ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম চলতি জানুয়ারি মাসের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ডিসেম্বরেও দর অপরিবর্তিত ছিল। ফলে গত নভেম্বরের নির্ধারিত দাম ধরেই চলতি জানুয়ারিতেও এলপিজি বিক্রি হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত দর ছিল এক হাজার ৪৫৫ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির দাম একই রাখার ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম কমলেও ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম কমছে না। গত মাসের তুলনায় প্রপেন ও বিউটেন টনপ্রতি দাম কমেছে গড়ে ১৩.৩৩ ডলার। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নভেম্বর ও ডিসেম্বরের জন্য প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা, যা চলতি মাসেও একই দরে বিক্রি হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্প-কারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে ৩৫ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৬ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল যথাক্রমে ৪৪ টাকা, ১১ টাকা ও তিন টাকা।