ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় নেতা এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা। ইউক্রেনে যেকোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তায় আগ্রহী দেশগুলোর প্রায় ৩০ জন সামরিক নেতা লন্ডনে বৈঠক করেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় নেতারা একত্রিত হয়েছেন ব্রাসেলসে। ইউরোপের নিরাপত্তার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এবং বাল্টিক ও নর্ডিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে রুশ আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকে ইউরোপীয় নেতা এবং সামরিক কর্মকর্তারা পৃথক বৈঠক করেছেন।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনা করেছেন। ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে প্রস্তুত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পরস্পরের ওপর রাশিয়া ও ইউক্রেনের হামলা অব্যাহত থাকায় স্থায়ী শান্তিচুক্তির সঠিক বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আহবান এবং ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি হালকা প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে ইউরোপ ও ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প।
গত বুধবার রাতে জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের পর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দখল করে পরিচালনা করতে পারে। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, শুধু জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
লন্ডনের ওই বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের। ইউক্রেনে যেকোনো যুদ্ধবিরতিতে নজরদারির জন্য স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর নেতৃত্বে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ জোট গঠিত হয়েছে।
তাঁরা ইউক্রেনে নিজেদের সেনা মোতায়েনে ইচ্ছুক। তবে রাশিয়া বলেছে, তারা ইউক্রেনে ন্যাটো বা বিদেশি সেনার উপস্থিতি মেনে নেবে না।
এর মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে উভয় পক্ষ। ইউক্রেন জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে ইউক্রেনে ১৭১টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। এতে সুমি ও খারকিভে দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ছাড়া ক্রোপিভনিতস্কিতে ড্রোন হামলায় শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
রাশিয়া বলেছে, বুধবার রাতে ইউক্রেনের ১৩২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ড্রোন হামলায় দুজন আহত হয়েছে এবং স্কুল ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বেশ কিছু এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেয়েছে ইউক্রেন। সূত্র : এএফপি