পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে রুশ গোয়েন্দাপ্রধানের হুমকি

আলজাজিরা
আলজাজিরা
শেয়ার
পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে রুশ গোয়েন্দাপ্রধানের হুমকি
রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন। ফাইল ছবি : এএফপি

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হুমকি দিয়েছেন, সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন (ন্যাটো) ‘আগ্রাসন’ চালালে পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো প্রথমে হামলার শিকার হবে।

সের্গেই নারিশকিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ন্যাটো যদি রাশিয়া বা বেলারুশের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবে মস্কো পুরো সামরিক জোটটির ‘ক্ষতি’ করবে। তবে প্রথমে ভুক্তভোগী হবে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের লক্ষ্য পূরণ হলে মস্কো যে ইউরোপের সাবেক পূর্ব ব্লকের সদস্যদের দিকে নজর ফেরাবে—রুশ কর্মকর্তার এই মন্তব্য এমন আশঙ্কাকে আরো জোরালো করবে।

নারিশকিন ন্যাটোর সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধিকে ইউরোপীয় মহাদেশে ‘বর্তমান বড়, অত্যন্ত বিপজ্জনক সংকটের’ জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো বিশেষভাবে আগ্রাসী, অন্তত কথার ক্ষেত্রে, তারা ক্রমাগত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের এটা বোঝা উচিত, যদিও তারা এখনো তা না বোঝে যে উত্তর আটলান্টিক জোট যদি ইউনিয়ন স্টেটের (রাশিয়া ও বেলারুশের জোট) বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তবে অবশ্যই পুরো ন্যাটো জোট ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে সেই রাজনৈতিক মহলগুলোর সদস্যরা, যারা পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে এ ধরনের ভাবনার ধারক।

এ ছাড়া পোল্যান্ড সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে নারিশকিন বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ফ্রান্স ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য তার পারমাণবিক ছাতা সম্প্রসারিত করতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, এই পদক্ষেপ ‘পোল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য লাভজনক’ হবে।

রুশ গোয়েন্দাপ্রধান আরো দাবি করেন, পোল্যান্ড বেলারুশ ও কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলের সীমান্ত বরাবর প্রায় ২০ লাখ ট্যাংকবিধ্বংসী মাইন বসানোর পরিকল্পনা করছে।

এদিকে গত মাসে পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো ঘোষণা দেয়, রাশিয়ার আক্রমণাত্মক অবস্থানের আশঙ্কায় তারা অটোয়া কনভেনশন থেকে সরে আসছে। আন্তর্জাতিক এই চুক্তি স্থল মাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এ ছাড়া নারিশকিন শান্তি আলোচনা নিয়ে রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য পুনরায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্রেমলিন চায় না ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক এবং তারা ‘নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিবাদমুক্তকরণ’ চায়।

অন্যদিকে সমালোচকদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাতে চায়, তবে মস্কো এতে ভূখণ্ড ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত ছাড় পেতে পারে।

তাদের মতে, এ ধরনের ছাড় রাশিয়ার সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরো উৎসাহিত করবে এবং তাদের নতুন করে সজ্জিত হয়ে ইউরোপের আরো গভীরে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দ. কোরিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দ. কোরিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। ফাইল ছবি : এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, একটি এয়ারলাইনে জামাতার চাকরি লাভের ঘটনায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

চেওনজু জেলা প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এয়ারলাইনে জামাতার চাকরি নিশ্চিত করতে সহায়তার বিনিময়ে ২১৭ মিলিয়ন ওন (প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার) গ্রহণের ঘটনায় মুনকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

এ মামলাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান রাজনৈতিক নাটকের মাত্রা আরো বাড়াল, যেখানে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মার্শাল ল জারি করায় পদচ্যুত হওয়ার পর ৩ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকা মুন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।

তার সময়েই কিম জং উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

প্রসিকিউটরদের মতে, মুনের জামাতাকে কোনো রকম অভিজ্ঞতা বা প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা ছাড়াই থাই ইস্টার জেট নামের একটি স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউটরদের ভাষ্য মতে, এই বিমান সংস্থাটি কার্যত মুনের দলীয় এক সাবেক এমপির নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্টের আনুকূল্য লাভের আশায় জামাতাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জামাতাকে প্রদান করা বেতন ও অন্য আর্থিক সুবিধাগুলো প্রসিকিউটরদের মতে ‘প্রকৃত বেতন নয়, বরং প্রেসিডেন্টকে প্রদত্ত ঘুষ হিসেবেই বিবেচিত’।

পরে মুনের মেয়ে ও জামাতার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।

মুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এখন একই সঙ্গে আইনের মুখোমুখি হলেন। অন্যদিকে অপমানজনকভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউন বর্তমানে ৩ ডিসেম্বরের ছয় ঘণ্টার মার্শাল ল ঘোষণার ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচারের মুখোমুখি। দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করায় এই দণ্ড কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

অস্ট্রেলিয়া কৌশলগত রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ করবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অস্ট্রেলিয়া কৌশলগত রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ করবে
প্রতীকী ছবি : এএফপি

অস্ট্রেলিয়া নতুন কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ মজুদ করবে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। চীনের বাইরে দেশগুলো বিরল মৃত্তিকা ও লোভনীয় ধাতু সংগ্রহের জন্য লড়াই করছে। তাই ক্যানবেরা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

খনিজ পদার্থের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে লিথিয়াম, নিকেল ও কোবাল্ট রয়েছে। এসব ধাতু স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহন পর্যন্ত সব কিছুতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এই আশীর্বাদের বেশির ভাগই চীনের প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোর কাছে কাঁচা আকরিক হিসেবে বিক্রি করা হয়, যা প্রক্রিয়াজাতকৃত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের বিশ্বব্যাপী সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

অ্যালবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়া এসব পণ্য মজুদ করা শুরু করবে এবং অন্য প্রধান অংশীদারদের কাছে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করবে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত সময়ে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের কৌশলগত মূল্য সর্বাধিক করে তোলা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অস্ট্রেলিয়া যেগুলো সরবরাহ করতে পারে তা নিয়ে আমাদের আরো কিছু করতে হবে।’

রিজার্ভ চালু করার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রাথমিকভাবে ১.২ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করবে।

অ্যালবানিজের সরকার ইতিপূর্বে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় দর-কষাকষির একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া লিথিয়াম থাকার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ও নিওডিয়ামিয়ামের মতো স্বল্প পরিচিত বিরল মাটির ধাতুর একটি শীর্ষস্থানীয় উৎস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপানের মতো প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলো চীন ছাড়া অন্য উৎস থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো পেতে আগ্রহী। জাপানের নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ধাতু শোধনাগার ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য
বিবিসির বিশ্লেষণ

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে
২৪ এপ্রিল কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর একজন সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। ছবি : এএফপি

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনাকে ২০১৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সেনা বা সেনা কর্মকর্তা নন। ভারতের অন্যতম মনোরম উপত্যকায় ছুটি কাটাতে আসা বেসামরিক নাগরিক ছিলেন তারা।

আর শুধু এই বিষয়টাই গোটা ঘটনাকে আরো নৃশংস ও প্রতীকী করে তুলেছে।

মঙ্গলবারের হামলা শুধু মানুষের জীবনের ওপরই নয়, বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলে কঠোর পরিশ্রম করে ফেরানো স্বাভাবিক অবস্থার ওপরও একটা পরিকল্পিত আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করলেও তা তারা আংশিকভাবেই শাসন করে। কাশ্মীরের ভঙ্গুর ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, সাম্প্রতিক আবহে ভারতের আসন্ন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ‘বল প্রয়োগের’ একটা সম্পর্ক থাকবে।

অন্তত বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করেন।

পেহেলগামের ঘটনার জবাব দিতে নয়াদিল্লি দ্রুত বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এই তালিকায় প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া, একটা গুরুত্বপূর্ণ জল বণ্টন চুক্তি স্থগিত করা এবং কূটনীতিকদের বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্তও রয়েছে।

এদিকে আরো তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরাধীদের বিরুদ্ধেই নয়, ভারতের মাটিতে ‘ঘৃণ্য কাজের’ নেপথ্যে থাকা ‘মাস্টারমাইন্ডদের’ বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে প্রশ্ন এটা নয় যে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে কিনা। প্রশ্ন হলো সেটা কখন হবে, তার মাত্রা কী হবে এবং তার ফলে কী মূল্য দিতে হতে পারে।

সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভবত একটা দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখতে পাব, যা ঘরোয়া দর্শক ও পাকিস্তানে থাকা অভিনেতা—দুই পক্ষকেই একটা বার্তা দেবে। ২০১৬ সাল থেকে, বিশেষ করে ২০১৯ সালের পর থেকে এই জাতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিশোধমূলক যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা হলো আন্তঃসীমান্ত হামলা বা বিমান হামলা।

‘কাজেই সরকারের পক্ষে এখন সেই মাত্রার নিচে কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অনুমান করা যায়, পাকিস্তানও আগের মতোই জবাব দেবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই যে ঝুঁকিটা থেকে যায় সেটা হলো, হিসাবে ভুল, যা উভয় পক্ষেরই হতে পারে।’

এই প্রসঙ্গে রাঘবন ২০১৬ ও ২০১৯ সালে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি বড় প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি (জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় অবস্থিত) হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর কার্যত লাইন-অফ-কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছিল ভারত। সেই সময় ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের লক্ষ্যবস্তু হলো পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি।

২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে অবস্থিত কথিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের পর সেবারই প্রথম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এই জাতীয় হামলা চালায় ভারত। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানও বিমান হামলা চালিয়েছিল।

বিবাদ বাড়তে থাকে। এই সময় ভারতীয় একজন পাইলটকে কিছুদিনের জন্য আটক করা হয় পাকিস্তানে। তবে দুই পক্ষই নিজেদের শক্তি দেখালেও তারা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়িয়ে গেছে।

দুই বছর পর ২০২১ সালে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় ‘সিজ ফায়ার’ বা পরস্পরের সীমান্তে গুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। ভারতশাসিত কাশ্মীরে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা সত্ত্বেও কিন্তু এই শর্ত মূলত বহাল রয়েছে।

পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, সর্বশেষ হামলায় ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করার মতো ঘটনা এবং এতগুলো মানুষের মৃত্যু ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার জোরালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। নয়াদিল্লি যদিও পাকিস্তানের জড়িত থাকার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারে বা নিছকই ধরে নেয় যে তারা (পাকিস্তান) জড়িত—দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু এই সম্ভাবনা থাকে।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভারতের জন্য এই জাতীয় প্রতিক্রিয়ার প্রধান সুবিধা হবে রাজনৈতিক দিক থেকে। কারণ জোরালো জবাব দেওয়ার জন্য তাদের ওপর ভারতীয় জনসাধারণের প্রবল চাপ থাকবে। আরেকটা সুবিধা হলো, যদি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সফলভাবে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুকে নির্মূল করা সম্ভব হয়, তাহলে তা প্রতিরোধব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভারতবিরোধী হুমকিকে হ্রাস—দুই-ই করতে পারে।’

‘আর অসুবিধা হলো, এটা একটা গুরুতর সংকট সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি সংঘাতের ঝুঁকিও।’

ভারতের কাছে বিকল্প কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানির ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি মনে করেন, কোনো গোপন অভিযান চালানো হলে, দায় অস্বীকার করার সুযোগ থেকে যায়। কিন্তু সেই পদক্ষেপ মানুষকে দেখানোর যে একটা রাজনৈতিক প্রয়োজন রয়েছে, সেটাকে মেটাতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে দুটো সম্ভাব্য পথ খোলা থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

প্রথমত, ২০২১ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে ‘সিজ ফায়ার’-এর জন্য দুই পক্ষ সম্মত হয়েছিল, তা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্তে আবার গুলি চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, ২০১৯ সালের মতো বিমান হামলা বা এমনকি প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও সম্ভাব্য পথ হিসেবে ভারতের সামনে খোলা আছে।

তবে তিনি জানিয়েছেন, এই জাতীয় প্রতিটা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ কিন্তু পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বহন করে, যেমনটা এর আগেও দেখা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির গবেষক ক্ল্যারি বিবিসিকে বলেছেন, ‘কোনো পথই ঝুঁকিমুক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্রও বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে এবং সংকট ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে তারা ইচ্ছুক বা সক্ষম নাও হতে পারে।’ 

ভারত-পাকিস্তান সংকটের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, দুই পক্ষই পরমাণু শক্তিধর। এই সত্যিটা দুই দেশের পক্ষ থেকে নেওয়া প্রতিটা সিদ্ধান্তের ওপর দীর্ঘ প্রভাব ফেলে। সেটা শুধু সামরিক কৌশল তৈরির সময় নয়, বরং রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

রাঘবন বলেছেন, ‘পারমাণবিক হাতিয়ার একইসঙ্গে বিপজ্জনক ও নিয়ন্ত্রক (কাউকে বাধা দেওয়া বা নিয়ন্ত্রণে রাখার দিক থেকে)। এটা দুই পক্ষের নীতিনির্ধারকদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করে। যেকোনো প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে হতে হবে। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিতে পারে এবং তারপর সেখান থেকে সরে এসে আবার অন্য পথ অনুসরণ করতে পারে।’

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তার কথায়, ‘ইসরায়েল-ইরানসহ একাধিক ক্ষেত্রে আমরা এই একই ধারা লক্ষ্য করেছি। প্রথমে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং পরে তা প্রশমনের চেষ্টা। কিন্তু একটা ঝুঁকি সবসময়ই থাকে, সব কিছু চিত্রনাট্য অনুযায়ী নাও এগোতে পারে।’

কুগেলম্যান বলছেন, পুলওয়ামার ঘটনা থেকে নেওয়া একটা ‘শিক্ষা’ হলো, ‘প্রতিটা দেশ সীমিত মাত্রায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে’।

তার কথায়, ‘ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়ার রাজনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধাগুলোকে চিন্তা করতে হবে গুরুতর সংকট বা সংঘাতের ঝুঁকির মাথায় রেখে।’

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানি মনে করেন, ২০১৬ সালের মতো সীমিত পরিসরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর বিষয়ে যদি ভারত বিবেচনা করে তাহলে এবার উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনোয়ার গারগাশ ডিপ্লোম্যাটিক একাডেমি ও হাডসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো হুসেন হক্কানি বিবিসিকে বলেন, ‘ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হলো এগুলোর পরিধি সীমিত। তাই পাকিস্তানকে এর জবাব দিতে হয় না। কিন্তু ভারতের জনসাধারণ দেখানো যায় যে তারা (ভারত) জবাব দিতে একটা পদক্ষেপ নিয়েছে।’

‘তবে এই ধরনের হামলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। এক্ষেত্রে তারা যুক্তি দিতে পারে। কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই তাদের (পাকিস্তানকে) দোষারোপ করা হচ্ছে।’

এখন বিষয়টা হলো ভারত যে পথই বাছুক এবং পাকিস্তান তার যে জবাবই দিক না কেন, প্রত্যেকটা পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

সাম্প্রতিক আবহে উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি ঘনিয়ে আসছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের ‘ভঙ্গুর শান্তি’ নাগালের আরো বাইরে চলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতকে অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যর্থতার বিষয়টাও বিবেচনা করতে হবে, যার কারণে এই হামলা হয়েছে।

রাঘবন বলেছেন, ‘পর্যটন মৌসুম যখন শীর্ষে তখন এই জাতীয় হামলা চালানো হয়েছে। এটা একটা গুরুতর ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে এমন একটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে।’

মন্তব্য
কাশ্মীর হামলা

পাকিস্তানের ওপর ভারতের সিদ্ধান্তের প্রভাব কী?

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
পাকিস্তানের ওপর ভারতের সিদ্ধান্তের প্রভাব কী?
ছবিসূত্র : এএনআই

ভারতে বড় কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে সাধারণত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় দিল্লি। পেহেলগামের ঘটনার পরও পাঁচটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত রাখা, আটারি সীমান্ত বন্ধ করা, পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা বাতিল করা, হাইকমিশনের সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতেই পাকিস্তান হাইকমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত কাদের পার্সোনা নন গ্রাটা মনে করছে এবং তাদের সাত দিনের মধ্যে চলে যেতে হবে।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট, ভারত পেহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে। সেই বার্তা হলো, ভারত এ ধরনের কাজ সহ্য করবে না। ওড়িশা ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ। পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আক্রমণের পরও ভারত ব্যবস্থা নেয়।

কিন্তু সন্ত্রাসবাদের নানা ঘটনার পরেও ভারত আগে কখনো পানিতে হাত দেয়নি। এবার সিন্ধু  পানিচুক্তি স্থগিত রেখে সেটাও দিয়েছে। ফলে এই বার্তা যথেষ্ট কড়া।’

সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশ এবার কৌশল বদল করে পর্যটকদের টার্গেট করেছে।

তারা ভাবছে, এভাবে তাদের কার্যসিদ্ধি হবে।’

কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘পেহেলগামের প্রতিক্রিয়ায় কূটনৈতিক সম্পর্ক ডাউনগ্রেড করা হয়েছে। ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এসব করে একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য খুব কম হয়।

ফলে তার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রভাব পড়বে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা নিয়ে।’

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তাও মনে করেন, ‘ভারত যে ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়ার বিষয়টি প্রবলভাবে রয়েছে। এই জঙ্গি হামলার মধ্যে পাকিস্তানের তরফেও তো বার্তা হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চায় না। তারা পর্যটকদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করতেও পিছপা হচ্ছে না। তার পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।’

সিন্ধু জলচুক্তির বিষয়

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি হয়। তারপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। অনেকবার সীমান্তে সংঘাত হয়েছে। পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা ভারতের সংসদ আক্রমণ করেছে বলে ভারত অভিযোগ করেছে। কিন্তু তার প্রভাব এই জলচুক্তিতে পড়েনি। তবে পেহেলগামের পর সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করল ভারত। সিন্ধু মানে শুধু সিন্ধুর জল নয়, তার শাখা নদী ইরাবতী, শতদ্রু, বিপাশা, চন্দ্রভাগার এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

ছয় বছর ধরে ইন্ডাস রিভার কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন প্রদীপ কুমার সাক্সেনা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভারত যেহেতু উপরিভাগে আছে, তাই তার হাতে অনেকগুলি বিকল্প থাকবে।’

 তিনি বলেছেন,  ‘এই চুক্তি স্থগিত থাকলে কৃষ্ণগঙ্গা জলাধার ও জম্মু ও কাশ্মীরের অন্য জলাধারে রিজার্ভার ফ্লাশিং করা যাবে। চুক্তি মানলে তা এখন করা যেত না। রিজার্ভার ফ্লাশিং করে ভারত সেখান থেকে পলি তোলার কাজ করে আবার জলাধারে জল ভরতে পারে। তার জন্য বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে। তখন পাকিস্তানে জল কম যাবে।’

শ্রীরাধাও বলছেন, ‘জলটা খুব বড় বার্তা। অন্যগুলো আগে হয়েছে। কিন্তু আমরা জলে হাত দিইনি। তাই এটা নিঃসন্দেহে বড় বার্তা।’ তবে কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা মনে করেন, ‘জলের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের অসুবিধা হবে। কিন্তু ভারতকে এটাও ভাবতে হবে, এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো। এরপর চীনের সঙ্গে বিরোধ হলে, চীন যদি এই দৃষ্টান্তের উল্লেখ করে ভারতে জল বন্ধ করে, তখন কী হবে?’

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আলোচনা

বুধবার ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাবেক কূটনীতিক ও সেনা অফিসাররা বলেছেন, অতীতের মতো ভারত আবার পাকিস্তানের  ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জোনারেল এইচ এস পানাগ অবশ্য দ্য প্রিন্ট পত্রিকায় লিখেছেন, ‘ভারত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাঘাত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে সংঘাত অনেকটাই বাড়বে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ