<p>ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্র্যাফিক্যাল ইনডিকেশন-জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে দেশের এমন পণ্যের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারকে এ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট একটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গতকাল সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ উল্লিখিত আদেশ দেন।</p> <p>দেশের প্রাকৃতিক ও কৃষিজাত পণ্য, স্থানীয় বিখ্যাত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দিতে সরকারের কথিত নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত রবিবার রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।</p> <p>এই আইনজীবী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামী ১৯ মার্চ পরবর্তী তারিখ রেখেছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিআই পণ্যের তালিকা দাখিল করতে হবে।’</p> <p>জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের প্রাকৃতিক, কৃষিজাত-খাদ্যপণ্য, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।</p> <p>শিল্পসচিব, বাণিজ্যসচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষিসচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রসিদ্ধ পণ্যগুলোর জিআই স্বীকৃতি দিতে ২০১৩ সালে ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন’ করার পর সরকার ২০১৫ সালে এ আইনের বিধিমালা তৈরি করে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ডিপিডিটি দেশীয় পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। </p> <p>রিটে বলা হয়েছে, আইন-বিধি হওয়ার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অতি সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম, মৌলভীবাজারের আগর ও আগর-আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান ও জামালপুরের নকশিকাঁথাকে দেশের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি  দেওয়ার লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে জার্নাল প্রকাশ করেছে ডিপিডিটি।</p>