রাজধানীর মগবাজার মোড় থেকে মালিবাগ-মৌচাকের দিকে যেতেই হাতের বাঁ পাশে আড়ংয়ের বিশাল শোরুম। বিপরীত পাশেই দাঁড়িয়ে ফ্যাশন হাউস ইয়েলোর শোরুম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি শোরুম ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কিছুদূর এগোলেই মালিবাগ মোড়।
মালিবাগ-মৌচাকে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা
নওশাদ জামিল

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার অর্ধশত বছরের পুরনো মৌচাক মার্কেট। এ মার্কেট ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক ছোট-বড় বিপণিবিতান।
গতকাল মৌচাক মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতার ভিড়ে পা ফেলার যেন জায়গা নেই। কথা বলার ফুরসতও পাচ্ছে না বিক্রেতারা। এ মার্কেটে তৈরি পোশাকের দোকান, গজ কাপড়ের দোকান, গয়নার দোকানসহ অন্য দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। মৌচাক মার্কেটের পাশের গলি দিয়ে হাঁটার জো নেই। একই রকম ভিড় মৌচাক মার্কেটের পেছনে আনারকলি সুপারমার্কেটেও।
মৌচাক মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে দেখা দম্পতি কালাম-সাজেদার সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন, ‘গত সপ্তাহেই মা-বাবা, ভাই-বোন সবার জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। এখন নিজের পোশাকটা কিনতে এসেছি।’
কসমেটিকসের প্রচুর দোকান মৌচাক মার্কেটে। বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে দোকানি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহ পর্যন্ত তেমন একটা ভিড় ছিল না আমাদের দোকানে। তখন মানুষ বেশি যেত ড্রেসের দোকানে। তবে এই সপ্তাহের শুরু থেকে আমাদের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। পোশাক কেনার পর ম্যাচিং করা গয়না, নেলপলিশ, লিপস্টিকের জন্য ক্রেতারা আসে আমাদের দোকানগুলোতে। এই ভিড় থাকবে চাঁদরাত পর্যন্ত।’
মৌচাক মার্কেট থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত ফুটপাতজুড়ে বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পোশাক। দুটি গোল গলার টি-শার্ট আর তিনটি কলারসহ টি-শার্ট কিনছিলেন আজাদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই আমার গাড়িচালককে আমি একসঙ্গে অনেকগুলো টি-শার্ট উপহার দিই। দামে একটু কম, অথচ দেখতে ভালো বলে এখান থেকেই প্রতি ঈদে কিনে থাকি।’
মালিবাগে দাঁড়িয়ে আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স। এই শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় পাঞ্জাবি-পায়জামা ও শাড়ির অন্তত ৮৫টি দোকান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। আয়েশা শপিং ও মৌচাক মার্কেটের মাঝামাঝি রয়েছে আরেক বিপণিবিতান সেন্টার পয়েন্ট। ছয়তলা এই শপিং মলের পাশেই রয়েছে জুতার ব্র্যান্ড অ্যাপেক্সের বড় একটি বিক্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া আশপাশে অসংখ্য ছোট-বড় দোকান রয়েছে। গতকাল বিকেলে ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানেই প্রচুর ভিড়।
আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পারভেজ স্টোরে রয়েছে শুধু পায়জামার সমাহার। এ দোকানের বিক্রয়কর্মী সেলিম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার রোজার শুরু থেকেই বেচাকেনা ভালো মনে হচ্ছে। আমরা আশা করছি, ঈদের আগে আরো বিক্রি বাড়বে।’
মালিবাগ শাড়িঘরের বিক্রয়কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের জামদানি বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে শুরু করে আট হাজার টাকার মধ্যে। কাতান শাড়ির দাম শুরু আড়াই হাজার টাকা থেকে। এ ছাড়া তিন হাজার, চার হাজার ও পাঁচ হাজার টাকার কাতান শাড়িও পাওয়া যাচ্ছে।’
সম্পর্কিত খবর