মক্কায় চলতি বছর হজে আরো ১০ হাজার ভারতীয় যেতে পারবেন। সৌদি আরব এই হজযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর ভারতে কোটা বাড়িয়ে হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
কয়েকটি বেসরকারি ট্যুর অপারেটর সৌদি আরবের সময়সীমা হারানোর পর ভারত সরকারের অনুরোধে সৌদি আরব আরো ১০ হাজার হজযাত্রীকে নিতে সম্মত হয়।
ভারত সরকার জানায়, সৌদি আরব সরকার আরো ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করতে কম্বাইন্ড হজ গ্রুপ অর্গানাজার্সের জন্য হজ পোর্টাল আবার খুলতে রাজি হয়েছে। সৌদি আরব ২০২৫ সালে ভারতের বেসরকারি হজের কোটার উল্লেখযোগ্য অংশ বাতিল করার খবর সামনে আসার পরে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্ত ভারতের ৫২ হাজার হজযাত্রীর ওপর প্রভাব ফেলবে।
এর পরই ভারত সরকার সৌদি আরবের মন্ত্রী পর্যায় থেকে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে এবং সৌদি আরব মিনায় অবশিষ্ট স্থানের ওপর ভিত্তি করে আরো ১০ হাজার হজযাত্রীর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে কম্বাইন্ড হজ গ্রুপ অর্গানাজার্সের জন্য সরকারি হজ পোর্টাল খুলতে রাজি হয়েছে বলে জানায় ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিরিজু বলেন, ‘হজযাত্রার বিষয়টিকে সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। হজযাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই সহযোগিতার জন্য সৌদি সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।
মক্কায় হজে যাওয়া নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁরা এ বিষয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তার পরই মোদি সরকারের তরফে জানানো হলো, তারা বিষয়টি সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাতে জটিলতা কেটেছে।
চলতি বছরে হজ কোটা বাড়িয়েছে মোদি সরকার।
শেষবার ২০১৪ সালে যখন মোদি ক্ষমতায় আসেন তখন হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৬ হাজার ২০ জন। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি নির্দেশিকা মেনে হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি যেমন—বিমান, সড়ক পরিবহন, মিনা ক্যাম্প, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা