ভারতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু
ছবিসূত্র : ইটিভি ভারত

গতকাল রবিবার দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বাজি কারখানার ভেতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে আটজন শ্রমিক নিহত এবং আরো সাতজন আহত হয়েছেন। পুলিশ এই খবর নিশ্চিত করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে। 

অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী অমরাবতী থেকে প্রায় ৩০৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আনাকাপল্লি জেলার কৈলাসপত্তনম গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিস্ফোরক সংরক্ষণ ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়ে। একজন পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, ‘বাজির মজুদে আগুন ধরে যায় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা পুরো ইউনিটটি পুড়িয়ে ফেলে।’

তিনি আরো জানান, ‘ঘটনার সময় কারখানার ভেতরে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন।’ দমকল বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডি নিরঞ্জন রেড্ডির মতে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় বাজি কারখানা এবং দোকানগুলোতে দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ প্রায়ই ঘটে থাকে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কারখানা মালিকরা সাধারণত সুরক্ষা মান মেনে চলেন না।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সংগৃহীত ছবি

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় চিরবৈরী দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির।

 

স্টিফেন ডুজারিক জানান, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরো অবনতির দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা আশাবাদী এবং এটাই হওয়া উচিত।

মন্তব্য
পাকিস্তানের সতর্কতা

কাশ্মীর বিরোধ ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীর বিরোধ ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা
ফাইল ছবি

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে নয়াদিল্লির উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। এ হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলেছে ভারত। যদিও তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

দুই দেশের বিরোধ এখন চরমে রূপ নিয়েছে।

গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। এর জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে পানির প্রবাহ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘কাশ্মীরে গণগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিরোধ দুই দেশকে সম্পূর্ণ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

খাজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পূর্ণমাত্রার সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ উভয় দেশেরই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের হামলাটি ভারত মঞ্চস্থ করেছে; একটি ফলস ফ্ল্যাগ (মিথ্যা প্ররোচনার) অপারেশনের মাধ্যমে।

’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তার দেশের সামরিক বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে যেভাবে আক্রমণ আসবে, আমরা সেভাবেই মেপে প্রতিক্রিয়া জানাব। যদি কোনো পূর্ণমাত্রার আক্রমণ হয়, তাহলে অবশ্যই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ হবে।’

বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা, এমন প্রশ্নে জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি তাই। দুটি পারমাণবিক শক্তির সংঘর্ষ সবসময়ই উদ্বেগজনক।

যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এর পরিণতি মর্মান্তিক হতে পারে।’

গত তিন দশকে কাশ্মীর নিয়ে চলা সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছিল—তবে এই সপ্তাহের গুলির ঘটনা আবার উত্তেজনা উসকে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘এই হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের পৃথিবীর শেষ কোণ পর্যন্ত খুঁজে বের করা হবে।’

ভারতের দিকে দায় চাপিয়ে খাজা আসিফ অবশ্য বলেছেন, ‘আমাদের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা। যদি ভারতের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমরাও সমপর্যায়ে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না—একেবারেই না।’

মন্তব্য

দাসদের মাথার খুলির পাত্রে পান করতেন অক্সফোর্ডের শিক্ষকরা!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাসদের মাথার খুলির পাত্রে পান করতেন অক্সফোর্ডের শিক্ষকরা!
সংগৃহীত ছবি

ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় হলো দাসপ্রথা। কালো চামড়ার লাখ লাখ মানুষকে আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলগুলো থেকে জোরপূর্বক আমেরিকা ও ইউরোপে বিক্রি করা হতো। দাসপ্রথার ভয়াবহতা সম্পর্কে কমবেশি সব মানুষই কখনো না কখনো শুনেছেন।

নানা অনুসন্ধান বা গবেষণায় দাসদের প্রতিনিয়তই অত্যাচার-নিপীড়নের নতুন কোনো তথ্য উঠে আসছে।

এমনকি মারা যাওয়ার পর তাদের দেহাবশেষও মুক্তি পায়নি অত্যাচার থেকে। মাথার খুলি দিয়ে তৈরি হয়েছে পাত্র!

মানুষের মাথার খুলি দিয়ে বানানো সেই পাত্রে কয়েক দশক ধরে পানীয় পান করতেন অক্সফোর্ডের ওরচেস্টার কলেজের শিক্ষকরা! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঔপনিবেশিক যুগে লুট করা মানব দেহাবশেষ নিয়ে অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।

মানুষের খুলিকে পলিশ করে, রূপা দিয়ে হাতল ও চারপাশে নকশা করে অত্যন্ত সুন্দর করে এই পাত্রটি তৈরি করা হয়েছিল।

মাত্র দশ বছর আগেও প্রতিনিয়ত এই পাত্র থেকে ওয়াইন খেতেন; পরে ওয়াইন চুইয়ে পড়া শুরু করলে তাতে চকলেট খেতেন শিক্ষকরা।

সম্প্রতি ওরচেস্টার কলেজের পিট রিভারস জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড্যান হিকসের নতুন বই ‘এভরি মনুমেন্ট উইল ফল’ বইয়ে এসব লজ্জাজনক তথ্য উঠে এসেছে।

হিকস জানান, কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও অতিথিদের মধ্যে মানুষের খুলি দিয়ে বানানো পাত্রে পানীয় খেতে অস্বস্তি বাড়ার কারণে ২০১৯ সালের দিকে এই পাত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় এই পাত্রটি কোথা থেকে আর কী করে কলেজের খাবারের টেবিলে জায়গা পেল; তা জানতে হিকসকে অনুসন্ধান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

হিকস বলেন, ‘ঔপনিবেশিক ইতিহাস নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে সেসব বিতর্ক সাধারণত এই ঔপনিবেশিক শাসন থেকে যারা লাভবান হয়েছে তাদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। যেমন সিসলি রোডস কিংবা এডওয়ার্ড কলস্টন— যাদের নামে অনেক স্ট্যাচু কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে।’

তবে হিকস চেয়েছিলেন এসব লাভবান নয়, বরং ঔপনিবেশিক শাসনের যারা শিকার, যাদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে গেছে, তাদের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে। তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ নিয়ে থাকা বর্ণবাদের কারণে এসব মানুষকে একদমই গুরুত্ব দেওয়া হতো না।

’ এ ধরনের অমানবিকতা ও পরিচয় ধ্বংস করাও সহিংসতার অংশ বলে মনে করেন তিনি।

পাত্রটির খুলির মালিক কে, তার একদম সঠিক কোনো তথ্য পাননি হিকস। তবে কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলিটি আনুমানিক ২২৫ বছর আগের। খুলির আকার ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে হিকস জেনেছেন, খুলিটি একজন দাস নারীর এবং তাকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

খুলিটি কার সেটির কোনো তথ্য লিপিবদ্ধ না থাকলেও খুলি দিয়ে তৈরি পাত্রটির মালিকের নাম কিন্তু রূপা দিয়ে খোদাই করা ছিল। ১৯৪৬ সালে কলেজে এই পাত্রটি উপহার দেন সাবেক শিক্ষার্থী জর্জ পিট রিভারস।

যিনি ছিলেন একজন ইউজেনিসিস্ট। একটি বিশেষ জাতিকে সন্তান উৎপাদনের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের উন্নতি করার ধারণাকে ইউজেনিকস বলা হয়। এই ধারণার সঙ্গে বর্ণবাদ ও নাৎসি তত্ত্বের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই এই নীতিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না। নাৎসি শাসক ওসওয়াল্ড মোসলিকে সমর্থন করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তাকে কারাবন্দিও করেছিল।

খুলিটি জর্জ পিট পেয়েছিলেন তার দাদা হেনরি লেন ফক্স পিট রিভার্সের থেকে। তিনিই পিট রিভার্স মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৮৮৪ সালে একটি নিলামে এই পাত্রটি কিনেছিলেন। সে সময় পাত্রটিতে একটি কাঠের হাতল ছিল। সেটির নিচে রানী ভিক্টোরিয়ার নাম খোদিত ছিল এবং তার অভিষেকের বছরেই অর্থাৎ ১৮৩৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল পাত্রটি।

নিলামে পাত্রটি বিক্রি করেছিরেন বার্নাড স্মিথ নামে এক ব্যক্তি। হিকসের ধারণা এটি তিনি তার বাবার থেকে উপহার পেয়েছিলেন। স্মিথের বাবা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ভিক্টোরিয়ান যুগে রয়েল আর্মিতে কর্মরত ছিলেন।

আফ্রিকান ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত ব্রিটেনের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের’ সদস্য ও লেবার পার্টির এমপি বেল রিবেরিও অ্যাডি বলেন, ‘ঔপনিবেশিক সহিংসতা ও শোষণের মাধ্যমে গড়া সমৃদ্ধ এই প্রাচীরে দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের ডনরা মানুষের মাথার খুলি দিয়ে বানানো পাত্রে পানীয় খাচ্ছেন— দৃশ্যটি ভাবলেই কেমন যেন গা গুলিয়ে বমি আসে! হতে পারে খুলিটি একজন দাসের, যাকে এতটাই তুচ্ছ করা হয়েছে যে তার মাথার খুলিকে একটি পাত্রে তৈরি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ওরচেস্টার কলেজের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর দিকে মাঝে মাঝে এই পাত্রটি প্রদর্শন করা হতো, আবার অনেক সময় ব্যবহারও করা হতো। তবে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে ২০১১ সাল থেকে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়। আর ২০১৫ সালে পুরোপুরি ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়।’

গবেষকদের ও আইনি পরামর্শ মেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাত্রটিকে সম্মানের সঙ্গে সংগ্রহশালায় রাখার ও এর ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এই খুলিটির বিষয় ছাড়াও ঔপনিবেশিক আমলে লুট হওয়া আরো কিছুর খুলির তথ্য হিকসের বইয়ে আছে। এরমধ্যে ফিল্ড মার্শাল লর্ড গ্রেনফিল্ডের একজন জুলু কমান্ডারের খুলি লুটের তথ্যও রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাঁচা ডিমের মেয়োনিজ নিষিদ্ধ করলো তামিলনাড়ু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাঁচা ডিমের মেয়োনিজ নিষিদ্ধ করলো তামিলনাড়ু
সংগৃহীত ছবি

কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে তামিলনাড়ু সরকার বলেছে, ব্যবসায়ীরা এই মেয়োনিজ যেভাবে তৈরি করে তাতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়োনিজ যেভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

 

সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম, সালমোনেলা এন্টারিটিডিস, ইশেরিকিয়া কোলাই এবং লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনেস জাতীয় জীবাণু পাওয়া গেছে মেয়োনিজ পরীক্ষায়। যাতে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো রোগ হতে পারে।

২০০৬ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ধারার ৩০(২)(ক)-এর অধীনে গত ৮ এপ্রিল থেকে তামিলনাড়ু সরকারের এই আদেশ কার্যকর হয়েছে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার কোনো খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ বা বিক্রয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপাদানসমূহ নিরাপদ। উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণের সময় কোনো অসম্পূর্ণ, ভুল লেবেলযুক্ত বা নিম্নমানের খাবার বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্যের মধ্যে কোনো বিদেশি পদার্থ থাকাও চলবে না। 

ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সিং ও সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবেন। সঙ্গে যেকোনো আইন বা বিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকবেন।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকলের নিরাপত্তা, ন্যায্য ও নিরাপদ বাণিজ্য নীতি বজায় রাখা এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ