যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রয়ে গেছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ভূমিধস ও বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি এড়াতে গত বৃহস্পতিবার সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে অন্তত আরো এক সপ্তাহ বাড়িতে না ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে বাড়ি ফিরতে না পারার নিয়মের কারণে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে হতাশা ক্রমেই বাড়ছে।
এমনকি দাবানলে যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সেখানেও ফিরতে বারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেটিএলএকে রনেন মিজ নামের একজন বলেন, একটি গ্রুপ চ্যাটে সবাই অভিযোগ করছিল যে কেন তাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুটি ভয়াবহ দাবানলে ৪০ হাজার একর জমি পুড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পয়োনিষ্কাশন লাইন ধ্বংস হয়ে গেছে, সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত বর্জ্য।
এ ছাড়া ভূমিধসের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা বলেন, একটু সময় লাগবে, অন্তত আরো এক সপ্তাহ। তবে আরো বেশি সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই ভয়াবহ দাবানলে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে লুনা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কিছু কিছু এলাকায় লোকজনের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) দলগুলো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের আগে সেখান থেকে কীটনাশক, জ্বালানি ও লিথিয়াম ব্যাটারি অপসারণের কাজ করছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পাবলিক ওয়ার্কসের পরিচালক মার্ক পেস্ট্রেলা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া বাড়িঘর ভূমিধসের কবলে পড়তে পারে।
সূত্র : এএফপি