চীনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
চীনা নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান শনিবার হাইনান দ্বীপের একটি খোলা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। ছবি : এক্স থেকে সংগৃহীত

চীনা নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় শনিবার বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এর পাইলট সফলভাবে বিমান থেকে বের হয়ে যান। দেশটির সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।

নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক পোস্টে জানিয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনীর সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের যুদ্ধবিমানটি হাইনান দ্বীপের একটি খোলা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।

এ ছাড়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাইলট সফলভাবে বিমান থেকে বের হয়ে যান। ভূমিতে কোনো পার্শ্ববর্তী ক্ষতি হয়নি। বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে এবং নৌবাহিনী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে উদ্যোগী হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

এই সাউদার্ন কমান্ড দেশটির কিছু সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকা তত্ত্বাবধান করে, এর মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরও রয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিতর্কিত প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের জাহাজগুলোর মধ্যে ব্যাপক সহিংস সংঘর্ষ ঘটেছে।

আন্তর্জাতিক রায়কে উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে চীন তার জলসীমার বিতর্কিত এলাকায় উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রায় অনুসারে, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ অংশে চীনের মালিকানা দাবি কোনো বৈধ ভিত্তি রাখে না। এ ছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে তার ভূখণ্ডগত দাবি আরো শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশ নিজেদের দাবি রক্ষা করছে।

গত মাসে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড একটি চীনা নৌবাহিনী হেলিকপ্টারের ‘বিপজ্জনক’ কৌশলের নিন্দা করে, যেটি বিতর্কিত স্কারবোরো শোলের ওপর সাংবাদিকদের বহনকারী ফ্লাইটের খুব কাছ দিয়ে উড়েছিল।

সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমিও : নরেন্দ্র মোদি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমিও : নরেন্দ্র মোদি
মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান তার পরিবর্তে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গেছে—মার্কিন পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগও তোলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এই সাক্ষাৎকারটি নেন লেক্স ফ্রিডম্যান।

প্রায় তিন ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারটি রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মোদি জানান, ক্ষমতায় আসার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। লক্ষ্য ছিল, যাতে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়।
কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে ‘বিরোধিতা’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মিলেছে বলে জানান মোদি।

তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পাকিস্তানের জনগণও শান্তির পক্ষে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চায়।

কারণ তারাও এই বিবাদ ও অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, এমনকি নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।’

মোদি আরো জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মসৃণ করতে তার প্রথম উদ্যোগ ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়। ওই সময় তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার কথায়, ‘এটি ছিল (সম্পর্ক মসৃণ করার) সদিচ্ছার একটি ইঙ্গিত।

’ কূটনৈতিক স্তরে এমন ইঙ্গিত গত কয়েক দশকের মধ্যে আর দেখা যায়নি বলে দাবি তার। শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করলেও ভারত ‘কাঙ্ক্ষিত ফল’ পায়নি বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান মোদি।

ফ্রিডম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ে উঠে আসে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের প্রসঙ্গও। মোদির বক্তব্য, দেশভাগ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্ব ছিল। তবে ভারত দেশভাগকে মেনে নিয়ে এগোতে শুরু করে। কিন্তু পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়নি বলে অভিযোগ তার।

নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, তারা (পাকিস্তান) নিজেদের মতো থাকবে এবং আমাদেরও নিজেদের মতো থাকতে দেবে। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগোয়নি। বারবার তারা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে।’

মন্তব্য

পানির সঙ্গে লড়ছে যেসব বড় শহর

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
পানির সঙ্গে লড়ছে যেসব বড় শহর
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দূষিত পানি সংগ্রহ করছেন একজন নারী। ফাইল ছবি : এএফপি

বিশ্বের বেশ কিছু বড় শহর খুব বেশি পানি অথবা পানির অভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। তবে পানির কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসনে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ধীরে ধীরে সুফল বয়ে আনছে।

৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাসের জন্য বেছে নেয় শহরকে। এ কারণে গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় নগরাঞ্চল দ্রুত ‘উত্তপ্ত’ হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটারএইডের নতুন গবেষণা অনুসারে, অনেক নগরাঞ্চল পানি-সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষণায় ১০০টিরও বেশি প্রধান শহর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে চার দশক ধরে জলবায়ুর ধরন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কায়রো, মাদ্রিদ, হংকং, রিয়াদ ও জেদ্দার মতো অনেক শহর একসময় বন্যার ঝুঁকিতে ছিল। এখন তারাই খরার সঙ্গে লড়াই করছে।

অন্যদিকে ভারত, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের শুষ্ক শহরগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ওয়াটারএইডের বৈশ্বিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ক্যাথেরিন নাইটিঙ্গেল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এখনকার অবকাঠামো এমন এক সময়ে নকশা ও নির্মাণ করা হয়েছিল, যখন এই শহরগুলো শুষ্ক ছিল। কিন্তু এখন এগুলো বন্যাপ্রবণ শহর।’

ক্রমবর্ধমান বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি শহরের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি সবই এশিয়ায়।

সে শহরগুলোর অর্ধেকই ভারতে। ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য সবচেয়ে বেশি শুষ্কতার প্রবণতা অনুভব করছে। এ ছাড়া চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ব আফ্রিকার শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

নাইটিঙ্গেল বলেন, ‘খরা পানির উৎস শুকিয়ে দেয়, অন্যদিকে বন্যা শৌচাগার ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং  সুপেয় পানিকে দূষিত করে।’

পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি শহরের মধ্যে রেখেছে ওয়াটারএইড।

করাচির দুই কোটি মানুষের অর্ধেকই বস্তিতে বাস করে। পাকিস্তান বন্যার মুখোমুখি হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে দেশটিতে পানি, স্যানিটেশন ও বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষজনের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

মন্তব্য

পাকিস্তানে গাড়িবহরে হামলা, ৫ সেনা নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে গাড়িবহরে হামলা, ৫ সেনা নিহত
১৬ মার্চ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের নোশকিতে একটি গাড়িবহরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা চালিয়েছে। ছবি : ডন

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ রবিবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। এর কয়েক দিন আগেই প্রদেশটিতে একটি ট্রেনে হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

নোশকি এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর বলেন, একটি গাড়িবহরে সাতটি বাস ছিল, যা ইরানের সীমান্তবর্তী তাফতান শহরের দিকে যাচ্ছিল।

গাড়িগুলো নোশকি এলাকায় পৌঁছলে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি একটি বাসকে আঘাত করে। এ হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে।

প্রদেশটির প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের আত্মঘাতী হামলা শাখা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

 

আরো পড়ুন
বিএলএ কারা, কেন পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে

বিএলএ কারা, কেন পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে

 

এর আগে মঙ্গলবার বিএলএ একটি ট্রেনে হামলা চালায়, যেখানে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। সেই হামলার পর দুই দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়, যাতে বহু মানুষ নিহত হয়। বেলুচিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আফগানিস্তানের সীমানাঘেঁষা অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অভিযোগ করে আসছে, বহিরাগতরা তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট করছে।

এদিকে বেলুচিস্তানের পাশের খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশেও শনিবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে পাকিস্তানি তালেবানের হামলা বেড়েছে, বিশেষ করে ২০২১ সালে আফগান তালেবান কাবুলের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে। উভয় গোষ্ঠীর আদর্শিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।

এএফপির হিসাবে, ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় আনুমানিক ১৩০ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এসব হামলা মূলত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটছে।

আরো পড়ুন
পাকিস্তান থেকে লন্ডন যাওয়ার সড়কপথের অজানা ইতিহাস

পাকিস্তান থেকে লন্ডন যাওয়ার সড়কপথের অজানা ইতিহাস

 
মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারীকে উলঙ্গ করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারীকে উলঙ্গ করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ
ফ্যাবিয়ান শমিট। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ গ্রিন কার্ডধারী ৩৪ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক ফ্যাবিয়ান শমিটকে গত ৭ মার্চ ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের লোগান বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তারা আটক করেছেন। এরপর তার পরিবার অভিযোগ করে, তাকে অপমানজনক ও সহিংস আচরণের শিকার হতে হয়েছে।

নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শমিট কৈশোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বর্তমানে নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা। লুক্সেমবার্গ সফর শেষে ফেরার সময় তিনি আটক হন।

 পরিবারের দাবি, শমিটকে গ্রেপ্তার করে উলঙ্গ করা হয়, সহিংসভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে তাকে রোড আইল্যান্ডের সেন্ট্রাল ফলসে অবস্থিত ডোনাল্ড ডব্লিউ ওয়াট আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়।

শমিটের পরিবার আরো জানিয়েছে, তার গ্রিন কার্ড সাম্প্রতিককালে নবায়ন করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি মামলাও নেই, তবু কেন তাকে আটক করা হয়েছে, তা তারা জানেন না। শমিটের সঙ্গী তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো খবর না পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বর্তমানে পরিবার তার মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শমিটের মা আস্ট্রিড সিনিয়র বলেন, ‘শুধু বলা হয়েছিল, তার গ্রিন কার্ড ফ্ল্যাগ করা হয়েছে।’ তিনি জানান, শমিটকে অপমানজনক ও সহিংস আচরণের শিকার হতে হয়েছে। তার অভিযোগ, ছেলেকে উলঙ্গ করে জোরপূর্বক ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করানো হয় এবং অল্প খাবার-পানীয় দেওয়া হয়। পরে শরীর খারাপ হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

আস্ট্রিড ব্যাখ্যা করেন, ২০২৩ সালে শমিট তার পুরনো গ্রিন কার্ড হারানোর পর আইনিভাবে নতুন কার্ড ইস্যু করিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় তার নথিপত্র ফ্ল্যাগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষার সহকারী কমিশনার হিল্টন বেকহ্যাম নিউজউইককে বলেন, ‘যদি কোনো আইন বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘিত হয়, তবে ভ্রমণকারীরা আটক বা বহিষ্কৃত হতে পারেন। তবে ফেডারেল গোপনীয়তা নীতির কারণে আমরা নির্দিষ্ট মামলার তথ্য প্রকাশ করতে পারি না।’

শমিটকে অবৈধ আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসননীতির অধীনে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে সমালোচকরা দাবি করেছেন। বিমানবন্দরে বৈধ গ্রিন কার্ডধারী বাসিন্দাদের আটক করার ঘটনা ক্রমেই বিতর্কের সৃষ্টি করছে এবং অভিবাসন আইন প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ