ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন ঘিরে সহিংস বিক্ষোভের পর গতকাল রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জেলায় কড়া টহল দিচ্ছে।
ভারতে ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন কার্যকরের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে মুসলিম জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর।
বিক্ষোভ সহিংসতায় মুর্শিদাবাদে গত শনিবার তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত শনিবার রাত থেকে মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সুতি, শমসেরগঞ্জ থানা এলাকায় রাতভর টহল দিয়েছে।
গ্রামে গ্রামে ঘুরেছে পুলিশও। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ২৩ জন ‘দক্ষ’ পুলিশ কর্মকর্তাকে মুর্শিদাবাদে বিশেষ ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল জেলাটিতে গেছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত। গতকালও মহাদেবনগর নিমতলা নামের একটি এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেখানে রাজ্য পুলিশ পৌঁছায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর মুর্শিদাবাদে যান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, তিনি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেমে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওয়াক্ফ আইন নিয়ে অস্থির পরিস্থিতির জেরে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গে নয়া আইন কার্যকর হবে না জানিয়ে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহবান জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুসলিমদের বিক্ষোভ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র আপত্তির মুখে চলতি মাসের শুরুতে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয়। গত ৮ এপ্রিল বিতর্কিত এই ওয়াক্ফ আইন কার্যকর করে দেশটির সরকার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন