ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩১
১৩ এপ্রিল উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাস্থলে কাজ করছেন আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : এএফপি

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর সুমিতে রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবস পাম সানডের দিন এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে কিয়েভ। হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

এই হামলার মাত্র দুই দিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক স্টিভ উইটকফের বৈঠক হয়েছিল।

সুমি শহরটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে এখানে হামলা বাড়ছে। 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘রাশিয়া শহরের কেন্দ্রভাগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে—সেই সময় বহু মানুষ রাস্তায় ছিল। মানুষ রাস্তায়, গাড়িতে, গণপরিবহনে ও ঘরে—সব জায়গায় আহত হয়েছে।’

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় তারা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।

আহত হয়েছে ৮৪ জন, যাদের মধ্যে ১০টি শিশু।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র একটি সাধারণ শহরের রাস্তা, সাধারণ জীবন, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোর ওপর আঘাত হেনেছে। এটা এমন এক দিনে ঘটেছে, যেদিন মানুষ গির্জায় যায়।

শুধু নরপিশাচরাই এমন কিছু করতে পারে।’

দ্বিতীয় প্রাণঘাতী হামলা
জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘কথাবার্তা কখনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমা থামায়নি।’ তিনি এই মন্তব্য করেন পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক উইটকফের সেন্ট পিটার্সবার্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা আলোচনার দুই দিন পর।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হামলার পর শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা মরদেহ, দগ্ধ গাড়ি, আতঙ্কিত মানুষদের পালানোর দৃশ্য ও আহতদের ভূমিতে পড়ে থাকার ফুটেজ প্রকাশ করে।

এই হামলা এমন এক সময় হলো, যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে মস্কোর তীব্র সমালোচনা করে চলেছেন এবং ইউক্রেনে ‘পাগলের মতো বোমাবর্ষণ’ বন্ধের দাবি জানিয়ে রাশিয়াকে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি এপ্রিলের শুরুতে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিহতে রুশ হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৯টি শিশুও ছিল।

এদিকে সুমি অঞ্চল ক্রমাগত রুশ চাপের মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেনের সেনারা সীমান্তবর্তী রুশ কুরস্ক অঞ্চল থেকে পিছু হটার পর থেকে। সুমি শহরটি দোনেৎস্ক অঞ্চলের মতো ভয়াবহ লড়াই থেকে মুক্ত ছিল। তবে কিয়েভ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সতর্ক করে আসছিল, রাশিয়া শিগগিরই সুমিতে বড় ধরনের অভিযান শুরু করতে পারে।

রাশিয়া সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সুমি অঞ্চলের একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে, যা ২০২২ সালে আক্রমণ শুরুর পর এই প্রথম। রাশিয়া তাদের আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে সুমি অঞ্চল দিয়েই অভিযান চালিয়েছিল এবং কিছু এলাকা অল্প সময়ের জন্য দখলে রেখেছিল। তবে পরে ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়।

এ হামলা নিয়ে মস্কোর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সন্ত্রাসীরা আমাদের পেটে লাথি মারলো : পেহেলগামবাসী

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
সন্ত্রাসীরা আমাদের পেটে লাথি মারলো : পেহেলগামবাসী
ছবিসূত্র : ডয়চে ভেলে

সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার পেহেলগামের সাধারণ মানুষ। পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। তাদের চিন্তা, পর্যটকরা না এলে তাদের আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যাবে। ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি পেহেল ঘুড়ে এসে তার এ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

 

রবিবারের পর থেকে পরিস্থিতি আলাদা হয়ে গেছে। রাস্তায় সেনা, পুলিশ, চেকিং আগের থেকে অন্তত দশগুণ বেশি। পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেনা সদস্যরা তল্লাশি করছেন। বিমানবন্দর থেকেই পহেলগাম যাওয়ার জন্য হাইওয়ে ধরি।

পহেলগাম, অনন্তনাগ যেতে হলে সঙ্গম থেকে বাঁদিকে যেতে হয়। সেই সঙ্গমেই গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তাদের বলা হয়েছিল, যেতে পারবেন না। সাংবাদিক হলেও নয়।

এরপর সাহায্যে এগিয়ে এলেন স্থানীয় মানুষরা। তারা বললেন, আপনারা মেহমান। আপনারা যান। দেখে আসুন বলে ঘুরপথে কীভাবে যেতে হবে সেই রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। এরপর অনন্তনাগ হয়ে পেহেলগাম।

রাস্তায় শুধু নিরাপত্তা বাহিনী, সাঁযোয়া গাড়ি, দশগজ দূরে দূরে নিরাপত্তা কর্মী দাঁড়িয়ে। সামান্য জমায়েত দেখলেই পুলিশের গাড়ি সেখানে চলে আসছে।

পেহেলগামের অবস্থা দেখলে প্রথমে একটা কথাই মনে পড়বে, পুরো শহর স্তব্ধ। কোথাও কেউ নেই। হোটেল বন্ধ। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে শুধু ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে। কোনো মানুষ নেই। 

হোটেল মালিক মহম্মদ আলী বেগ জানালেন, ‘পেহেলগামের সব হোটেল আগামী তিনমাসের জন্য বুকড ছিল। সব বুকিং ক্যানসেল হয়ে গেছে। জানি না, কীভাবে আমাদের দিন চলবে। আমরা তো এই তিনমাসের আয়ে সারা বছর চালাতাম।’

একই চিন্তা রেস্তোরাঁ মালিক, ট্যাক্সিচালকদের। তারাও বলছেন, চিন্তা হচ্ছে, আয় বন্ধ হয়ে গেলে চালাব কী করে? ট্যাক্সিচালক ফারুখ বলছিলেন, ‘কিছু ভাবতে পারছি না। এটা আমাদের চিন্তার বাইরে ছিল। এই তিনমাসই তো আমাদের আয়। সবে সিজন শুরু হয়েছিল। আমাদেরও সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’

পেহেলগামের রেস্তোরাঁগুলো প্রচুর খাবার জিনিস, মশলার স্টক করে রেখেছিল। পুরো টাকাটাই জলে গেলো বলে তারা মনে করছেন। কীভাবে তারা ক্ষতিপূরণ করবেন, ঘুরে দাঁড়াবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

তারপরেও ট্যাক্সিচালকরা পর্যটকদের বলেছেন, ‘আপনারা মেহমান। এই সংকটের সময়ে আপনারা যেখানে বলবেন, ছেড়ে দেবো। একটা পয়সাও নেব না।’ পর্যটকদের জন্য তারা ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন। যেমন স্থানীয় মানুষরা পর্যটকদের জন্য লঙ্গর শুরু করেছিলেন।
আমরা একটা রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর মালিক টাকা নিতে চাননি। বলেছেন, মেহমান আপনারা। টাকা লাগবে না। দুটো ছবি মেলাতে পারা যাচ্ছে না, যাবেও না। একদিকে বৈসরনে গত মঙ্গলবার অমানবিক, নৃশংস, বর্বরোচিত আক্রমণ, পর্যটকদের রক্তে ভেজা উপত্যকা অন্যদিকে স্থানীয় মানুষদের এত কষ্টের মধ্যেও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

শ্রীনগর থেকে পহেলগাম পর্যন্ত একজনও স্থানীয় মানুষ পাওয়া যায়নি, যারা এই ঘটনার নিন্দায় মুখর হননি, যিনি ক্ষুব্ধ নন। ডাল লেকের বোটচালক থেকে শুরু করে, সহিস, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

মহম্মদ আলি বেগ বলছিলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী শুধু পর্যটকদের আক্রমণ করেনি, আমাদের ওপরও হামলা করেছে, আমাদের পেটে লাথি মেরেছে, আমাদের রুটি-রুজি বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছে।’

ফারুখ বলছিলেন, ‘আমরাও চাই, দোষীদের কড়া শাস্তি হোক। নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হোক। এটা শুধু পর্যটক নয়, কাশ্মীরিদের জন্যও জরুরি। বিশ্বাস করুন , আমরা চাই এরকম ঘটনা যেন আর না হয়। আবার পর্যটকে ভরে যাক পেহেলগাম। আমাদের ঠিকভাবে বেঁচে থাকার জন্যও এটা জরুরি।’

সাধারণ মানুষের এই ভাবনার কথা পেহেলগামে পা না রাখলে, তাদের সঙ্গে কথা না বললে বুঝতে পারতাম না, বোঝা সম্ভব ছিল না। 


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় যেসব সমস্যায় পড়বে ভারতীয় বিমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় যেসব সমস্যায় পড়বে ভারতীয় বিমান
সংগৃহীত ছবি

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। বৃহস্পতিবার তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে আকাশসীমা বন্ধসহ আটটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। 

আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় এখন থেকে ভারতের মালিকানাধীন বা ভারত নিয়ন্ত্রিত কোনো বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যেতে পারবে না। বিমান চলাচলের জন্য পাকিস্তানের আকাশ ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

এর ফলে ভারতের বিমান চলাচলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে বিমানভাড়া।

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দিল্লিসহ উত্তর ভারতের যেকোনো শহর থেকে পশ্চিমের কোনো দেশে যেতে পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করা হয়। ওই পথে আন্তর্জাতিক বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং স্পাইস জেটের মতো সংস্থা।

 

পাকিস্তান বৃহস্পতিবার আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই এই সংস্থাগুলো ভবিষ্যতের সমস্যার কথা জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারলে উত্তর আমেরিকা, ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার দিকে বিমান চালাতে সমস্যা হবে। বিকল্প পথে যাত্রার সময়ও হবে দীর্ঘ।

পাকিস্তানের ওপর দিয়ে না গেলে উত্তর ভারত থেকে পশ্চিমের দিকে বিমানগুলোকে যেতে হবে আরব সাগরের ওপর দিয়ে।

এটিই প্রধান বিকল্প পথ। তবে এ ছাড়া কয়েকটি বিকল্প খোলা থাকবে ভারতীয় সংস্থাগুলোর সামনে। 

এক সিনিয়র পাইলট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিমানগুলো বিকল্প পথ ধরলে গন্তব্যে পৌঁছতে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। তবে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম বিকল্প পথ খুঁজে নিতে পারে। এসংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলেই যাত্রার সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।

আরব সাগর দিয়ে ঘুরে যেতে হলে বাড়তি জ্বালানি খরচ হবে বিমানগুলোর। এর ফলে যাত্রার খরচও আগের চেয়ে বেড়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে বিমানভাড়া ৮ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে আগামী দিনে ভাড়া আরো বাড়তে পারে।

তবে সমস্যা এখানেই শেষ নয়। বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হলে বিমানগুলোতে আরো বেশি জ্বালানি রাখতে হবে। তার ফলে সার্বিকভাবে বিমানের ভারসাম্য বজায় রাখতে যাত্রীসংখ্যা, নয়তো জিনিসপত্রের ওজন কমাতে হবে। যাত্রীসংখ্যা কমিয়ে দিতে হলে বিমানসংস্থাগুলোর আয় কমবে। ফলে সেগুলো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রাথমিক শিক্ষকদের জরুরি বার্তা দিল অধিদপ্তর

প্রাথমিক শিক্ষকদের জরুরি বার্তা দিল অধিদপ্তর

 

এর আগে ২০১৯ সালেও বালাকোটে ভারতের বিমান হামলার পর পাকিস্তান কয়েক মাসের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রেখেছিল। পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল। 

মন্তব্য

থাইল্যান্ডে বিমান বিধ্বস্ত, ৫ পুলিশ সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
থাইল্যান্ডে বিমান বিধ্বস্ত, ৫ পুলিশ সদস্য নিহত
ছবিসূত্র : সিনহুয়া নিউজ

থাইল্যান্ডের এক জনপ্রিয় সৈকত শহরের কাছে একটি ছোট পুলিশ বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে পাঁচজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রয়্যাল থাই পুলিশের মুখপাত্র আর্চায়োন ক্রাইথং জানান, হুয়া হিন জেলায় প্যারাসুট প্রশিক্ষণের প্রস্তুতির জন্য বিমানটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেছিল। তখনই স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিমানের মডেল শেয়ার করা না হলেও ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি পাওয়া গেছে, তাতে একটি ভাইকিং ডিএইচসি-৬ টুইন অটার দেখা গেছে।

 

প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, বিমানটি হুয়া হিন বিমানবন্দরের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ছবিতে দেখা যায়, বিমানটি উপকূল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে সাগরের পানিতে পড়ে আছে এবং বিমানটি দুইটুকরো হয়ে গেছে।

বিমানে ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন মুখপাত্র আর্চায়োন। তিনি প্রাথমিকভাবে জানান, ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং একজন হাসপাতালে মারা যান।

পরে তিনি আরো জানান, হাসপাতালে পাঠানো কর্মকর্তা এখনও বেঁচে আছেন তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিমান দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আর্চায়োন জানান, তদন্তকারীরা এখন বিমানের ব্ল্যাক বক্সসহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছেন।

সূত্র : আরব নিউজ

মন্তব্য

কাশ্মীর হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্তর বাড়িতে বিস্ফোরণ

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
কাশ্মীর হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্তর বাড়িতে বিস্ফোরণ
ছবিসূত্র : এএফপি

পেহেলগাম হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত আদিল হুসেন ঠোকের ও আসিফ শেখের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঠোকেরের বাড়ি অনন্তনাগে এবং আসিফের বাড়ি পুলওয়ামাতে। পেহেলগাম হামলার চক্রান্তে তারা জড়িত ছিল এবং তারাই পথ দেখিয়ে লস্কর সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছিল বলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযোগ। 

গত বৃহস্পতিবার চারজন হামলাকারীর যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল, তার মধ্যে ঠোকের ও আসিফের ছবিও ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দুইজন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের সম্পর্কে খবর দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আদিল ঠোকের ও আসিফের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরণ হয়। তবে সেনাবাহিনীর এক সূত্র বলেছে, বাড়িতে বিস্ফোরক ছিল বলে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আদিল ও আসিফ আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যায় এবং লস্কর তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। ২০২৪ সালে তারা আবার কাশ্মীরে ফিরে আসে। স্থানীয় বলে তারা এই এলাকা খুব ভালোভাবে চেনে। 

গতকালই বিহারের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ‘পেহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সাহায্যকারীদের চিহ্নিত করে, খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে।

বান্দিপুরায় বন্দুকযুদ্ধ

কাশ্মীরের বান্দিপুরায় সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে লস্কর কম্যান্ডার আলতাফ লাল্লি মারা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলতাফ দ্য রেসিট্যান্স ফ্রন্টের সঙ্গেও জড়িত ছিল। এই সংগঠনই পেহেলগামের হামলার দায় স্বীকার করেছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ