সংক্ষিপ্ত

বজ্রপাত-ভারী বৃষ্টিতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বজ্রপাত-ভারী বৃষ্টিতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেসব অঞ্চলে আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশ দুটির আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তারা কথা জানিয়েছেন।

গত বুধবার একাধিক আবহাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল ভারতের আবহাওয়া অফিস। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এবং পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। যদিও দেশটিতে বর্ষার সঙ্গে যুক্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত সাধারণত জুন মাসে শুরু হয়। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, গত দুই দিনে বিহারে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে বজ্রপাত ও ঝড়ে অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নেপালের জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারতের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বজ্রপাত, ঝোড়ো বাতাসসহ আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।         সূত্র : এনবিসি নিউজ

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সংক্ষিপ্ত

উত্তেজিত হলে হারবেন, শান্ত থাকলে জিতবেন : মমতা

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
উত্তেজিত হলে হারবেন, শান্ত থাকলে জিতবেন : মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে শান্ত থাকতে বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সম্মেলনে এমন পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, সংকটের সময় ঠাণ্ডা থাকুন, সংযত থাকুন। আপনারা উত্তেজিত হলে হারবেন।

শান্ত থাকলে জিতবেন। ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, তাই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, বাংলায় আন্দোলন করলে হবে না। আন্দোলন করতে হলে দিল্লিতে যান।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চান। রাস্তায় থাকুন। ময়দানে থাকুন। মমতা জানান, সরকারের নথি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ৪০ হাজার ৪৮৯ জন ইমাম রয়েছেন।
মোয়াজ্জিনের সংখ্যা ২৮ হাজার। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনাদের হাত জোড় করে বলছি, কেউ অশান্তি করতে চাইলে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন। অশান্তি করতে দেবেন না। সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন যে পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হবে না তা-ও আবার জানিয়েছেন মমতা। ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার এই আইন ঘিরে সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন।  সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

মহারাষ্ট্রে সাইনবোর্ড থেকে উর্দু মুছতে দিলেন না সুপ্রিম কোর্ট

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মহারাষ্ট্রে সাইনবোর্ড থেকে উর্দু মুছতে দিলেন না সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের এক পৌরসভার সাইনবোর্ডে উর্দুতে লেখা হচ্ছে বিজ্ঞপ্তি। সেই লেখা মুছে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন পৌরসভার সাবেক এক কাউন্সিলর। সেই আবেদন খারিজ করলেন দেশটির শীর্ষ আদালত।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভাষা ধর্ম নয়।

উর্দুকে মুসলিমদের ভাষা বলে ধরে নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক ও অবান্তর বিষয়।

আবেদন করেছিলেন রাজ্যটির আকোলা জেলার পাতুরের সাবেক এক কাউন্সিলর। তিনি বলেছিলেন, সাইনবোর্ডে শুধু মারাঠি ভাষাতেই বার্তা লেখা উচিত। তার সঙ্গে কেন উর্দু ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে? তাঁর আইনজীবী বলেন, পৌরসভার কাজ শুধু মারাঠিতেই হওয়া উচিত।

ওই পৌরসভার সাইনবোর্ডে উর্দু লেখা বন্ধের দাবিও তোলেন তিনি। এর আগে তাঁর আবেদন খারিজ করেছিলেন মুম্বাই হাইকোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চও খারিজ করে দিলেন সেই আবেদন।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভাষা একটি সম্প্রদায়ের, একটি অঞ্চলের, মানুষের হতে পারে।

কিন্তু ভাষা কোনো ধর্মের নয়। ভাষা সংস্কৃতি। কোনো সম্প্রদায় বা তার মানুষজনের সভ্যতার যাত্রা পরিমাপের মাপকাঠি হলো ভাষা। উর্দুর ক্ষেত্রেও তাই। উত্তর ও মধ্য ভারতের সমতলভূমির সংস্কৃতির অংশ হলো উর্দু।
শিক্ষার মাধ্যম হওয়ার আগে ভাষা কিন্তু ভাব প্রকাশের মাধ্যম।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহারাষ্ট্রের যে পৌরসভার সাইনবোর্ডে উর্দুতে লেখা হয়েছে, সেখানে বহু মানুষ ওই ভাষাটিই বুঝতে পারে। তাদের সুবিধার্থেই উর্দু ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিদের বেঞ্চ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

ট্রাম্পের সমালোচনায় বাইডেন

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পের সমালোচনায় বাইডেন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের উন্মত্ত সংস্কারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এই পরিবর্তন আমেরিকানদের অবসর সুবিধার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর এই প্রথম জনসমক্ষে বক্তব্য রেখেছেন বাইডেন।

শিকাগোতে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মীদের এক সম্মেলনে বাইডেন আরো বলেন, মাত্র ১০০ দিনেরও কম সময়ে এই প্রশাসন এত ক্ষতি ও ধ্বংসযজ্ঞ করেছে, বিষয়টি এক রকম শ্বাসরুদ্ধকর যে এত তাড়াতাড়ি এ রকম ঘটতে পারে।

অবসর ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানকারী জাতীয় সংস্থার কথা উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনে কুঠারাঘাত করেছে।

সাত হাজার কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তাকে পবিত্র অঙ্গীকার অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণের জীবনে এই সামাজিক নিরাপত্তা যে কত গুরুত্ব বহন করে তা আমরা জানি।

নীল স্যুট পরে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ৮২ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট নেতা প্রায় আধাঘণ্টা কথা বলেন। এ সময় তাঁর মধ্যে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যায়।

বয়সের কারণেই গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন থেকে সরে এসেছিলেন বাইডেন।

বক্তব্যে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তাঁর হোয়াইট হাউস ত্যাগ কিংবা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেননি। যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসএসএ) অবসরপ্রাপ্ত এবং যাঁরা প্রতিবন্ধিতার কারণে কাজ করতে পারেন না তাঁদের ভাতা দেয়। এই ভাতার আওতায় রয়েছে প্রায় ছয় কোটি ৭০ লাখ মার্কিনি, যাঁদের বেশির ভাগই বৃদ্ধ।

ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যাপক কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে বলে ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরা বারবারই অভিযোগ করে আসছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর সংস্কারের নাম করে নির্দেশ জারি করে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এবার শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়নেও পড়তে চলছে ট্রাম্পের সংস্কারের কাঁচি।

মালি, লেবানন ও ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ব্যর্থতাকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের বাজেট দপ্তর এই কার্যক্রমে মার্কিন অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার নথিতে এই প্রস্তাব দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জাতিসংঘকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, এর পরের স্থানে রয়েছে চীন। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নিয়মিত মূল বাজেট ৩৭০ কোটি ডলার, যার ২২ শতাংশই আসে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে; আর শান্তিরক্ষা মিশনের ৫৬০ কোটি ডলারের বাজেটের ২৭ শতাংশও যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হয়। উভয় চাঁদাই বাধ্যতামূলক। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন অর্থবছরের তহবিল নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি) দপ্তর যে জবাব পাঠিয়েছে, তাতেই শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বাতিলের এই প্রস্তাব রয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওএমবির এই জবাব পাসব্যাক নামে পরিচিত। তাদের সামগ্রিক পরিকল্পনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রায় অর্ধেক কমাতে চাওয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ