ইস্তাম্বুলে নারী দিবসের মিছিলের পর আটক প্রায় ২০০

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ইস্তাম্বুলে নারী দিবসের মিছিলের পর আটক প্রায় ২০০
৮ মার্চ তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারের কাছে আন্তর্জাতিক নারী অধিকার দিবস উপলক্ষে সমাবেশে অংশ নিয়ে মিছিল করেন নারীরা। ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তিন হাজারের বেশি নারী মিছিল করার পর শনিবার রাতে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করছেন আয়োজকরা। ইস্তাম্বুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি রবিবার এ খবর জানিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ইস্তাম্বুলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তাকসিম স্কয়ারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চলছে। জায়গাটি সাধারণত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থায় তাকসিম স্কয়ারের কাছাকাছি স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাকসিম স্কয়ারে স্থানীয় সময় শনিবার সূর্যাস্তের সময় ফেমিনিস্ট নাইট মার্চ নামের সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে অনেক বিক্ষোভকারী বেগুনি রঙের পোশাক পরে ‘আমরা চুপ থাকব না’, ‘আমরা ভীত নই, ‘আমরা মানব না’, ‘আমাদের নারীবাদী সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান সংবলিত ব্যানার প্রদর্শন করেন। তবে মিছিলটি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়।

 

আয়োজকরা জানিয়েছেন, মিছিলের সময় পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটকের চেষ্টা করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সমাবেশ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়।

মিছিলের আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ফেমিনিস্ট নাইট মার্চ শেষ হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পুলিশ আমাদের বন্ধুদের ‘উসকানিমূলক আচরণের’ অভিযোগে আটক করতে শুরু করে।

৮ মার্চ প্রায় ২০০ জন নারীকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় মিছিল করে শহরের এশীয় অংশের কাদিকয় এলাকায় কয়েক শ বিক্ষোভকারীর সমাগম হয়।

ডিআইএসকে ট্রেড ইউনিয়নের চেয়ারওম্যান আরজু সেরকেজোগলু এএফপিকে বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ, নারী হত্যার বিরুদ্ধে ইস্তাম্বুল কনভেনশনের অনুমোদনের দাবি ও নারীদের ওপর যত্নের বোঝা চাপিয়ে না দেওয়া—এমন  সামাজিক নীতিমালার দাবিতে মিছিলটি বের করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র, সমতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের জন্য আমাদের ৮ মার্চের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

আরজু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ২০২১ সালে ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে তুরস্ককে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই কনভেনশনে যুক্ত থাকতে হলে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ ও বিচারের লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের শর্ত রয়েছে।

তুরস্ক নারী হত্যা সম্পর্কিত সরকারি পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে না। এই কাজটি নারী সংগঠনগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সংগঠনগুলো সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে খুন ও অন্যান্য সন্দেহজনক মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। উই উইল স্টপ ফেমিসাইড প্ল্যাটফরম অধিকার সংস্থার সংগৃহীত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে সরে আসার পর পুরুষদের হাতে কমপক্ষে এক হাজার ৩১৮ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জার্মানির শিল্প খাতে বাড়ছে চীনা প্রভাব, হুমকিতে কর্মসংস্থান-জিডিপি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জার্মানির শিল্প খাতে বাড়ছে চীনা প্রভাব, হুমকিতে কর্মসংস্থান-জিডিপি
জার্মান গাড়ি নির্মাতা অডির কারখানায় একজন কর্মী কাজ করছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

জার্মানির শিল্প খাতে ক্রমাগত চীনের প্রভাব বাড়ছে। চীন শুধু জার্মানির ফোকসভাগেন, মার্সিডিজের মতো গাড়ির বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই থেমে থাকেনি। রাসায়নিক ও প্রকৌশল খাতেও বাড়ছে চীনের উপস্থিতি। সেন্টার ফর ইউরোপীয় রিফর্মের (সিইআর) একটি প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির শিল্প কারখানার কাঠামো বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

যে কারণে আগামী পাঁচ বছরে শিল্প উৎপাদন কমে গিয়ে ৫৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও জিডিপির ২০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানি তার দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে। যে কারণে রাসায়নিক ও ইস্পাতের মতো শিল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে। আর সেই অবস্থায় বাড়তি চাপ তৈরি করেছে চীনের ‘মেইড ইন চায়না ২০২৫’ কৌশল, যা চীনের স্বল্প মূল্যের উৎপাদন থেকে উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে এবং সেটি জার্মানির মূল অর্থনৈতিক খাতের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করছে।

শুরুতে জার্মানি চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে প্রভাবিত হয়নি। কারণ তারা প্রযুক্তিগতভাবে নিম্ন প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের শিল্প নীতি যখন থেকে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, যেমন মোটরগাড়ি, ক্লিন টেকনোলজি ও যন্ত্র প্রকৌশলে সম্প্রসারিত হয়েছে, তখন থেকে দেশটির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে।

চীনের দ্রুত অগ্রগতি সবচেয়ে স্পষ্টতই অটোমোবাইল বা গাড়ির শিল্পে।

জার্মান গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক যানবাহনের দিকে ধীরগতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক ছাঁটাই ও দেশীয় কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশটিতে।

জার্মানির যন্ত্র প্রকৌশল খাতেও এর প্রভাব পড়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প যন্ত্রপাতি রপ্তানির বৈশ্বিক বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও চীনে অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে।

জার্মান শিল্পগুলোর মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো চীনের ব্যাপক ভর্তুকি। ২০১৯ সালে চীনের শিল্প ভর্তুকির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ২২১ বিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি ও ধাতু শিল্পগুলো সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে চীনের নির্মাতারা কম খরচে উৎপাদন করতে পারছেন, যা জার্মান নির্মাতাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে।

জার্মান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানিগুলো চীনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। কারণ চীন তাদের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে পারে। চীনে জার্মান চেম্বার অব কমার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি জার্মান সংস্থা মনে করছে, চীনের কম্পানিগুলো পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।

তবে অর্থনীতিবিদরা জার্মানিকে পরামর্শ দিচ্ছেন, সব ক্ষেত্রে আধিপত্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পরিবর্তে ওষুধ, জৈবপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের মতো যেসব ক্ষেত্রে এখনো জার্মানির শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে সেগুলোতে মনোনিবেশ করা। এ ছাড়া ব্যাবসায়িক নেতা ও নীতিনির্ধারকদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, ঝুঁকির মুখে থাকা শিল্পগুলোকে রক্ষা করার ওপর জার্মানির মনোযোগ উদ্ভাবনকে ধীর করে দিয়েছে।

এদিকে আগামী ১২ বছরে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনা জার্মানির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করতে পারে। তবে উদ্বেগ রয়েছে, এই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ উচ্চ-প্রবৃদ্ধির শিল্পকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে সামরিক প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হবে।

মন্তব্য

সম্পূর্ণরূপে চালু হলো হিথ্রো বিমানবন্দর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সম্পূর্ণরূপে চালু হলো হিথ্রো বিমানবন্দর
ছবিসূত্র : এএফপি

বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে এক দিন বন্ধ থাকার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে এই কথা জানানো হয়েছে।  

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিমানের শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল।

এতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ লাখ যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে।

বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে শুক্রবার বেশির ভাগ সময় লন্ডন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। এরপর সন্ধ্যার পর কিছু ফ্লাইট আসা এবং যাওয়া শুরু হয়।

আরো পড়ুন
ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

 

মুখপাত্র আজ সকালে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি হিথ্রো আজ খোলা এবং সম্পূর্ণরূপে চালু আছে।

গতকাল শুক্রবার বিমানবন্দরের বাইরের একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে বিভ্রাটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য বিমানবন্দরজুড়ে দলগুলো যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার২৪ জানিয়েছে, বিমানবন্দর বন্ধের ফলে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট প্রভাবিত হবে। শনিবার পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার পের বিলম্ব এবং বাতিলকরণের সম্ভাবনা ছিল।

প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথ্রো ব্যবহার করেন।

বছরে ৮ কোটি ৩০ লাখ যাত্রী বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে এটিকে একটি করে তোলে। হিথ্রো থেকে বিমানগুলো প্রায় ৮০টি দেশে পরিষেবা প্রদান করে। এই ব্যাঘাতের মাত্রা যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ অবকাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে যে আগুন লেগেছে, তা সন্দেহজনক নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান (বাঁয়ে) এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ (ডানে)। ছবি: এপিএফ

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান যদি ২০২৩ সালের ৯ মের দাঙ্গার ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান তবে তার মুক্তি সম্ভব। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এ কথা বলেছেন।

ওই ঘটনায় দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সামরিক স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছিল। তৎকালীন পাকিস্তান ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকার এবং বর্তমান সরকার দাঙ্গার জন্য পিটিআইকে দায়ী করেছে।

ওই দাঙ্গার ঘটনার জন্য পিটিআইকে দায়ী করা হলেও তা অস্বীকার করে আসছে দেশটির সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।

আজ রাতে প্রচারিত হতে যাওয়া জিও নিউজের ‘জিরগা’ অনুষ্ঠানে সানাউল্লাহ বলেন, ‘খান দেশকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি মনে করেছিলেন তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপ্লব আনতে পারবেন।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কিন্তু না, বিপ্লবের কোনো সম্ভাবনা নেই।

শুধু রাজনৈতিক সংগ্রামই এখানে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে।’ ইমরান খানের পদ্ধতির মাধ্যমে সাফল্যের কোনো সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।

৯ মের জন্য ক্ষমা চাইলে কি খানের মুক্তি সম্ভব? জানতে চাইলে সানাউল্লাহ উত্তর দেন, ‘আমি মনে করি, ৯ মে পর্যন্ত যদি তিনি ক্ষমা চান, তাহলে আলোচনা এগিয়ে যেতে পারে অথবা হয়তো আমরা কথা বলতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী এর আগে মন্তব্য করেছিলেন, আদালত যদি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে মুক্তি দেন তবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।

ইমরান খান বিভিন্ন মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি।

সানাউল্লাহর মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ রাজনৈতিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে যার ফলে আরো রাজনৈতিক মেরুকরণ হতে পারে।

সূত্র : জিও নিউজ

মন্তব্য

ইন্দোনেশিয়ায় নৌকা ডুবে অস্ট্রেলীয় পর্যটক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইন্দোনেশিয়ায় নৌকা ডুবে অস্ট্রেলীয় পর্যটক নিহত
ছবিসূত্র : এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের ১৬ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। ঘটনার সময় সমুদ্র উত্তাল ছিল বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন অস্ট্রেলীয় নারী নিহত এবং কমপক্ষে একজন আহত হয়েছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে বালির কাছে একটি জনপ্রিয় দ্বীপ নুসা পেনিদা যাচ্ছিল সি ড্রাগন ২ নৌকাটি।

দ্বীপের পুলিশ প্রধান ইদা বাগুস পুত্রা সুমের্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, নৌকাটি তখন বড় ঢেউয়ের কবলে পড়ে এবং ডুবে যায়। ঘটনার পরে কাছের একটি নৌকা অস্ট্রেলিয়ান পর্যটসহ ১১ জনকে উদ্ধার করে। 

ইদা আরো জানিয়েছেন, কমপক্ষে দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন পর্যটককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
এবার সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল সেনাবাহিনী

এবার সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল সেনাবাহিনী

 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমপক্ষে দুইজন অস্ট্রেলিয়ান আহত হয়েছেন এবং তারা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

নিরাপত্তার মান দুর্বল থাকার কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপের দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় সামুদ্রিক দুর্ঘটনা একটি নিয়মিত ঘটনা।

২০১৮ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বিশ্বের গভীরতম হ্রদগুলোর মধ্যে একটিতে ফেরি ডুবে গেলে ১৫০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ