ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮
ছবিসূত্র : এএফপি

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে একটি নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে উদ্ধার অভিযানের প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৯৮ জনে পৌঁছেছে।

এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ ঘটনার পরে উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য ছুটে যান। ৩৭০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী জীবিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্স আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন ক্লাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন লোক ছিল। ক্লাবটিতে ৭০০ জন বসার এবং প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা রয়েছে।  নাইট ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি ব্যান্ড গান পরিবেশন করছে।

এ সময় স্টেজের কাছ থেকে একজনকে আঙুল দিয়ে দেখান যে ক্লাবের পেছনে কিছু একটা পড়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে থাকা লাইটগুলো ধসে পড়তে থাকে। এর কয়েক মুহূর্ত পরই পুরো ছাদটি ধসে পড়ে।

দেশটির রাষ্ট্রপতি লুইস আবিনাদারের মতে, মৃতদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি পৌরসভার গভর্নর নেলসি ক্রুজও ছিলেন। মৃতের সংখ্যা ১৫ জন থেকে শুরু হয়েছিল এবং এরপর তা বাড়তে থাকে।

সন্ধ্যা নাগাদ ৭৯ জনে পৌঁছায় এবং আজ সকালে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

ক্লাবের ছাদের একসময় একটি বড় গর্ত দেখা গেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একটি ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডোমিনিকানদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘যতক্ষণ জীবনের আশা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকল কর্তৃপক্ষ এই লোকদের উদ্ধারের জন্য কাজ করবে।’ রাষ্ট্রপতি আবিনাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

সূত্র : এএফপি


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘরে অদ্ভুত শব্দ শুনে ছুটে এলেন দেবর, ট্রাংকে মিলল ভাবির প্রেমিক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঘরে অদ্ভুত শব্দ শুনে ছুটে এলেন দেবর, ট্রাংকে মিলল ভাবির প্রেমিক
সংগৃহীত ছবি

স্বামীর অবর্তমানে প্রেমিককে বাড়িতে ডেকেছিলেন তরুণী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন টের পেতেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় প্রেমিককে ট্রাংকের ভেতর লুকিয়ে রাখেন প্রেমিকা। সন্দেহ হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তরুণীর ঘরে তল্লাশি চালান। এক পর্যায়ে ট্রাংক খুলতেই দেখা যায়, অর্ধনগ্ন অবস্থায় তরুণীর প্রেমিক।

এরপর তাকে ধরে পিটুনি দেওয়া হয়। 

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আগরায় ফতেহাবাদ থানা এলাকায়। ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

আরো পড়ুন
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন ড. আমিনুল

সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন ড. আমিনুল

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর স্বামী ট্রাক ড্রাইভার। কাজের সূত্রে তিনি প্রায়ই বাইরে থাকেন। ঘটনার রাতে তরুণীর স্বামী যখন বাইরে ছিলেন, তখন তরুণ তার বিবাহিত প্রেমিকার বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। তরুণীর দেবর তার ঘর থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনে হতবাক হয়ে যান।

তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের ডেকে তোলেন। তরুণীর দরজায় কড়া নাড়েন পরিবারের সদস্যরা। ঘরে ঢুকে খুঁজতেই ট্রাংক থেকে বের করে আনা হয় প্রেমিককে। হইচই শুরু হতেই আশপাশ থেকে জড়ো হয় প্রতিবেশীরাও। তারাও তরুণকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ফতেহাবাদ পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত প্রেমিক পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রেমিকা নিজেই তাকে দেখা করার জন্য ডেকেছিলেন। ঘটনার ভিডিওটি ‘নিতিন সবরঙ্গি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার।

মন্তব্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর গুলি, নিহত অন্তত ২৪

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর গুলি, নিহত অন্তত ২৪
২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হামলার পর একটি হাসপাতালে আহত এক পর্যটককে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা। ছবি : এএফপি

ভারতশাসিত কাশ্মীরে মঙ্গলবার পর্যটকদের একটি দলের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ একে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেসামরিক মানুষের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করেছে। হামলাটি হয়েছে পহেলগামে, যা সড়কপথে প্রধান শহর শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে। তবে এই সংখ্যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে এএফপি হিমালয়ের এই অঞ্চলের এক জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার বরাত দিয়ে অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল।

তখন অঞ্চলটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘পহেলগামে পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি, যা মর্মান্তিকভাবে পাঁচজনের প্রাণ নিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।’

এদিকে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্রোহ চলছে। বিদ্রোহীরা কাশ্মীরের স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূতকরণ চাইছে।

পাকিস্তান কাশ্মীরের একটি ছোট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভারতের মতো তারও পুরো অঞ্চলটির ওপর দাবি রয়েছে।

এই ‘নৃশংস হামলার’ নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, হামলাকারীদের ‘বিচারের আওতায় আনা হবে।’ এ ছাড়া ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হামলাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলায় যারা জড়িত, তারা রেহাই পাবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওয়াহিদ নামের একজন ট্যুর গাইড এএফপিকে জানান, তিনি গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে যান এবং কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে ঘোড়ায় তুলে সরিয়ে নিয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কয়েকজনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলাম, মনে হচ্ছিল তারা মারা গেছে।’

এই ‘অমানবিক’ হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে যত হামলা হয়েছে, তার তুলনায় এটি অনেক বড়, আর মৃতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অতিথিদের ওপর এই হামলা এক জঘন্য অপরাধ। হামলাকারীরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট, অমানবিক ও ঘৃণার যোগ্য।’

এই অঞ্চলে ভারতের নিয়োগকৃত গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, ‘পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘৃণ্য হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তারা শাস্তির বাইরে থাকবে না—মানুষকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করছি।’

হামলাটি ঘটেছে জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন পর্যটনস্থল পহেলগামে, যা শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

পর্যটনকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রচারণা
কাশ্মীরে ভারতের আনুমানিক পাঁচ লাখ সেনা স্থায়ীভাবে মোতায়েন রয়েছে। তবে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার অঞ্চলটির বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে সংঘর্ষের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তার পর থেকে কর্তৃপক্ষ এই পার্বত্য অঞ্চলটিকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জোরালোভাবে প্রচার করে আসছে—শীতে স্কিইং ও গ্রীষ্মে দেশের অন্যান্য জায়গার তীব্র গরম থেকে মুক্তির জায়গা হিসেবে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক কাশ্মীর সফর করেছে, যাদের বেশির ভাগই ভারতীয়।

২০২৩ সালে ভারত কাশ্মীরের শ্রীনগরে কড়া নিরাপত্তায় জি২০ পর্যটন সম্মেলনের আয়োজন করে, যেখানে সরকার বলেছিল, ‘স্বাভাবিকতা ও শান্তি’ ফিরিয়ে আনা হয়েছে ব্যাপক দমন-পীড়নের মাধ্যমে। কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে রাখা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পর্যটন রিসোর্ট নির্মাণের কাজ চলছে।

ভারতের বিজেপি নেতা রবীন্দ্র রায়না বলেন, ‘এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র, নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্য করেছে, যারা কাশ্মীর দেখতে এসেছিলেন। কিছু পর্যটক আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’

ভারত প্রায়ই কাশ্মীরে এই ধরনের হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, তারা কেবল কাশ্মীরের আত্মনিয়ন্ত্রণ সংগ্রামকে নৈতিকভাবে সমর্থন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। তখন বিদ্রোহীরা বিস্ফোরকে ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা চালায়। ওই হামলায় ৪০ জন নিহত ও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। এ ছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সর্বশেষ সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাটি হয়েছিল ২০০০ সালের মার্চ মাসে। তখন ৩৬ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

মন্তব্য

ইসরায়েলে হাঙরের বিরল আক্রমণে সাঁতারু নিখোঁজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলে হাঙরের বিরল আক্রমণে সাঁতারু নিখোঁজ
২২ এপ্রিল ইসরায়েলের হাদেরা উপকূলে নিখোঁজ এক ব্যক্তির খোঁজে অভিযান চালানোর সময় একটি হাঙরের পাখনা দেখা যাচ্ছে। ছবি : এএফপি

ইসরায়েলের উত্তর উপকূলে সোমবার হাঙরের এক অত্যন্ত বিরল আক্রমণের পর থেকে এক সাঁতারু নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে হাদেরা উপকূলে, যা তেল আবিবের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ওলগা সৈকতে থাকা মানুষজন ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে তাদের চিৎকার শোনা যায়।

স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত গরম পানির কারণে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সাধারণত হাঙরের আনাগোনা দেখা যায়। তবে তারা সাধারণত ক্ষতিকর নয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটির পানিতে হাঙরের আক্রমণে কারো মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই।

পুলিশ সৈকত বন্ধ করে দিয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

এদিকে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি সমুদ্রের প্রায় কয়েক শ ফুট দূরে পানিতে ছটফট করছেন, আর সৈকতে থাকা লোকজন চিৎকার করে বলছেন, তিনি হাঙরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এলিয়া মোটাই ওয়াইনেট নিউজকে বলেন, ‘আমি পানিতে ছিলাম, রক্ত দেখেছি আর চিৎকার শুনেছি। আমি উপকূল থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে ছিলাম। এটা খুবই ভয়ংকর।

আমরা আগের দিনও এখানে এসেছিলাম এবং আমাদের চারপাশে হাঙর ঘুরতে দেখেছিলাম।’

এই অঞ্চলে সাধারণত ডাস্কি ও স্যানবার প্রজাতির হাঙর ঘোরাঘুরি করে, যেখানে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ওরট রবিন অবস্থিত। এই হাঙরগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও কাছাকাছি একটি খাল থেকে আসা মাছের টানে এখানে আসে।

ওয়াইয়েনেটের তথ্য অনুসারে, সোমবারের ঘটনাটি ইসরায়েলের ইতিহাসে চতুর্থ নথিভুক্ত হাঙরের আক্রমণ।

মন্তব্য

গুজরাটে বিমান বিধ্বস্ত, প্রাণ হারালেন পাইলট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুজরাটে বিমান বিধ্বস্ত, প্রাণ হারালেন পাইলট
গুজরাটে মঙ্গলবার প্রশিক্ষণের সময় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন পাইলট নিহত হয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের গুজরাটে প্রশিক্ষণের সময় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন এক পাইলট। রাজ্যের আমরেলি শহরের গিরিয়া রোড এলাকার কাছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় পুলিশ সুপার সঞ্জয় খারাত জানান, বিমানটি আমরেলি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। একটি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার ওই বিমানটি কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়। শাস্ত্রী নগর এলাকার কাছে একটি খালি জমিতে গিয়ে পড়ে বিমানটি। তবে তার আগে একটি গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

জমিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানে আগুন ধরে যায়।

আরো পড়ুন
নিউইয়র্কে ৬ আরোহীসহ বিমান বিধ্বস্ত, কেউ বেঁচে নেই

নিউইয়র্কে ৬ আরোহীসহ বিমান বিধ্বস্ত, কেউ বেঁচে নেই

 

এদিকে কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা স্পষ্ট নয়। আনন্দবাজার বলছে, এর নেপথ্যে থাকতে পারে আবহাওয়াজনিত কারণ। যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা পাইলটের ভুলেও হতে পারে এই বিপর্যয়।

দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে পাইলট ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।

আরো পড়ুন
বিমান দুর্ঘটনা কি এখন বেশি ঘটছে

বিমান দুর্ঘটনা কি এখন বেশি ঘটছে

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ