ইউক্রেনে রুশ হামলায় ৪ সিরীয়সহ নিহত ৮

  • কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেনে রুশ হামলায় ৪ সিরীয়সহ নিহত ৮
৮ মার্চ ওডেসায় ড্রোন হামলাস্থলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত এক ইউক্রেনীয় উদ্ধারকর্মী। ছবি : এএফপি

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় বুধবার মধ্যরাতে মোট আটজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন সিরিয়ার নাগরিক। পাশাপাশি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেসায় রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত ও বার্বাডোসের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গভীর রাতে এই হামলা হয়, যখন ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন করে ও রাশিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনায় সম্মত হয়।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় জাহাজটিতে আলজেরিয়ায় রপ্তানির জন্য শস্য বোঝাই করা হচ্ছিল।

ইউক্রেনের পুনর্গঠনবিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, চারজন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই সিরিয়ার নাগরিক। নিহতদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠর বয়স ১৮, আর সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন ২৪ বছর বয়সী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো দুজন—একজন ইউক্রেনীয় ও একজন সিরীয়।

তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, যার মধ্যে এমন বন্দরগুলোও রয়েছে, যা বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

অন্যদিকে দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানান, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহতে ৪৭ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন।  

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া গত রাতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ১৩৩টি ড্রোন পাঠায়, যার মধ্যে ইরানি তৈরি শাহেদ ধরনের আক্রমণ ড্রোনও ছিল। বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ৯৮টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এ ছাড়া রাশিয়ার দোনেৎস্ক অঞ্চলের দাবীকৃত প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় সেখানে তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারত নিজেরাই হামলা করে নাটক সাজিয়েছে : সাইফুল্লাহ খালিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত নিজেরাই হামলা করে নাটক সাজিয়েছে : সাইফুল্লাহ খালিদ
সংগৃহীত ছবি

ভারতশাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনাকে নিজেদের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ ওরফে সাইফুল্লাহ কাসুরি। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজারের। 

সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি) সাইফুল্লাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত নাটক করছে। ওরা নিজেরাই এই হামলা করিয়েছে।

পেহেলগামে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান বা তার কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র নেই।’ 

ভিডিওতে তিনি আরো বলেন,  ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই আমরা। এই হামলার অজুহাতে ভারতীয় মিডিয়া আমাকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চায়। সে একজন ভয়ঙ্কর শত্রু। ভারতই কাশ্মীরে ১০ লক্ষ সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করেছে।
ভারত নিজেই পেহেলগামে আক্রমণ চালিয়েছে এবং এর জন্য তারা দায়ী। এটা তার ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই।’ 

তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, মঙ্গলবার পেহেলগামের জঙ্গি হামলার মূল হোতা ছিলেন সাইফুল্লাহ খালিদ। তার নির্দেশেই পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়।

তবে এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে হামলার দায় এড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার দায় নিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতির আবহে জন্ম হয়েছিল এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর। 

আরো পড়ুন
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

 

সে সময় লস্কর-ই-তৈয়বার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। আর সাইফুল্লাহ ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম প্রধান। তাই টিআরএফ হামলা চালালেও পুরো পরিকল্পনাই করেছিলেন সাইফুল্লাহ, এমনই মনে করছিল ভারতের গোয়েন্দা সূত্র। 

মন্তব্য

প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের দিকে আঙুল ভারতের, পাল্টা জবাব ভাবছে ইসলামাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের দিকে আঙুল ভারতের, পাল্টা জবাব ভাবছে ইসলামাবাদ
ছবিসূত্র : এএফপি

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জবাবে আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বৈঠকে বসছে। এই বৈঠকে ভারতের একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান কীভাবে কৌশলগতভাবে সাড়া দেবে, তা ঠিক করা হবে।

ভারতের নেওয়া কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা। এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে চলমান বিরোধের মধ্যেও টিকে ছিল।

কিন্তু এবার সেটি স্থগিত হওয়ায়, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ক আরও সংকটের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া ভারত আটারি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এটি প্রধান সীমান্ত ট্রানজিট পয়েন্ট।

 ভারত বলছে, এটি পাকিস্তানের ‘উসকানিমূলক আচরণের’ জবাবে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল।

ভারতীয় কর্মকর্তারা এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাসে সমর্থন দিচ্ছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বৃহস্পতিবার সকালে এনএসসির এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

তিনি বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানান।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার ভারতের প্রতিক্রিয়াকে ‘অযৌক্তিক ও তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত এখনও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। বরং ঘটনার পরপরই তারা অযৌক্তিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।’ 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, ‘ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় পর্যটকদের ওপর হামলায় প্রাণহানিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

নিহতদের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক এখন আবার ভয়াবহ রকমের উত্তেজনাপূর্ণ দিকে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ও বালাকোট সংকটের পর এত বড় সংকট আর দেখা যায়নি। বিশেষ করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ভবিষ্যতে বড় ধরনের পানি-সংক্রান্ত বিরোধ দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে উত্তেজনা কমানোর পথও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ভারতজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, যারা হামলার পেছনে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত জবাব আসবে। তিনি বলেন, ‘শুধু হামলাকারী নয়, যারা পরিকল্পনা করেছে, তাদেরও আমরা খুঁজে বের করব।’

পুলিশের তথ্যমতে, পাহেলগামের পর্যটন এলাকায় জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালের নাগরিক, বাকিরা ভারতীয়। এদিকে হামলার সময় পাশের তাংমার্গ এলাকায় ভারতীয় বাহিনী ও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। আরো একটি ঘটনায় বুধবার বারামুল্লায় ভারতীয় সেনাবাহিনী দুই জনকে গুলি করে হত্যা করেছে, যাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলা হয়েছে।

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবার আগে সমবেদনা জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিন্দা জানান এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।

বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘এই হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন একটি বড় সঙ্কট তৈরি করতে পারে। ঘটনাটি ২০১৯ সালের সামরিক সংঘাতের পর সবচেয়ে গুরুতর।’

ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ 

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে ভারতের ওপরই দায় চাপিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তারা এই ঘটনাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ, শত্রুপক্ষকে দোষী প্রমাণ করতে নিজেরাই হামলা চালিয়েছে—এমনটাই তাদের দাবি।

পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। আগে অনেকবারই এমন ঘটনার দায় পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে, কোনো প্রমাণ ছাড়াই। পাকিস্তানের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহমেদ সাঈদ মিনহাস বলেন, ‘হামলাটি ভারতের দখল করা অঞ্চলের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। অথচ কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম শুরু থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০১৯ সালে পাকিস্তান ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে নিরাপদে ফিরিয়ে দিয়ে দায়িত্বশীল ও সংযমী আচরণ করেছে। আমরা এমন আচরণে বিশ্বাসী।’

অপর সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার (অব.) রশিদ ওয়ালি বলেন, ‘হামলার পরপরই ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করতে শুরু করে। তাদের মিডিয়া ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াতে থাকে। যদি ভারত এবারও আক্রমণের চেষ্টা করে, তবে বালাকোটের মতো ব্যর্থতা ও লজ্জায় পড়তে হতে পারে।’

সাবেক সিনেটর ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশ্লেষক মুশাহিদ হুসেন সৈয়দ বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার পরে পাকিস্তানকে দোষ দেওয়া ভারতের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটি যেন ভারতের সরকারের ‘স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া’। তদন্ত না করেই তারা দোষ চাপায়, যেমনটা জাফর এক্সপ্রেস হামলা বা এখন পাহেলগাম ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে।’

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভারতের কথিত ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ আসলে ইসলাম, পাকিস্তান এবং কাশ্মীরি জনগণকে অপমান করার একটি কৌশল। একই সঙ্গে তারা নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারত সম্ভবত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে চাপ কমানোর জন্যও এই ধরনের ঘটনার আশ্রয় নিচ্ছে।’

সূত্র : ডন, জিও নিউজ

 

মন্তব্য

জেলেনস্কির জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে না : ট্রাম্প

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জেলেনস্কির জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে না : ট্রাম্প
ছবিসূত্র : এএফপি

রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য চুক্তি হচ্ছে না বলে অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চুক্তিতে রাজি। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাতে বাধা দিচ্ছেন বলে ট্রাম্পের অভিযোগ।

তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, জেলেনস্কির জন্যই যুদ্ধ বন্ধ করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এর আগে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, তিনি কিছুতেই ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার এলাকা বলে স্বীকার করবেন না। মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার এলাকা বলে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা আছে।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছি, কিন্তু জেলেনস্কির সঙ্গে তা হয়নি। আমি মনে করেছিলাম, জেলেনস্কির সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছানো সহজ হবে।

কিন্তু এটা অনেক কঠিন হচ্ছে।’

ট্রাম্প আরো বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এরপরেও চুক্তি হবে। কারণ, আমি এই চুক্তি চাই, আর এ জন্য অনেক অর্থ ব্যয়  করেছি। তা ছাড়া মানবিকতার জন্য এটা দরকার।

’ ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প ক্রাইমিয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে চাই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো পক্ষকেই আমি বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে চাই না।’

এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, 'ট্রাম্প হতাশ হয়ে পড়েছেন। তার ধৈর্য কমে আসছে।

তিনি চান, ইউক্রেনে মৃত্যু বন্ধ হোক। কিন্তু দুই পক্ষকেই এই বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উল্টোপথে হাঁটছেন।' 

জেলেনস্কির বক্তব্য

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষার বিষয়ে দায়বদ্ধ থাকবে।’ লন্ডনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউক্রেন সব সময় তার সংবিধান অনুসারে চলবে। আমি নিশ্চিত, আমাদের সহযোগীরা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি মনে রেখেই কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।’ 

এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স বলেছিলেন, শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার মধ্যে এটা আছে যে ক্রিমিয়াসহ রাশিয়া যে এলাকা দখল করেছে, তা তাদের অধিকারে থাকবে। 

কিয়েভ, খারকিভে রাশিয়ার হামলা

কিয়েভ ও খারকিভে রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কিয়েভে নানা দিক থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা হয়েছে। বাড়ি, গ্যারাজ, গাড়িসহ বেসামরিক পরিকাঠামোর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র বলেছেন, অন্ততপক্ষে দুইজন মারা গেছেন, ছয় শিশুসহ ৫৪ জন আহত হয়েছেন। দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিছু হামলা প্রতিহত করতে পেরেছে। কিন্তু রাশিয়া আবার হামলা করতে পারে বলে তারা মনে করছেন। আবাসিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, গতরাতে সেখানে সাতটি রকেট আছড়ে পড়ে। তবে তিনি ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর দেননি। এক দিন আগেই রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল।
 

মন্তব্য

দুবাইয়ের তুলনায় বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি কেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুবাইয়ের তুলনায় বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি কেন

বাংলাদেশে আবারও সোনার দাম বেড়েছে। দাম এতটাই বেড়েছে যে, তা আন্তর্জাতিক বাজারের দামের চেয়েও অনেক বেশি। আর এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরাও চিন্তায় পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দামের পার্থক্য নতুন কিছু নয়।

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সোনার দাম একটানা বেড়েই চলেছে। এর পেছনে মূল কারণ—দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা আর বৈধ পথে সোনার সরবরাহের মধ্যে বড় ফারাক। বৈধভাবে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে স্থানীয় উৎসের ওপর নির্ভর করছেন।
অনেক উৎস বৈধ নয়। ফলে বাজারে ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না।

বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এখন ১ হাজার ৪১৪ মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে ভারতে এই পরিমাণ সোনার দাম ১ হাজার ১৮৯ ডলার আর দুবাইয়ে ১ হাজার ১৩৭ ডলার।

বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে, দেশে প্রতি ভরি সোনার দাম এখন প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অথচ ভারতে একই ভরি সোনা প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, আর দুবাইয়ে সেটি আরও কম—প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ কম, এ কারণে সোনার দাম বাড়ছে হু-হু করে। অনেকেই সোনা সংগ্রহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে কাজ করছেন, এতে সমস্যা আরো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ