃতিতে ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ ও দেশটিতে সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’

নিরপেক্ষ স্থান
আসন্ন ট্রাম্প-পুতিন সম্মেলনের জন্য চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

তবে মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল সেলেম মনে করেন, ‘ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের জন্য সৌদি আরব একটি যৌক্তিক পছন্দ, কারণ এটি নিরপেক্ষ ভেন্যু।’

তিনি ব্যাখ্যা করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনো ইউরোপীয় দেশে এই বৈঠক আয়োজন সম্ভব নয়।

আরো পড়ুন
মস্কো ও কিয়েভ আসলে কী চায়

মস্কো ও কিয়েভ আসলে কী চায়

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক খাত্তার আবু দিয়াব বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে জেনেভার মতো স্থান বেছে নেওয়া হতো। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় এবার বিকল্প হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সৌদি আরব পুতিনের সঙ্গে সফলভাবে পারস্পরিক স্বার্থ ও আস্থার ভিত গড়ে তুলেছে এবং দেশটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়, যা পুতিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে পুতিনের সেখানে গেলে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবে গেলে পুতিনের গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই।

সম্প্রতি রিয়াদের মধ্যস্থতায় এক বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে রাশিয়া তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকা মার্কিন শিক্ষক মার্ক ফোগেলকে মুক্তি দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের মতে, মার্ক ফোগেলের মুক্তিতে সৌদি যুবরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সৌদি আরব আগে থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে একাধিকবার স্বাগত জানিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এ উদ্দেশ্যে দেশটি জেদ্দায় একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং উভয় দেশের আস্থা অর্জন করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পুতিনের রিয়াদ সফরের সময় সৌদি যুবরাজ তাকে ‘সরকারিভাবে ও জনগণের কাছে সৌদি আরবের বিশেষ ও সম্মানিত অতিথি’ বলে অভিহিত করেন।

আরো পড়ুন
‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ছাড়া যুদ্ধ প্রকৃত অর্থে শেষ হবে না’

‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ছাড়া যুদ্ধ প্রকৃত অর্থে শেষ হবে না’

 

উপসাগরীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশ্লেষক আবদুল্লাহ বাবুদ মনে করেন, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো সৌদি আরবও বিভিন্ন ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চায় এবং নিজেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

বাবুদ মনে করেন, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক আয়োজন করে সৌদি আরব কূটনৈতিক সুবিধা পেতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থে রিয়াদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিনিময়ে আসতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হতে পারে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর, যে চুক্তি চারটি আরবদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।

অন্যদিকে পল সেলেমের মতে, ট্রাম্প অর্থনৈতিক, আর্থিক, বিনিয়োগ ও কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ক আরো মজবুত করতে চান। তিনি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি-ইসরায়েল চুক্তির জন্য কাজ করতে আগ্রহী।

এ ছাড়া স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের অধ্যাপক ড. নিদাল চৌকের মনে করেন, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যনীতি, বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সৌদি আরবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাপের কথাও তুলে ধরেন, বিশেষ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার বাসিন্দাদের উপসাগরীয় দেশে স্থানান্তরের যে মন্তব্য করেছেন, তা সৌদি আরব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণে সৌদি আরবের ওপর চাপ আরো বাড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আরো পড়ুন
‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান জেলেনস্কির

‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান জেলেনস্কির

 

তেল
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদক দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, এর পরই সৌদি আরব ও রাশিয়ার অবস্থান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ২২টি তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট ওপেক প্লাসের আট সদস্য দেশ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা স্থগিত করে। কারণ তারা প্রত্যাশার চেয়ে কম চাহিদা ও অনুমোদিত নয়—এমন দেশের তেল উৎপাদনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছিল। বিশ্লেষক আবদুল্লাহ বাবুদের মতে, বড় তেল উৎপাদক দেশ হিসেবে সৌদি আরব ও রাশিয়ার স্বার্থ অভিন্ন। তিনি আশা করেন, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পাশাপাশি বৈশ্বিক তেলের দাম ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

বাবুদ বলেন, ‘ট্রাম্প সম্ভবত মার্কিন জ্বালানি কম্পানিগুলোর জন্য অপরিশোধিত তেলের ভালো দাম নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে অতীতে তিনি কম দামের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা তার জীবাশ্ম জ্বালানি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্প পরিশোধিত জ্বালানির তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেন, যা সৌদি আরবের মতো বড় তেল রপ্তানিকারক দেশের ভূমিকার সঙ্গে মিলে যায়। কেননা সৌদি আরবও জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই তাদের স্বার্থও মিলছে।

কৌশলগত স্বার্থ
ট্রাম্পের কৌশলগত স্বার্থেও সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালে তার প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরবে, যা দেশটির কূটনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করেছিল। ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলে আবার সৌদি আরবে প্রথম সফর করতে পারেন। তবে এর পেছনে তিনি একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্প গত মাসে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি সৌদি আরব আমাদের থেকে ৪৫০-৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনতে চায়...তাহলে আমি সম্ভবত সেখানে যাব।’

কয়েক দিন পর, সৌদি আরবের যুবরাজ বলেছেন, তারা পরবর্তী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে।

পরে ট্রাম্প দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বলেন, ‘কিন্তু আমি যুবরাজের কাছে বলব, যিনি একজন দুর্দান্ত ব্যক্তি, তিনি যেন এই বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় এক ট্রিলিয়ন করে দেন। আমি মনে করি তারা এটি করবে। কারণ আমরা তাদের জন্য খুব ভালো কাজ করেছি।’

ড. নিদাল চৌকেরের মতে, ট্রাম্প সৌদি আরবকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখেন। ট্রাম্প উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি এই প্রচেষ্টা শুরু করেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. খাত্তার আবু দিয়াব বলেন, চীনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কৌশলগত প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ট্রাম্প সৌদি আরব ও আশেপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সহজ করে বললে, ট্রাম্প চীনকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব আরো শক্তিশালী করতে চান।

যদিও সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, আবু দিয়াব ও চৌকেরের মতে, সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তন, যেমন ধর্মীয় পুলিশ বাতিল করা বা নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া সৌদি আরবের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী উন্নত করেছে। এটা ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে তাদের রাজনৈতিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়িয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উড়োজাহাজে নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে পেলেন ৩০০০ ডলার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উড়োজাহাজে নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে পেলেন ৩০০০ ডলার
ছবিসূত্র : রেডডিট

এক যাত্রী শেষ মুহূর্তে নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে ডেল্টা এয়ারলাইনস থেকে পেয়ে গেলেন তিন হাজার ডলার। ওই যাত্রী যে পুরস্কার পেয়েছেন, তা কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকান মালিকানাধীন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘রেডডিট’-এ পোস্টে ওই যাত্রী তার সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। 

শিকাগো থেকে সিয়াটলের উদ্দেশ্যে ডেল্টা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ভ্রমণ করছিলেন তিনি।

ফ্লাইটটি সময় ছিল সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট।

তিনি লেখেন, ‘আমি জোন ২-এ বোর্ডিং করে উড়োজাহাজের ১০ নম্বর সারির আসনে বসে পড়ি। সব ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা যেন সিনেমার দৃশ্য।

একজন কর্মী  হঠাৎ এসে ফার্স্ট ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে কোনো মাইক ছাড়াই হালকাভাবে ঘোষণা করেন, ‘ফুয়েল রিব্যালেন্স’ করার জন্য আমরা দুইজন যাত্রী খুঁজছি, যারা প্লেন থেকে নামতে রাজি। সম্মানী হিসেবে দেওয়া হবে ৩ হাজার ডলার।’  

‘ফুয়েল রিব্যালেন্স’ হলো জ্বালানি ভারসাম্যতা ফিরিয়ে আনা। বোয়িংয়ের মতে, উড়োজাহাজের ডানার বাম এবং ডান জ্বালানি ট্যাংকের মধ্যে জ্বালানির পরিমাণ অসম থাকলে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় এবং উড়োজাহাজের পরিচালনার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে যাত্রীকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। 

ওই যাত্রী আরো লেখেন, ‘আমি বুঝে ওঠার আগেই হাত তুলে ফেলি, একটুও দেরি করিনি। অন্য কেউ যেন আগেই সুযোগটি না নিতে পারেন। এরপর আরেকজন যাত্রীও হাত তোলেন।’ 

এরপর ডেল্টা এয়ারলাইনস তাকে দুটি ভাউচার দেয়—একটি ২ হাজার ডলারের এবং অন্যটি এক হাজার ডলারের।

কারণ, ডেল্টা নীতিমতে একটি ভাউচারে দুই হাজার ডলারের বেশি দেওয়া যায় না। সবচেয়ে মজার বিষয়, এই ভাউচার কেবলমাত্র ডেল্টা ফ্লাইটে ব্যবহারের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল না। যাত্রী জানান, এগুলো বিভিন্ন বড় রিটেইল ব্র্যান্ডের গিফট কার্ডেও রূপান্তর করা যাবে। 

ওই যাত্রী আরো বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি এই অর্থ পেয়ে। তাছাড়া পরিবারের সঙ্গে আরো সময় কাটানোর সুযোগও পেলাম।’ তবে এ ঘটনা একবারই ঘটেনি সেদিন। একই দিনে ডেল্টা এয়ারলাইনস সরঞ্জাম পরিবর্তনের কারণে আরো ২২ জন যাত্রীকে তাদের আসন ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিল এবং প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল এক হাজার ৭০০ ডলার। সব মিলিয়ে তারা মোট দিয়েছে ৪৩ হাজার ৪০০ ডলার।  

রেডিট পোস্টে ওই যাত্রী লেখেন, ‘আমি সবসময় ভাবতাম একবার বোর্ডিং শেষ হয়ে গেলে আর কিছু করা যায় না। কিন্তু ডেল্টার মতো এয়ারলাইনস যদি কোনো অপারেশনাল সমস্যায় পড়ে (যেমন জ্বালানি ভারসাম্য), তাহলে আবার সুযোগ তৈরি হয় — আর  আপনি যদি তৎপর হন, তাহলে বড় অংকও জিতে যেতে পারেন। এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই খুব কম মানুষেরই হয়!’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


 

মন্তব্য

কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থেমে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করেননি তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের দিকে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। কিয়েভে গত বছরের জুলাইয়ের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এই হামলাকে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, তিনি খুব দ্রুতই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন।

তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিরল এক সমালোচনায় ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘এটি প্রয়োজন ছিল না, সময়টাও খুব খারাপ। ভ্লাদিমির, থামো!’

এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন ইউক্রেন এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি হয়েছে—শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে রুশ দখল স্বীকার করে নেওয়ার জন্য।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তার ‘কারো প্রতি আনুগত্য নেই’, তার ‘শুধু জীবন বাঁচানোর প্রতি আনুগত্য’ রয়েছে।

পুতিনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেও ট্রাম্প জানান, তিনি এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন। দেখবেন চুক্তি হয় কি না—তবে যদি বোমা হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে কিছু একটা ঘটবে।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্র আরো শক্ত অবস্থান নিলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বাড়বে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা মনে করি রাশিয়ার ওপর আরো চাপ প্রয়োগ করা হলে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আসব।

’ যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কোনো ছাড় দিতে রাজি কি না? তখন জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসাই একটি বড় ছাড় এবং যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত প্রথম ধাপ।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি রাশিয়া বলে যে তারা যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী, তবে প্রথমেই কিয়েভে এই বিশাল হামলা বন্ধ করতে হবে। ধৈর্য হারাচ্ছে ইউক্রেনবাসী, কারণ আক্রমণের শিকার আমরা, আর কেউ নয়।’ এই হামলার কারণে জেলেনস্কি তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে গেছেন।

সিবিএস-এর ‘ফেস দ্য নেশন’ টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘আমরা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু বা সামরিক কাজে ব্যবহৃত বেসামরিক স্থানগুলো লক্ষ্য করি।’ তবে তিনি তার এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির কিছু বিষয় এখনো সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে রাশিয়া সেটিতে সম্মত হতে পারে। 

কিয়েভে হামলার আগে থেকেই ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যকার সম্পর্ক আরো খারাপের দিকে যাচ্ছিল—ট্রাম্প ইউক্রেনকে কিছু ভূমি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা শান্তিচুক্তির অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বুধবার ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের একটি চুক্তি খুব কাছাকাছি, কিন্তু জেলেনস্কির অনীহা এই চুক্তিকে আরো দীর্ঘায়িত করবে।’

ইউক্রেন বহুদিন ধরেই বলছে, তারা ক্রিমিয়া ছেড়ে দেবে না। ২০১৪ সালে রাশিয়া অবৈধভাবে এই উপদ্বীপ দখল করেছিল।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা কার কেমন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা কার কেমন
সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ-ভারতের বিভাজনের পর থেকেই একাধিক যুদ্ধ ও সীমান্ত দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দেশই তাদের সামরিক কাঠামোকে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু দুটি দেশের ক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে স্পষ্ট পার্থক্য।

 

সামরিক বাজেট ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ
সামরিক শক্তির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো প্রতিরক্ষা বাজেট। এই ক্ষেত্রে ভারত পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে। ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট বর্তমানে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর ফলে ভারত আধুনিক অস্ত্র কেনা, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বেশি বিনিয়োগ করতে পারছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের বাজেট তুলনামূলকভাবে কম, যা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। তবে জিডিপির অনুপাতে পাকিস্তান ভারত থেকে বেশি বরাদ্দ দেয়। সীমিত বাজেটের মধ্যেও পাকিস্তান কৌশলগত ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যয় করে থাকে, বিশেষ করে চীন ও তুরস্কের সহায়তায় প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ অস্ত্র উন্নয়নে।

সেনাবাহিনীর কাঠামো ও ক্ষমতা
ভারতের স্থলসেনা সদস্যসংখ্যায় ও সরঞ্জামে অনেক বড়।

ভারতের সক্রিয় সেনাবাহিনী প্রায় ১৪.৫ লাখ সদস্য নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাহিনী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাংক আছে। গাড়ি আছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হলো ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে।
 

অন্যদিকে পাকিস্তানের স্থলসেনা সদস্যসংখ্যা প্রায় ৬.৫ লাখ, যা ভারতের তুলনায় অনেকটাই কম। পাকিস্তানের ট্যাংকের সংখ্যা ২,৬২৭টি। ১৭ হাজার ৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৬৬২টি। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা ৬০০।

বিমানবাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষা
ভারতীয় বিমানবাহিনীর মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা ২,২২৯টি। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। হেলিকপ্টার আছে ৮৯৯টি। এ ছাড়া অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৮০টি। ভারত তার বিমানবাহিনীকে চতুর্থ প্রজন্ম ও পঞ্চম প্রজন্মের মধ্যে রূপান্তর করছে এবং ভবিষ্যতে এএমসিএ (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট) চালুর পরিকল্পনা করছে। 

পাকিস্তান বিমানবাহিনী তুলনামূলকভাবে ছোট, কিন্তু প্রভাবশালী। পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৩২৮ এবং হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হলো ৫৭।

নৌবাহিনীর পরিকাঠামো
ভারতের নৌবাহিনী দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা দুটি। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। এ ছাড়া প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা ১৩৫টি। 

পাকিস্তানের নৌবাহিনী তুলনামূলকভাবে ছোট। দেশটির ‘অ্যাসেট’-এর সংখ্যা ১২১টি। তবে একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই। ৯টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে ইসলামাবাদের হাতে। এ ছাড়া পাকিস্তান চীনের সঙ্গে যৌথভাবে সাবমেরিন নির্মাণ এবং নতুন যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করছে।

পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি
উভয় দেশের কাছেই রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। ভারতের নীতি হলো ‘নো ফার্স্ট ইউজ’— অর্থাৎ সে প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করবে না। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি যথেষ্ট উন্নত, যেমন অগ্নি সিরিজ, পৃথিবী এবং ব্রাহ্মোস (যা রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত)।

পাকিস্তান ‘ফার্স্ট ইউজ’ নীতিতে বিশ্বাস করে, অর্থাৎ প্রয়োজন হলে পারমাণবিক অস্ত্র আগেই প্রয়োগ করতে পারে। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি যেমন শাহিন, গৌরি এবং নাসর – মূলত ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকর করার জন্যই পরিকল্পিত। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী অপেক্ষাকৃত বেশি কৌশলগত, দ্রুত মোতায়েনযোগ্য এবং নির্ভুল।

প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা
ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও অত্যন্ত সক্রিয়, যা তেজাস যুদ্ধবিমান, অর্জুন ট্যাংক, আকাশ মিসাইল ইত্যাদি তৈরি করেছে। আইএসআরও এর মাধ্যমে ভারত নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সক্ষমতা অর্জন করেছে, যা নজরদারি ও যোগাযোগে বিরাট ভূমিকা রাখে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়ন তুলনামূলকভাবে সীমিত, তবে চীনের সহায়তায় অনেক উন্নয়ন সাধন করেছে। জেএফ-১৭ ও আল-খালিদ ট্যাংক পাকিস্তানের সামরিক উদ্ভাবনের অন্যতম উদাহরণ। তবে পাকিস্তান এখনো অনেকাংশে বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

কৌশলগত মিত্রতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বিশেষ করে কোয়াড জোটের মাধ্যমে ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধান প্রতিরক্ষা মিত্র চীন। এ ছাড়া কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এবং তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করছে। পাকিস্তানের জন্য চীনের সঙ্গে সিপিইসি প্রকল্প কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

 

তবে ভারত ও পাকিস্তান—দুটি দেশই ভিন্ন ভিন্ন শক্তি ও কৌশল নিয়ে তাদের সামরিক অবস্থান তৈরি করেছে। ভারত সামগ্রিকভাবে বড় বাজেট, অধিক সেনাশক্তি, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিস্তৃত নৌ-আধিপত্যের মাধ্যমে এগিয়ে। অপরদিকে, পাকিস্তান সীমিত সম্পদে কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশল ও পারমাণবিক সক্ষমতার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মন্তব্য

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সংগৃহীত ছবি

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় চিরবৈরী দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির।

 

স্টিফেন ডুজারিক জানান, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরো অবনতির দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা আশাবাদী এবং এটাই হওয়া উচিত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ