যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করছে : ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করছে : ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি। ফাইল ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে বিশ্বব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালে রাষ্ট্রদূত হওয়া ভ্যালেরি জালুঝনি বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার সঙ্গে ‘সমঝোতায়’ যাওয়ার চেষ্টা করছে এবং মস্কোর পরবর্তী লক্ষ্য ‘ইউরোপ হতে পারে’।

এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিয়েভ ও তার মিত্রদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলের বিষয়ে আলোচনার জন্য জরুরি আলোচনা শুরু করেছেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় স্থগিত করেছে, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছিল।

আরো পড়ুন
২ প্রেসিডেন্টের বাদানুবাদের পর ইইউ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

২ প্রেসিডেন্টের বাদানুবাদের পর ইইউ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

 

মস্কোর সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা ইউক্রেন ও ইউরোপের মিত্রদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিয়েভকে রাশিয়ার পক্ষে সুবিধাজনক একটি শান্তিচুক্তি মেনে নিতে বাধ্য করাই তার লক্ষ্য।  

চ্যাথাম হাউস থিংকট্যাংকের এক সম্মেলনে জালুঝনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, শুধু রাশিয়া বা তাদের দোসররা বিশ্বব্যবস্থা বদলে দিতে চাইছে না, বরং যুক্তরাষ্ট্র এখন এটি চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করছে।’

আরো পড়ুন
দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলে রুশ পাসপোর্ট বিতরণ শেষ : পুতিন

দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলে রুশ পাসপোর্ট বিতরণ শেষ : পুতিন

 

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার আলোচনা দেখায়, হোয়াইট হাউস ‘ক্রেমলিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে’।

 

ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান স্থগিত করা এবং জাতিসংঘে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা ছিল ‘সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ’।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন বিচারক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন বিচারক
ছবিসূত্র : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংবাদ পরিষেবা ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছেন মার্কিন এক বিচারক। ভয়েস অব আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি প্রচারের বিপরীতে সত্য খবর পৌঁছে দিতে রেডিও হিসেবে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

ওই মার্কিন বিচারক বলেছেন, ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত অন্যান্য সংবাদমাধ্যম বন্ধ করা অবৈধ।

 
তিনি এ সকল গণমাধ্যম আবার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চাকরি হারানো কর্মীদের আবার কাজে ফেরানোর ও অর্থায়ন পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

কংগ্রেস-গঠিত এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি ৮৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সংবাদ প্রচার করে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ)-এর প্রায় ১ হাজার ৩০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল।

প্রায় এক হাজার  সাংবাদিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তখন হোয়াইট হাউস দাবি করেছিল, ভয়েস অব আমেরিকা ‘ট্রাম্পবিরোধী’ এবং ‘চরমপন্থি’ সংবাদ প্রচার করছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বহুবার ভিওএ-র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি প্রায়ই মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোকে পক্ষপাতদুষ্ট বলতেন।


বিচারক রয়েস ল্যামবার্থ বলেন, কর্মীদের ছাঁটাই এবং ভয়েস অব আমেরিকা বাজেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। এতে সাংবাদিকসহ সারা বিশ্বের পাঠকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন।

ভিওএ-এর হোয়াইট হাউস বিষয়ক ব্যুরো প্রধান এবং মামলার প্রধান বাদী প্যাটসি উইডাকুসওয়ারা বলেন, ‘এই রায়ে আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু এটা শুধু প্রথম ধাপ, কারণ সরকার হয়তো এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে।

সূত্র : বিবিসি
 

মন্তব্য

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে জাপানের নতুন ‘রেলগান’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে জাপানের নতুন ‘রেলগান’
জেএস আসুকা জাহাজে জাপানের ‘রেলগান প্রোটোটাইপ’। ছবি: জেএমএসডিএফ

জাপানের নৌবাহিনী তাদের নতুন অস্ত্র ‘ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেলগান’ উন্মোচন করেছে। জাহাজে বসানো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেলগানটি চীন থেকে ছোড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম। গত সপ্তাহে অত্যাধুনিক অস্ত্রটির কিছু ছবি প্রকাশ পেয়েছে। চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুমকি বেড়ে যাওয়ায় টোকিও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র ব্যবহারের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে।

রেলগানটি কোনো বিস্ফোরক বা প্রপেলান্ট ব্যবহার করে না, বরং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বা বিদ্যুতের সাহায্যে খুব জোরে গোলা ছোড়ে। এতে ব্যয় কম এবং দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতেও পারে। রেলগান সাধারণ অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে গুলি ছোড়ে। রেলগান থেকে ছোঁড়া গুলি প্রতি সেকেন্ডে ২ হাজার ৫০০ মিটার গতিতে চলে — যেটা সাধারণ ট্যাংকের গুলির চেয়ে অনেক বেশি।

ফলে এটি খুব দ্রুত গতির ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারবে। 

জাপানের মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স (জেএমএসডিএফ) জানিয়েছে, সেলফ ডিফেন্স ফ্লিটের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ওমাচি কাতসুশি ‘জেএস আসুকা’ জাহাজ পরিদর্শন করেছেন। যেখানে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও লজিস্টিক্স এজেন্সি রেলগানটি উন্নয়ন করছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, এই অস্ত্র নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষা আরো মজবুত করবে।

এ ছাড়া আকাশ, সমুদ্র ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে সাধারণ গোলার চেয়ে বেশি নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারবে। ২০১৬ সালে রেলগান নিয়ে গবেষণা শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে এটি প্রথম জাহাজ থেকে গুলি ছোড়ে।

গত সপ্তাহে জেএমএসডিএফ বলেছে, ‘রেলগান’ জাপানের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ প্রস্তুতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গঠনে সহায়তা করবে।

জাপান বলেছে, ২০২২ সালে তাদের কাছে দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা ছিল মাত্র ৬০ শতাংশ। তাই তারা নতুন অস্ত্র বানাচ্ছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব রেলগান প্রকল্প ২০২১ সালে বাতিল করে দেয়। এক দশকের উন্নয়নকালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচের পরও বিদ্যুৎ এবং অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যায় তারা এটি বন্ধ করে দেয়।

এদিকে চীন অনেকদিন ধরেই নিজেদের রেলগান বানাচ্ছে, কিন্তু সেটা খুব গোপনে করছে। ২০১৮ সালে কিছু ছবিতে চীনের এক জাহাজে রেলগান দেখা গেছে। ছবিতে দেখা যায়, চীনা যুদ্ধজাহাজ হাইয়াং শান-এ একটি পরীক্ষামূলক রেলগান বসানো হয়েছে। ভারত, রাশিয়া এবং তুরস্কও তাদের নিজস্ব রেলগান পরীক্ষা করেছে।

যুক্তরাজ্য গবেষণা করলেও নিজস্ব রেলগান তৈরি করছে না। বরং তারা ড্রাগনফায়ার নামে একটি লেজার ভিত্তিক ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন’ নিয়ে কাজ করছে এবং সেটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‘বিপ্লবী অস্ত্র’ হিসেবে বিবেচিত ড্রাগনফায়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে। কোনো গোলা ব্যবহার করে না এবং একবার চালাতে খরচ পড়ে মাত্র ১০ পাউন্ড। 

ইউক্রেনও এখন নিজেদের লেজার অস্ত্র তৈরি করছে। তারা এই নকশা যুক্তরাজ্য থেকে পেয়েছে ২০২৪ সালে।

সূত্র : টেলিগ্রাফ

মন্তব্য

শ্রমিকবাহী বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত ৯

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শ্রমিকবাহী বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত ৯
ছবিসূত্র : সের্হি লাইসাক/বিবিসি

ইউক্রেনের এক শ্রমিকবাহী বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। হামলাটি করা হয় বুধবার সকালে দক্ষিণ-মধ্য ইউক্রেনের মারহানেটস শহরে।

দিনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলের প্রধান সেরহি লিসাক বলেন, এ হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে বলেও জানিয়েচেন তিনি।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের কূটনীতিকরা লন্ডনে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটল।

আরো পড়ুন
কাশ্মীর হামলা নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান

কাশ্মীর হামলা নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান

 

 

রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার হামলা শুরু করে। সেই থেকে সব পক্ষ মিলিয়ে বহু মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডের জন্য ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন।

ইউক্রেন জানিয়েছিল, তারা রাশিয়ার এই উদ্যোগের প্রতিচ্ছবি হিসেবে একই কাজ করবে। তবে উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগ করেছে।

গত মাসে মস্কো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্মত একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জবাবে দীর্ঘ শর্তের একটি তালিকা পেশ করে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে এবং আলাদাভাবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

কাশ্মীরে স্ত্রীর সামনে গুলিতে নিহত ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্য

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীরে স্ত্রীর সামনে গুলিতে নিহত ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্য
সংগৃহীত ছবি

গতকাল ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্য, কর্পোরাল টাজে হেইলিয়াং (৩০)। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পহেলগামে। সেখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় এই সাহসী সেনার। হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত অনেকেই।

এই বর্বর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতে।

টাজে হেইলিয়াং ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাজাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। শ্রীনগরের বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। ঘটনার পরে এক টুইটে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেন, ‘আমরা হারালাম অরুণাচলের এক বীর সন্তানকে।

হেইলিয়াং জাতির জন্য বীরত্বের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবারের নয়, গোটা দেশের অপূরণীয় ক্ষতি। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই জঘন্য হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও জোরদার হবে। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’

পহেলগামে হামলার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেন। বর্তমানে পহেলগাম ও এর আশেপাশের এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানে।

কাশ্মীরের এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে পাওয়া খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভারতের পাশে রয়েছি আমরা।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বার্তা দিয়ে জানান, ‘এই বর্বর হামলা ন্যায্যতার বাইরে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেখতে চাই আমরা। ভারত-রাশিয়া মিলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে।’

উল্লেখ যে, পহেলগামে এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কয়েকদিন পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অমরনাথে তীর্থযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। অমরনাথে যেতে হয় পহেলগামের পাশে দিয়ে।
এ ছাড়াও এই সময় ভারতে রয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তাঁর পরিবার। ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও এই হামলা যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ