ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘চমৎকার’

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘চমৎকার’
১২ এপ্রিল ফ্লোরিডার মায়ামির কাসেয়া সেন্টারে জনগণের উদ্দেশে হাত নাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘চমৎকার’ বলে রবিবার জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, গত জুলাইয়ে তার ওপর হওয়া হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ডান কানে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়া নৌবাহিনীর চিকিৎসক ক্যাপ্টেন শন বারবাবেলা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, স্নায়ুতন্ত্র ও সামগ্রিক শারীরিক সক্ষমতা চমৎকার রয়েছে।

৭৮ বছর বয়সে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তবে তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রেসিডেন্সি শেষ করার সময় ৮২ বছর বয়সী ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প প্রায়ই তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

মেরিল্যান্ডের বেটেসডায় ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে শুক্রবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ট্রাম্পের রক্তপরীক্ষা, হৃদযন্ত্র পরীক্ষা ও আল্ট্রাসাউন্ড করা হয় বলে চিকিৎসক জানান।

এ ছাড়া বারবাবেলা রবিবার দেওয়া স্মারক বার্তায় বলেন, ‘তার সক্রিয় জীবনযাপন তার সুস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান উৎস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত ভালো এবং তিনি প্রধান কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।’

এ ছাড়া ট্রাম্পের মানসিক অবস্থা, স্নায়ু, মোটর ও সংবেদনক্ষমতা এবং রিফ্লেক্স পরীক্ষার জন্য স্নায়ুবিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়ন করা হয়। তাকে মন্ট্রিয়ল কগনিটিভ অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাও দেওয়া হয়, যেখানে তিনি পূর্ণ ৩০-এর মধ্যে ৩০ পেয়েছেন।

চিকিৎসক আরো জানান, ট্রাম্পের ত্বকে হালকা রোদে পোড়ার ক্ষত ও কিছু ‘অবিষাক্ত ত্বকের ক্ষত’ রয়েছে।

ট্রাম্প রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং চর্মরোগ চিকিৎসার জন্য কয়েকটি ওষুধ নিচ্ছেন।

ডা. বারবাবেলার তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওজন ২২৪ পাউন্ড এবং উচ্চতা ৬ ফুট ২.৫ ইঞ্চি।

এটি ট্রাম্পের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রকাশ্য প্রথম প্রতিবেদন, যা দেওয়া হলো পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে গত জুলাইয়ে তার নির্বাচনী জনসভায় বন্দুকধারীর গুলি কান ছুঁয়ে যাওয়ার ঘটনার পর। তৎকালীন হোয়াইট হাউস চিকিৎসক রনি জ্যাকসন তখন জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের আঘাত ছিল শুধুই ত্বকচ্যুতির মতো।

গত জুলাইতে পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুকধারীর গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে যাওয়ার পর তার যে শারীরিক ক্ষতি হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে আসার পর এই প্রথম তার কোনো স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হলো।

এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক বলেছিলেন, ট্রাম্পের স্বাস্থ্য ভালো, তবে ওজন কমানো ও ব্যায়াম বাড়ানো প্রয়োজন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসাসেবা স্থগিত ভারতের

    ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ
বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসাসেবা স্থগিত ভারতের
পাকিস্তানি পাসপোর্ট। ফাইল ছবি : এএফপি

পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারতের ইস্যু করা সব বৈধ ভিসা ২৭ এপ্রিল থেকে বাতিল করা হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী সব পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারত ত্যাগ করতে হবে। সে হিসাবে, তারা ভারত ত্যাগ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় পাবেন।

পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা শুধু মেডিক্যাল ভিসা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে বিরত থাকা এবং সে দেশে অবস্থানকারী ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে।

আরো পড়ুন
ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত জানাল পাকিস্তান

ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত জানাল পাকিস্তান

 

বুধবার রাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করে, যার মধ্যে রয়েছে সার্কের ভিসা প্রকল্প বাতিল করা।

এ ছাড়া ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে পাকিস্তান।

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বৃহস্পতিবার ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

 
মন্তব্য

ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত জানাল পাকিস্তান

    পাকিস্তানিদের জন্য ভিসাসেবা স্থগিত ভারতের
বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত জানাল পাকিস্তান
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের অভিযোগের জবাব নিয়ে বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি : পিএমও/ডন

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বৃহস্পতিবার ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে ‘কঠোর ভাষায়’ পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পানি বন্ধ বা অন্য দিকে প্রবাহিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

‘জাতীয় ক্ষমতার পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগাহ সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘বিনা ভিসা প্রকল্পের’ আওতায় দেওয়া সব ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

 

এ ছাড়া ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনীতিকদের সংখ্যা ৩০ জনে কমিয়ে আনতে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের আগে পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় মালিকানাধীন বা ভারতীয়দের পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যও স্থগিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘বিশ্বস্ত তদন্ত ও যাচাইযোগ্য প্রমাণের অনুপস্থিতিতে’ পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণে ভারতের প্রচেষ্টা ‘অপ্রাসঙ্গিক, যুক্তিহীন ও সর্বাংশে অযৌক্তিক’।

পাকিস্তান ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ‘নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম ও প্রস্তুত’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেহেলগামে হামলার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করার জন্য বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকে ইসলামাবাদের শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইসাক দার, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, তারিক ফাতেমি ও অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ান।

রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, নয়াদিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পর পাকিস্তানের নেতারা এখন ‘ভারতের তাড়াহুড়া করে নেওয়া, আবেগপ্রবণ ও অবাস্তব পানি ব্যবস্থাপনার’ প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করবে।

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসাসেবা স্থগিত ভারতের
অন্যদিকে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারতের ইস্যু করা সব বৈধ ভিসা ২৭ এপ্রিল থেকে বাতিল করা হচ্ছে।’

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ভারতে অবস্থানকারী সব পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারত ত্যাগ করতে হবে।’

পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা শুধু মেডিক্যাল ভিসা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে বিরত থাকা এবং সে দেশে অবস্থানকারী ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে।

বুধবার রাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করে, যার মধ্যে রয়েছে সার্কের ভিসা প্রকল্প বাতিল করা।

মন্তব্য

কোকেন সরবরাহের দায়ে অস্ট্রেলীয় রাজনীতিকের সাজা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কোকেন সরবরাহের দায়ে অস্ট্রেলীয় রাজনীতিকের সাজা
স্পিয়ার্সের আইনজীবীর মতে, কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে তিনি মাদক সেবন করতেন। ছবি : এবিসি নিউজ

অস্ট্রেলিয়ার এক রাজনীতিককে মাদক সরবরাহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদিও শুরুতে তিনি একটি ভিডিওকে ‘ডিপফেইক’ বলে দাবি করেছিলেন, যেখানে তাকে সাদা রঙের গুঁড়াজাতীয় পদার্থ নাক দিয়ে টানতে দেখা যায়।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির সাবেক নেতা ডেভিড স্পিয়ার্সকে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেইডের একটি আদালত ৯ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় পাঁচ হাজার ৭২০ মার্কিন ডলার) জরিমানা ও সাড়ে ৩৭ ঘণ্টা কমিউনিটি সার্ভিস করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউজ কর্প একটি ভিডিও প্রকাশ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে দেখা যায়, তিনি একটি প্লেট থেকে কিছু টানছেন।

শুরুতে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন এটি একটি ‘ডিপফেইক’। পাশাপাশি তিনি কখনো কোকেন ব্যবহার করেননি বলেও দাবি করেন।

তবে পরে স্পিয়ার্স স্বীকার করেন, তিনি মিথ্যা বলেছেন এবং এসংক্রান্ত কেলেঙ্কারি ও অভিযোগের কারণে তাকে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করতে হয়। এ ছাড়া আগস্ট মাসে দুই ব্যক্তিকে কোকেন সরবরাহ করার অভিযোগে স্পিয়ার্স গত মাসে দোষী সাব্যস্ত হন।

স্পিয়ার্সের আইনজীবীর মতে, কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে তিনি মাদক ব্যবহার করতেন, তবে অপরাধগুলো কোনো অফিশিয়াল কার্যক্রমের সময় ঘটেনি।

এই মামলাটি গণমাধ্যমে ব্যাপক নজর কাড়ে। প্রসিকিউটররা বলেন, স্পিয়ার্সের উচ্চ পদমর্যাদা বিবেচনায় এটি জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। তার আইনজীবী আদালতে অনুরোধ করেছিলেন, যেন দণ্ডের রেকর্ড না রাখা হয়, যাতে তার মক্কেল বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।

তবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অপরাধটি ‘অত্যন্ত গুরুতর’।

ম্যাজিস্ট্রেট ব্রায়ান নিটস্কি বলেন, ‘এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে নিন্দা ও সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করার প্রয়োজন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে দণ্ড রেকর্ড না করে উপেক্ষা করা যায় না।’

২০২২ সালে স্পিয়ার্স দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল নেতার দায়িত্ব নেন এবং ১০ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রায় ঘোষণার পর তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

দ. কোরিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দ. কোরিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। ফাইল ছবি : এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, একটি এয়ারলাইনে জামাতার চাকরি লাভের ঘটনায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

চেওনজু জেলা প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এয়ারলাইনে জামাতার চাকরি নিশ্চিত করতে সহায়তার বিনিময়ে ২১৭ মিলিয়ন ওন (প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার) গ্রহণের ঘটনায় মুনকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

এ মামলাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান রাজনৈতিক নাটকের মাত্রা আরো বাড়াল, যেখানে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মার্শাল ল জারি করায় পদচ্যুত হওয়ার পর ৩ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকা মুন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।

তার সময়েই কিম জং উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

প্রসিকিউটরদের মতে, মুনের জামাতাকে কোনো রকম অভিজ্ঞতা বা প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা ছাড়াই থাই ইস্টার জেট নামের একটি স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউটরদের ভাষ্য মতে, এই বিমান সংস্থাটি কার্যত মুনের দলীয় এক সাবেক এমপির নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্টের আনুকূল্য লাভের আশায় জামাতাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জামাতাকে প্রদান করা বেতন ও অন্য আর্থিক সুবিধাগুলো প্রসিকিউটরদের মতে ‘প্রকৃত বেতন নয়, বরং প্রেসিডেন্টকে প্রদত্ত ঘুষ হিসেবেই বিবেচিত’।

পরে মুনের মেয়ে ও জামাতার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।

মুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এখন একই সঙ্গে আইনের মুখোমুখি হলেন। অন্যদিকে অপমানজনকভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউন বর্তমানে ৩ ডিসেম্বরের ছয় ঘণ্টার মার্শাল ল ঘোষণার ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচারের মুখোমুখি। দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করায় এই দণ্ড কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ