যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
সংগৃহীত ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শেষে কাতার থেকে ফিরে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। 

টাইমস অব ইসরায়েল ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ওই বৈঠকে ইসরায়েলি মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতানিয়াহু ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের অধীনে আলোচনার প্রস্তুতির নির্দেশ দেন, যার মধ্যে ১১ জন ইসরায়েলি বন্দীর তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং মৃত বন্দীদের অর্ধেকের দেহাবশেষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন জানিয়েছে যে, উইটকফ ১০ জন বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি ৬০ দিনের জন্য বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
সুনীতাদের আনতে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান

সুনীতাদের আনতে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান

 

এদিকে শুক্রবার হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানো এবং আরো ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে শেষ জীবিত ইসরায়েলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্বধারী আরো চারজন— ইতাই চেন, ওমর নিউট্রা, গাদি হাগাই এবং জুডি ওয়েইনস্টাইনের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।  তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই হামাসের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

 উইটকফ এটিকে ‘ছলনাপূর্ণ’ প্রস্তাব বলে মন্তব্য করেছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কাশ্মীর যেভাবে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কেন্দ্রে

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
কাশ্মীর যেভাবে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কেন্দ্রে
সংগৃহীত ছবি

সাত দশকের বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীর অঞ্চল। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই অঞ্চলটি।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে।

চীনও এই অঞ্চলের কিছু অংশে শাসন পরিচালনা করে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিকায়িত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

২০১৯ সালে, ভারতের সংসদ এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসনের কিছুটা অধিকার দিয়েছিল। তখন জম্মু-কাশ্মীর দুই অংশকে দুইটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন
দেশে ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর : ডা. শফিকুর রহমান

দেশে ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর : ডা. শফিকুর রহমান

 

এরপর থেকে ভারত সরকার বারবার দাবি করেছে যে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ থামানো গেছে।

তবে মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারত সরকারের সে দাবি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা ।

১৯৪৭ থেকে ইতিহাস

ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর সে সময়কার রাজকীয় শাসকদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো রাষ্ট্রের সাথে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

তৎকালীন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন হিন্দু শাসক, কিন্তু এই অঞ্চলটি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই দুই দেশের মাঝে অবস্থিত এই অঞ্চল নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

তিনি পাকিস্তানের সাথে পরিবহন এবং অন্যান্য পরিষেবা বজায় রাখার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থবির চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

১৯৪৭ সালের অক্টোবরে মুসলিমদের উপর আক্রমণের খবরে এবং হরি সিং-এর বিলম্ব করতে থাকা কৌশলে হতাশ হয়ে পাকিস্তানের নৃগোষ্ঠী কাশ্মীরে আক্রমণ করে। মহারাজা সিং তখন ভারতের সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন।

ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন বিশ্বাস করতেন যে, কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে সাময়িকভাবে যুক্ত হলে শান্তি বজায় থাকবে এবং পরে তার চূড়ান্ত অবস্থান নিয়ে গণভোট হবে। সেই মাসেই হরি সিং অধিগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনী ভূখণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়, আর পাকিস্তান উত্তরের বাকি অংশ দখল করে। ১৯৫০-এর দশকে চীন এ রাজ্যের পূর্ব অংশ আকসাই চিন দখল করে। এই ‘অধিগ্রহণ চুক্তি’ আগে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, না কি ভারতীয় সেনা আগে প্রবেশ করেছিল, সেটি এখনও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় বিতর্কের বিষয়।

ভারত জোর দিয়ে বলে যে মহারাজা প্রথমে স্বাক্ষর করেছিলেন, ফলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বৈধ। আর পাকিস্তান বলে মহারাজা সৈন্য আগমনের আগে স্বাক্ষর করেননি, তাই ভারত এবং মহারাজা পাকিস্তানের সাথে হওয়া ‘স্থগিত চুক্তি’ লঙ্ঘন করেছেন।

পাকিস্তান কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গণভোট দাবি করে, আর ভারত বলে যে ধারাবাহিকভাবে রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাশ্মীরিরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তান জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা বলে, যেখানে জাতিসংঘ-পরিচালিত গণভোটের কথা বলা হয়েছে, তবে ভারত বলে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি অনুযায়ী সমস্যার সমাধান রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে।

কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের এমন অবস্থানে খুব একটা নড়চড় হয়নি। এছাড়াও কিছু কাশ্মীরি রয়েছেন যারা স্বাধীনতা চান – যেটা ভারত বা পাকিস্তান কেউই মেনে নিতে রাজি না।

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭-৪৮ এবং ১৯৬৫ সালে যুদ্ধ করেছে। তারা শিমলা চুক্তিতে মূল যুদ্ধবিরতির যে রেখা ছিল সেটিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা হিসেবে চূড়ান্ত করে, তবে এতে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়নি। ১৯৯৯ সালে সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলে আরো সংঘর্ষ হয় যেটি ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার বাইরে। ২০০২ সালেও দুই দেশ আবার যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যায়।

১৯৮৯ সালে ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়। বিতর্কিত ‘সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (এএফএসপিএ) চালু করে ভারত সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়। এ আইন নিয়ে মাঝে মাঝে পর্যালোচনা হলেও, এটি এখনও ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর।

কাশ্মীরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময় :

১৮৪৬ - কাশ্মীর রাজ্য গঠিত হয়।

১৯৪৭-৪৮ - পাকিস্তানি নৃগোষ্ঠী বাহিনীর হামলার পর কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে অধিগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৪৯ - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ভাগ হয়।

১৯৬২ - আকসাই চিন সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয়। এতে ভারত পরাজিত হয়।

১৯৬৫ - দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় যেটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কাশ্মীরি জাতীয়তাবাদের উত্থান : জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়, যার লক্ষ্য ভারত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে পুনরায় একত্রিত করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন।

১৯৭২ - শিমলা চুক্তি : যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একমত হয়। ১৯৭১ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়।

১৯৮০-৯০ দশক : ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ, গণবিক্ষোভ ও পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

১৯৯৯ - কারগিল যুদ্ধ : পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের অধীন কারগিল অংশে অনুপ্রবেশ করলে ভারত ও পাকিস্তান আবার স্বল্পমেয়াদী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

২০০৮ – ভারত ও পাকিস্তান ৬ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা পারাপারের বাণিজ্য রুট চালু করে।

২০১০ - ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক যুবক নিহত হয়।

২০১৫ – রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ : জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় যখন তারা আঞ্চলিক মুসলিম পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে আংশিকভাবে জোট সরকার গঠন করে।

২০১৯ – ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামাতে ভারতের সেনাবাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়। আগস্ট মাসে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা রাজ্যটিকে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। এরপর রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘ভারতের যেকোনো অভিযানের জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান’

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
‘ভারতের যেকোনো অভিযানের জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান’
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবি : ডননিউজটিভি

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘যদি পাকিস্তানের মাটিতে ভারত কোনো অভিযান চালানোর কথা চিন্তা করে, এটা কোনো ভুল-বোঝাবুঝির মধ্যে থাকা উচিত নয় এবং ভারতকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।’

ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আসিফ। এই সংবাদ সম্মেলনে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ও অন্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ আরো বলেন, যদি পাকিস্তানি নাগরিকরা নিরাপদ না থাকেন, ভারতকেও এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।

পাকিস্তানের শহরগুলোতে ভারতের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে—এমন তথ্য পাকিস্তানের কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানের কোনো শহরে কোনো ধরনের তৎপরতা চালায়, কোনো পাকিস্তানি নাগরিকের ক্ষতি করে তবে পাকিস্তানও একইভাবে জবাব দেবে।’

আরো পড়ুন
কাশ্মীর হামলা : ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ

কাশ্মীর হামলা : ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতসহ যেকোনো স্থানে সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই আমরা। কিন্তু আমাদের নিজেদেরও আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

ভারতকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে টিটিপিসহ অন্য সন্ত্রাসীরা রয়েছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের ধরন ভারতের মতোই। কুলভূষণ যাদব সন্ত্রাসবাদে ভারতের জড়িত থাকার জীবন্ত প্রমাণ।’ এ ছাড়া বেলুচ লিবারেশন আর্মি ও তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের নেতারা ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কারো কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়, আমরা সম্পূর্ণভাবে ভারতের যেকোনো অভিযানের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

আসিফ বলেন, ‘ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে পুলওয়ামায় অতীতে যেভাবে কঠোর জবাব দেওয়া হয়েছিল, এবারও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না।’

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

 

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্যরা পাকিস্তানের এসব ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিতের বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

ভারত এটা করতে পারে না। কারণ বিশ্বব্যাংক এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী এবং চুক্তিতে একতরফাভাবে স্থগিতের কোনো বিধান নেই।

উল্লেখ্য, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনাকে ২০১৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সেনা বা সেনা কর্মকর্তা নন। ভারতের অন্যতম মনোরম উপত্যকায় ছুটি কাটাতে আসা বেসামরিক নাগরিক ছিলেন তারা। আর শুধু এই বিষয়টাই গোটা ঘটনাকে আরো নৃশংস ও প্রতীকী করে তুলেছে। এর জেরে পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে।

মন্তব্য
কাশ্মীর হামলা

ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ
ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জেরে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল থেকে শুরু করে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত, অটারি সীমান্ত বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। এক দিনের মাথায় পাকিস্তানও পদক্ষেপ নিল।

ভারতের পাঁচের বদলে তারা আটটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। সঙ্গে দীর্ঘ বিবৃতিতে ভারতের একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অমীমাংসিত বিরোধ কাশ্মীর। জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবে তা স্বীকৃত।

কাশ্মীরের মানুষের অধিকারকে পাকিস্তান সমর্থন করে। ভারতের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সেখানকার মানুষ পছন্দ করে না। এতে কাশ্মীরে সহিংসতা স্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জোর করে ওয়াকফ বিল পাস করা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ।’

পাকিস্তান আরো বলেছে, ‘পেহেলগামের মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কাজে লাগানোর ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে ভারতকে। তারা নিজেদের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তার দায় নিতে হবে।’

বিবৃতি অনুযায়ী, ‘পাকিস্তান সর্বপ্রকারে সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। বরং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে ভারত পূর্ব সীমান্তে বারবার অশান্তির চেষ্টা করে থাকে।

কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও প্রমাণের অভাবেই পেহেলগামের ঘটনাকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এটা ভিত্তিহীন। এটা আসলে হেরে যাওয়ার যুক্তি। এর বিপরীতে, পাকিস্তানে ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। পাকিস্তানি জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদব এর জলজ্যান্ত প্রমাণ।’

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

 

এ ছাড়া ভারতের পদক্ষেপগুলোর নিন্দা করেছে পাকিস্তান। বলা হয়েছে, ‘২৩ এপ্রিল ভারতীয় বিবৃতিতে থাকা হুমকির নিন্দা করছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। ভারত বারবার আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে। পাকিস্তানসহ একাধিক দেশ তার প্রমাণ পেয়েছে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তার ওপর যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে কাজে লাগিয়ে পেহেলগামের মতো ঘটনা নিয়ে দোষারোপের খেলা বন্ধ করা উচিত ভারতের। এই ধরনের কৌশল কেবল উত্তেজনাই বৃদ্ধি করে।’

এরপর বিবৃতিতে আটটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান :

১. সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার ভারতের যে সিদ্ধান্ত, তা পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করছে। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এটি একতরফাভাবে স্থগিত করা যায় না। পানি পাকিস্তানের মানুষের জাতীয় স্বার্থ। ২৪ কোটি মানুষের এই স্বার্থকে যেকোনো মূল্যে সুরক্ষিত করা হবে। সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধের যেকোনো প্রচেষ্টাকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হবে। সম্পূর্ণ শক্তির সঙ্গে এর জবাব দেওয়া হবে।

২. ভারতের বেপরোয়া, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করছে। ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তিসহ সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত রাখার অধিকার রয়েছে পাকিস্তানেরও। যতক্ষণ না ভারত পাকিস্তানের অন্দরে সন্ত্রাসকে উসকানি দেওয়া, আন্তর্জাতিক হত্যাকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা বন্ধ না করছে, তত দিন চুক্তি স্থগিত থাকতে পারে।

৩. অবিলম্বে ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করবে পাকিস্তান। এই পথে ভারতের সব আন্ত সীমান্ত পরিবহন বন্ধ থাকবে। যারা বৈধ অনুমোদন নিয়ে সীমান্ত পেরিয়েছে, তাদের ফিরে যাওয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে।

৪. সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের (এসভিইএস) অধীনে ভারতীয়দের যত ভিসা পাকিস্তান দিয়েছে, তা বাতিল করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু শিখ পুণ্যার্থীদের ভিসা। এসভিইএসের অধীনে যে ভারতীয়রা পাকিস্তানে এখন আছে, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।

৫. ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করল পাকিস্তান। তাদের ভারতে ফিরতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে। এই উপদেষ্টাদের সহযোগীদেরও ফিরে যেতে বলা হয়েছে।

৬. ভারতীয় দূতাবাসের সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে।

৭. ভারতীয় মালিকানাধীন বা ভারতে নিয়ন্ত্রিত সব বিমান সংস্থার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

৮. ভারতের সঙ্গে সব বাণিজ্য বন্ধ করে দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্য কোনো দেশের পণ্যও পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে ভারতে যেতে পারবে না বা সেখান থেকে অন্য দেশে যেতে পারবে না।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় মোদির বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাসংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক হয়। পরে রাত ৯টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিসিএসের কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন :

১. ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। যত দিন না পাকিস্তান আন্ত সীমান্ত সন্ত্রাসের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করছে, তত দিন এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।

২. অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে যারা এই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে, তাদের ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে এই সীমান্ত দিয়েই তাদের ফিরে যেতে হবে।

৩. সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের (এসভিইএস) অধীনে কোনো পাকিস্তানি নাগরিককে আর ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অতীতে এই ভিসায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানিদের যত অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হচ্ছে। এই ভিসা প্রকল্পের অধীনে যেসব পাকিস্তানি এখন ভারতে আছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দেশ ছাড়তে হবে।

তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারতের ইস্যু করা সব বৈধ ভিসা ২৭ এপ্রিল থেকে বাতিল করা হচ্ছে। ভারতে অবস্থানকারী সব পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারত ত্যাগ করতে হবে। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা শুধু মেডিক্যাল ভিসা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

৪. ইসলামাবাদে উপস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌ উপদেষ্টা ও বিমানবাহিনী উপদেষ্টাকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারত। তাদের সহকারীদেরও তুলে নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌ উপদেষ্টা ও বিমানবাহিনী উপদেষ্টাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারত ছাড়ার জন্য তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

৫. ভারতীয় দূতাবাসের সদস্য সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হচ্ছে। ১ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোট ২৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

দানিউব নদীতে ৮২ হাজার লিটার ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দানিউব নদীতে ৮২ হাজার লিটার ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে
দানিউব নদী। ফাইল ছবি : এএফপি

দানিউব নদীতে প্রায় ৮২ হাজার লিটার তেল ছড়িয়ে পড়েছে। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ভাটিতে একটি বার্জে তেল স্থানান্তরের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পানির নমুনা বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে ভয়ভদিনা প্রদেশের পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তেল একটি সুরক্ষামূলক বাধার মধ্যে আটকে আছে এবং এটি নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।

পানচেভো তেল শোধনাগারে গত ২১ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে। সেদিন সেখানে নোভি সাদভিত্তিক তেলজাত পণ্য কম্পানি নাফটাচেমের মালিকানাধীন একটি বার্জে তেল স্থানান্তর করা হচ্ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, সম্ভবত বার্জকর্মীদের অবহেলার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পরিবেশ সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ‘৮২ কিউবিক মিটার ইউরো (মান) ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে এবং জ্বালানিটি বার্জ ঘিরে থাকা সুরক্ষামূলক বাধার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

এদিকে দানিউব নদীতে দূষণের মাত্রা ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।

পানচেভোর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক লিলিয়ানা লাজিচ বলেন, ‘পরিদর্শকের চিহ্নিত সাতটি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ চলছে এবং আমরা দেখব ফলাফল কী আসে।’

সার্বিয়ায় পানিদূষণ আগে থেকেই একটি গুরুতর সমস্যা।

সরকারিভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটি তাদের নোংরা পানির মাত্র ১৫ শতাংশেরও কম পরিশোধন করে। বাকি অংশ পয়োনিষ্কাশনসহ সরাসরি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ