আমাজনের গাছ কেটে জলবায়ু সম্মেলনের রাস্তা বানাচ্ছে ব্রাজিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমাজনের গাছ কেটে জলবায়ু সম্মেলনের রাস্তা বানাচ্ছে ব্রাজিল
ছবিসূত্র : সংগৃহীত

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এর জন্য নতুন সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে আমাজন বনের বিশাল অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এই জলবায়ু সম্মেলনের জন্য হাজার হাজার একর সুরক্ষিত আমাজন রেইনফরেস্টের মধ্য দিয়ে নতুন মহাসড়ক তৈরি করা হচ্ছে।

উত্তর ব্রাজিলের আমাজন শহর বেলেমে কপ৩০ আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আট মাইল দীর্ঘ, চার লেনবিশিষ্ট এই মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্মেলনে প্রায় ৫০ হাজার প্রতিনিধি আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শহরের যানজট কমানোর লক্ষ্যে এই সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এই সড়ক তৈরির জন্য কয়েক হাজার একর বন উজাড় হয়ে গেছে।

রাজ্য সরকার মহাসড়কের কথা বললেও, এই কর্মকাণ্ড পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার লক্ষ্যবিরোধী বলে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বিশ্বের জন্য কার্বন শোষণ এবং জীববৈচিত্র্য জন্য আমাজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অনেকেই বলছেন, এই বন উজাড় জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রেইনফরেস্টের মধ্য দিয়ে বেলেম পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল) এরও বেশি বিস্তৃত পরিষ্কার জমিতে কাঠের স্তূপ করা হয়েছে।
মেশিনগুলো বন উজাড় করে জলাভূমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে, রাস্তাটির একটি অংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে যাবে, যেখানে প্রায় ৮০০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ছত্রাক রয়েছে। সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, এটি বন্য প্রাণীদের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে।

রাস্তাটি যেখানে হবে সেখান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে থাকেন ক্লাউদিও ভেরেকুয়েট। তিনি জানান, এই জায়গাটিতে থাকা বহু গাছ থেকে আকাই বেরি সংগ্রহ করে আয় করতেন। তিনি বলেন, ‘সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের ফসল কেটে ফেলা হয়েছে। আমার এখন আয় নেই, আমাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য কিছু নেই।

তিনি আরো জানান, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি তিনি এবং বর্তমানে আগের করা সঞ্চয় দিয়ে চলছেন। তিনি উদ্বিগ্নও বটে। তার মতে, এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে ভবিষ্যতে আরো বন উজাড় হবে। কারণ এই এলাকাটি ব্যবসার জন্য সহজলভ্য।

আতঙ্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয় হলো, একদিন কেউ এখানে এসে আমাদের এই এলাকাটিতে একটি পেট্রোল পাম্প তৈরি করতে চাইবে অথবা একটি গুদাম তৈরি করতে চাইবে এবং তারপর আমাদের চলে যেতে হবে। আমরা এখানেই জন্মগ্রহণ করেছি এবং বেড়ে উঠেছি। আমরা কোথায় যাব?’

আরো পড়ুন
চুলের চেয়ে ২ লাখ গুণ সূক্ষ্ম ধাতু বানাল চীন

চুলের চেয়ে ২ লাখ গুণ সূক্ষ্ম ধাতু বানাল চীন

 

রাস্তাটি দুটি বিচ্ছিন্ন সংরক্ষিত বনভূমি ছেড়ে দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন, এ ঘটনা বাস্তুতন্ত্রকে খণ্ডিত করবে এবং বন্যপ্রাণীদের চলাচল ব্যাহত করবে। 

অধ্যাপক সিলভিয়া সার্দিনহা একজন বন্য প্রাণী পশুচিকিৎসক এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু হাসপাতালের গবেষক। তিনি এবং তার দল বন্য প্রাণীদের পুনর্বাসন করেন। যে সকল প্রাণী আঘাত পেয়েছে, বিশেষ করে মানুষ বা যানবাহনের কারণে তাদের চিকিৎসা দেন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তারা তাদের আবার বনে ছেড়ে দেয়। অধ্যাপক সিলভিয়া বলেন, ‘তাদের দোরগোড়ায় একটি মহাসড়ক থাকলে বিষয়টি আরো কঠিন হবে। বন উজাড়ের ক্ষতি আছে। আমরা এই প্রাণীদের বনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি এলাকা হারাতে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্থলজ প্রাণীরা অন্য দিকেও যেতে পারবে না, যার ফলে তারা যেখানে বাস করতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারত সেই অঞ্চলগুলো হারিয়ে ফেলবে।’

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা বলেছেন, এটি আমাজনে আয়োজিত কপ, আমাজন সম্পর্কে কপ নয়। তিনি বলছেন, এই বৈঠকটি আমাজনের চাহিদার ওপর মনোনিবেশ করার, বিশ্বকে বন দেখানোর এবং ফেডারেল সরকার এটি রক্ষার জন্য কী করেছে তা উপস্থাপন করার সুযোগ দেবে। কিন্তু অধ্যাপক সিলভিয়া সার্দিনহা বলেছেন, যদিও এই কথোপকথনগুলো ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করলেও, আমাজনে বসবাসকারীদের কথা শোনা যাচ্ছে না।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাকিস্তানের সতর্কতা

কাশ্মীর বিরোধ ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীর বিরোধ ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা
ফাইল ছবি

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে নয়াদিল্লির উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। এ হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলেছে ভারত। যদিও তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

দুই দেশের বিরোধ এখন চরমে রূপ নিয়েছে।

গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। এর জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে পানির প্রবাহ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘কাশ্মীরে গণগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিরোধ দুই দেশকে সম্পূর্ণ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

খাজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পূর্ণমাত্রার সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ উভয় দেশেরই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের হামলাটি ভারত মঞ্চস্থ করেছে; একটি ফলস ফ্ল্যাগ (মিথ্যা প্ররোচনার) অপারেশনের মাধ্যমে।

’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তার দেশের সামরিক বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে যেভাবে আক্রমণ আসবে, আমরা সেভাবেই মেপে প্রতিক্রিয়া জানাব। যদি কোনো পূর্ণমাত্রার আক্রমণ হয়, তাহলে অবশ্যই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ হবে।’

বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা, এমন প্রশ্নে জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি তাই। দুটি পারমাণবিক শক্তির সংঘর্ষ সবসময়ই উদ্বেগজনক।

যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এর পরিণতি মর্মান্তিক হতে পারে।’

গত তিন দশকে কাশ্মীর নিয়ে চলা সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছিল—তবে এই সপ্তাহের গুলির ঘটনা আবার উত্তেজনা উসকে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘এই হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের পৃথিবীর শেষ কোণ পর্যন্ত খুঁজে বের করা হবে।’

ভারতের দিকে দায় চাপিয়ে খাজা আসিফ অবশ্য বলেছেন, ‘আমাদের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা। যদি ভারতের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমরাও সমপর্যায়ে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না—একেবারেই না।’

মন্তব্য

দাসদের মাথার খুলির পাত্রে পান করতেন অক্সফোর্ডের শিক্ষকরা!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাসদের মাথার খুলির পাত্রে পান করতেন অক্সফোর্ডের শিক্ষকরা!
সংগৃহীত ছবি

ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় হলো দাসপ্রথা। কালো চামড়ার লাখ লাখ মানুষকে আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলগুলো থেকে জোরপূর্বক আমেরিকা ও ইউরোপে বিক্রি করা হতো। দাসপ্রথার ভয়াবহতা সম্পর্কে কমবেশি সব মানুষই কখনো না কখনো শুনেছেন।

নানা অনুসন্ধান বা গবেষণায় দাসদের প্রতিনিয়তই অত্যাচার-নিপীড়নের নতুন কোনো তথ্য উঠে আসছে।

এমনকি মারা যাওয়ার পর তাদের দেহাবশেষও মুক্তি পায়নি অত্যাচার থেকে। মাথার খুলি দিয়ে তৈরি হয়েছে পাত্র!

মানুষের মাথার খুলি দিয়ে বানানো সেই পাত্রে কয়েক দশক ধরে পানীয় পান করতেন অক্সফোর্ডের ওরচেস্টার কলেজের শিক্ষকরা! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঔপনিবেশিক যুগে লুট করা মানব দেহাবশেষ নিয়ে অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।

মানুষের খুলিকে পলিশ করে, রূপা দিয়ে হাতল ও চারপাশে নকশা করে অত্যন্ত সুন্দর করে এই পাত্রটি তৈরি করা হয়েছিল।

মাত্র দশ বছর আগেও প্রতিনিয়ত এই পাত্র থেকে ওয়াইন খেতেন; পরে ওয়াইন চুইয়ে পড়া শুরু করলে তাতে চকলেট খেতেন শিক্ষকরা।

সম্প্রতি ওরচেস্টার কলেজের পিট রিভারস জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড্যান হিকসের নতুন বই ‘এভরি মনুমেন্ট উইল ফল’ বইয়ে এসব লজ্জাজনক তথ্য উঠে এসেছে।

হিকস জানান, কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও অতিথিদের মধ্যে মানুষের খুলি দিয়ে বানানো পাত্রে পানীয় খেতে অস্বস্তি বাড়ার কারণে ২০১৯ সালের দিকে এই পাত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় এই পাত্রটি কোথা থেকে আর কী করে কলেজের খাবারের টেবিলে জায়গা পেল; তা জানতে হিকসকে অনুসন্ধান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

হিকস বলেন, ‘ঔপনিবেশিক ইতিহাস নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে সেসব বিতর্ক সাধারণত এই ঔপনিবেশিক শাসন থেকে যারা লাভবান হয়েছে তাদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। যেমন সিসলি রোডস কিংবা এডওয়ার্ড কলস্টন— যাদের নামে অনেক স্ট্যাচু কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে।’

তবে হিকস চেয়েছিলেন এসব লাভবান নয়, বরং ঔপনিবেশিক শাসনের যারা শিকার, যাদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে গেছে, তাদের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে। তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ নিয়ে থাকা বর্ণবাদের কারণে এসব মানুষকে একদমই গুরুত্ব দেওয়া হতো না।

’ এ ধরনের অমানবিকতা ও পরিচয় ধ্বংস করাও সহিংসতার অংশ বলে মনে করেন তিনি।

পাত্রটির খুলির মালিক কে, তার একদম সঠিক কোনো তথ্য পাননি হিকস। তবে কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলিটি আনুমানিক ২২৫ বছর আগের। খুলির আকার ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে হিকস জেনেছেন, খুলিটি একজন দাস নারীর এবং তাকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

খুলিটি কার সেটির কোনো তথ্য লিপিবদ্ধ না থাকলেও খুলি দিয়ে তৈরি পাত্রটির মালিকের নাম কিন্তু রূপা দিয়ে খোদাই করা ছিল। ১৯৪৬ সালে কলেজে এই পাত্রটি উপহার দেন সাবেক শিক্ষার্থী জর্জ পিট রিভারস।

যিনি ছিলেন একজন ইউজেনিসিস্ট। একটি বিশেষ জাতিকে সন্তান উৎপাদনের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের উন্নতি করার ধারণাকে ইউজেনিকস বলা হয়। এই ধারণার সঙ্গে বর্ণবাদ ও নাৎসি তত্ত্বের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই এই নীতিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না। নাৎসি শাসক ওসওয়াল্ড মোসলিকে সমর্থন করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তাকে কারাবন্দিও করেছিল।

খুলিটি জর্জ পিট পেয়েছিলেন তার দাদা হেনরি লেন ফক্স পিট রিভার্সের থেকে। তিনিই পিট রিভার্স মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৮৮৪ সালে একটি নিলামে এই পাত্রটি কিনেছিলেন। সে সময় পাত্রটিতে একটি কাঠের হাতল ছিল। সেটির নিচে রানী ভিক্টোরিয়ার নাম খোদিত ছিল এবং তার অভিষেকের বছরেই অর্থাৎ ১৮৩৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল পাত্রটি।

নিলামে পাত্রটি বিক্রি করেছিরেন বার্নাড স্মিথ নামে এক ব্যক্তি। হিকসের ধারণা এটি তিনি তার বাবার থেকে উপহার পেয়েছিলেন। স্মিথের বাবা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ভিক্টোরিয়ান যুগে রয়েল আর্মিতে কর্মরত ছিলেন।

আফ্রিকান ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত ব্রিটেনের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের’ সদস্য ও লেবার পার্টির এমপি বেল রিবেরিও অ্যাডি বলেন, ‘ঔপনিবেশিক সহিংসতা ও শোষণের মাধ্যমে গড়া সমৃদ্ধ এই প্রাচীরে দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের ডনরা মানুষের মাথার খুলি দিয়ে বানানো পাত্রে পানীয় খাচ্ছেন— দৃশ্যটি ভাবলেই কেমন যেন গা গুলিয়ে বমি আসে! হতে পারে খুলিটি একজন দাসের, যাকে এতটাই তুচ্ছ করা হয়েছে যে তার মাথার খুলিকে একটি পাত্রে তৈরি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ওরচেস্টার কলেজের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর দিকে মাঝে মাঝে এই পাত্রটি প্রদর্শন করা হতো, আবার অনেক সময় ব্যবহারও করা হতো। তবে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে ২০১১ সাল থেকে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়। আর ২০১৫ সালে পুরোপুরি ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়।’

গবেষকদের ও আইনি পরামর্শ মেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাত্রটিকে সম্মানের সঙ্গে সংগ্রহশালায় রাখার ও এর ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এই খুলিটির বিষয় ছাড়াও ঔপনিবেশিক আমলে লুট হওয়া আরো কিছুর খুলির তথ্য হিকসের বইয়ে আছে। এরমধ্যে ফিল্ড মার্শাল লর্ড গ্রেনফিল্ডের একজন জুলু কমান্ডারের খুলি লুটের তথ্যও রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাঁচা ডিমের মেয়োনিজ নিষিদ্ধ করলো তামিলনাড়ু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাঁচা ডিমের মেয়োনিজ নিষিদ্ধ করলো তামিলনাড়ু
সংগৃহীত ছবি

কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে তামিলনাড়ু সরকার বলেছে, ব্যবসায়ীরা এই মেয়োনিজ যেভাবে তৈরি করে তাতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়োনিজ যেভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

 

সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম, সালমোনেলা এন্টারিটিডিস, ইশেরিকিয়া কোলাই এবং লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনেস জাতীয় জীবাণু পাওয়া গেছে মেয়োনিজ পরীক্ষায়। যাতে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো রোগ হতে পারে।

২০০৬ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ধারার ৩০(২)(ক)-এর অধীনে গত ৮ এপ্রিল থেকে তামিলনাড়ু সরকারের এই আদেশ কার্যকর হয়েছে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার কোনো খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ বা বিক্রয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপাদানসমূহ নিরাপদ। উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণের সময় কোনো অসম্পূর্ণ, ভুল লেবেলযুক্ত বা নিম্নমানের খাবার বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্যের মধ্যে কোনো বিদেশি পদার্থ থাকাও চলবে না। 

ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সিং ও সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবেন। সঙ্গে যেকোনো আইন বা বিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকবেন।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকলের নিরাপত্তা, ন্যায্য ও নিরাপদ বাণিজ্য নীতি বজায় রাখা এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।

মন্তব্য

কাশ্মীর যেভাবে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কেন্দ্রে

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
কাশ্মীর যেভাবে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কেন্দ্রে
সংগৃহীত ছবি

সাত দশকের বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীর অঞ্চল। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই অঞ্চলটি।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে।

চীনও এই অঞ্চলের কিছু অংশে শাসন পরিচালনা করে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিকায়িত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

২০১৯ সালে, ভারতের সংসদ এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসনের কিছুটা অধিকার দিয়েছিল। তখন জম্মু-কাশ্মীর দুই অংশকে দুইটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন
দেশে ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর : ডা. শফিকুর রহমান

দেশে ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর : ডা. শফিকুর রহমান

 

এরপর থেকে ভারত সরকার বারবার দাবি করেছে যে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ থামানো গেছে।

তবে মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারত সরকারের সে দাবি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা ।

১৯৪৭ থেকে ইতিহাস

ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর সে সময়কার রাজকীয় শাসকদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো রাষ্ট্রের সাথে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

তৎকালীন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন হিন্দু শাসক, কিন্তু এই অঞ্চলটি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই দুই দেশের মাঝে অবস্থিত এই অঞ্চল নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

তিনি পাকিস্তানের সাথে পরিবহন এবং অন্যান্য পরিষেবা বজায় রাখার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থবির চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

১৯৪৭ সালের অক্টোবরে মুসলিমদের উপর আক্রমণের খবরে এবং হরি সিং-এর বিলম্ব করতে থাকা কৌশলে হতাশ হয়ে পাকিস্তানের নৃগোষ্ঠী কাশ্মীরে আক্রমণ করে। মহারাজা সিং তখন ভারতের সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন।

ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন বিশ্বাস করতেন যে, কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে সাময়িকভাবে যুক্ত হলে শান্তি বজায় থাকবে এবং পরে তার চূড়ান্ত অবস্থান নিয়ে গণভোট হবে। সেই মাসেই হরি সিং অধিগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনী ভূখণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়, আর পাকিস্তান উত্তরের বাকি অংশ দখল করে। ১৯৫০-এর দশকে চীন এ রাজ্যের পূর্ব অংশ আকসাই চিন দখল করে। এই ‘অধিগ্রহণ চুক্তি’ আগে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, না কি ভারতীয় সেনা আগে প্রবেশ করেছিল, সেটি এখনও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় বিতর্কের বিষয়।

ভারত জোর দিয়ে বলে যে মহারাজা প্রথমে স্বাক্ষর করেছিলেন, ফলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বৈধ। আর পাকিস্তান বলে মহারাজা সৈন্য আগমনের আগে স্বাক্ষর করেননি, তাই ভারত এবং মহারাজা পাকিস্তানের সাথে হওয়া ‘স্থগিত চুক্তি’ লঙ্ঘন করেছেন।

পাকিস্তান কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গণভোট দাবি করে, আর ভারত বলে যে ধারাবাহিকভাবে রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাশ্মীরিরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তান জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা বলে, যেখানে জাতিসংঘ-পরিচালিত গণভোটের কথা বলা হয়েছে, তবে ভারত বলে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি অনুযায়ী সমস্যার সমাধান রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে।

কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের এমন অবস্থানে খুব একটা নড়চড় হয়নি। এছাড়াও কিছু কাশ্মীরি রয়েছেন যারা স্বাধীনতা চান – যেটা ভারত বা পাকিস্তান কেউই মেনে নিতে রাজি না।

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭-৪৮ এবং ১৯৬৫ সালে যুদ্ধ করেছে। তারা শিমলা চুক্তিতে মূল যুদ্ধবিরতির যে রেখা ছিল সেটিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা হিসেবে চূড়ান্ত করে, তবে এতে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়নি। ১৯৯৯ সালে সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলে আরো সংঘর্ষ হয় যেটি ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার বাইরে। ২০০২ সালেও দুই দেশ আবার যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যায়।

১৯৮৯ সালে ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়। বিতর্কিত ‘সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (এএফএসপিএ) চালু করে ভারত সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়। এ আইন নিয়ে মাঝে মাঝে পর্যালোচনা হলেও, এটি এখনও ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর।

কাশ্মীরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময় :

১৮৪৬ - কাশ্মীর রাজ্য গঠিত হয়।

১৯৪৭-৪৮ - পাকিস্তানি নৃগোষ্ঠী বাহিনীর হামলার পর কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে অধিগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৪৯ - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ভাগ হয়।

১৯৬২ - আকসাই চিন সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয়। এতে ভারত পরাজিত হয়।

১৯৬৫ - দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় যেটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কাশ্মীরি জাতীয়তাবাদের উত্থান : জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়, যার লক্ষ্য ভারত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে পুনরায় একত্রিত করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন।

১৯৭২ - শিমলা চুক্তি : যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একমত হয়। ১৯৭১ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়।

১৯৮০-৯০ দশক : ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ, গণবিক্ষোভ ও পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

১৯৯৯ - কারগিল যুদ্ধ : পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের অধীন কারগিল অংশে অনুপ্রবেশ করলে ভারত ও পাকিস্তান আবার স্বল্পমেয়াদী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

২০০৮ – ভারত ও পাকিস্তান ৬ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা পারাপারের বাণিজ্য রুট চালু করে।

২০১০ - ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক যুবক নিহত হয়।

২০১৫ – রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ : জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় যখন তারা আঞ্চলিক মুসলিম পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে আংশিকভাবে জোট সরকার গঠন করে।

২০১৯ – ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামাতে ভারতের সেনাবাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়। আগস্ট মাসে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা রাজ্যটিকে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। এরপর রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ