<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটি দেশে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে প্রকৃত বনভূমির পরিমাণ ৫ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। তার পরও দ্রুত কমছে বনভূমি। গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বন কমেছে ৮.৭ শতাংশের মতো, যা বৈশ্বিক গড় হারের তুলনায় বেশি। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বনভূমি কমেছে ২০০ বর্গকিলোমিটারের কাছাকাছি। অর্থাৎ বনভূমি দখল ও ধ্বংসের প্রতিযোগিতা চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় মন্দের ভালো একটি সংবাদ দিয়েছে কালের কণ্ঠ। গাজীপুরে জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বন বিভাগ দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গত বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৮.৭৯ একর বনভূমি। একজন বন কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তি পর্যায়ের দখলকারী ছাড়াও বনভূমি জবরদখলকারী ৭৭ প্রতিষ্ঠানের নামে উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছিল। শুনানি শেষে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ ওই তালিকা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬। অবৈধ দখলকারীদের তালিকায় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাটবাজার, ছোটখাটো দোকানপাটও রয়েছে। বনের জায়গায় চাষাবাদের জমিও বানানো হয়েছে। অভিযোগ আছে, অতীতে বিভিন্ন সরকারের সময় রাজনৈতিক আনুকূল্য কিংবা পক্ষপাতমূলকভাবে বহু মানুষকে বনের জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজ ছাড়াও অনেকে বনের জমি ভোগদখল করেছে। ব্রিটিশ শাসনামলে করা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী বনের যে জমি ছিল, সেই তুলনায় এখন আছে অনেক কম। পরবর্তী সময়ে এসএ/আরএস/বিএস জরিপে বনের অনেক জমি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডও করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে বন বিভাগও কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। বনের জমি উদ্ধারে শক্তিশালী কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাজীপুরে বনের জমি উদ্ধারে পরিচালিত অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই।  গাজীপুরে শুধু জমি উদ্ধার নয়, জমিতে থাকা স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সেসব স্থানে দেয়াল দিয়ে বা ঘেরাও তৈরি করতে হবে। দ্রুত বনায়ন শুরু করতে হবে। একই প্রক্রিয়া সারা দেশেই জোরদারভাবে শুরু করা প্রয়োজন। সিএস রেকর্ড অনুযায়ী, বনভূমি নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে যেটি করা প্রয়োজন, সেটি হলো নতুন করে কেউ যাতে বনের জমি দখলে নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। সম্প্রতি বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হোক, বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি, যে-ই হোক, দখলদার উচ্ছেদে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তাঁর কথায় আস্থা রাখতে চাই।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে বিদ্যমান বনভূমি রক্ষা করতে হবে। ক্রমেই সবুজের আচ্ছাদন বাড়াতে হবে। কিছু লোভী মানুষের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতেই হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>