<p>সাধারণত ধনীদের অল্পসংখ্যক আল্লাহভীরু হয়। এদের বেশির ভাগ হয় উদ্ধত অহংকারী। পরকাল ও জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা দেখা যায় না। দুনিয়া নিয়েই এরা মহাব্যস্ত। অন্যদিকে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যশীল ব্যক্তি দুনিয়ায় গরিব ও দুর্বল হলেও আখিরাতে হবে সফলকাম।</p> <p>সমাজের এই গরিব-মিসকিন ও দুর্বল শ্রেণিই বেশি হারে আল্লাহর বিধানের প্রতি আনুগত্যশীল হয়। ফলে জান্নাতের বেশির ভাগ অধিবাসী হবে তারাই। রাসুল (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের জান্নাতিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? (তারা হলো) প্রত্যেক দুর্বল ব্যক্তি এবং এমন ব্যক্তি যাকে দুর্বল মনে করা হয়। সে যদি আল্লাহর নামে কসম করে তাহলে তা তিনি পূর্ণ করে দেন। (তিনি আরো বলেন) আমি কি তোমাদের জাহান্নামিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? (তারা হলো) প্রত্যেক রূঢ় স্বভাব, কঠিন হৃদয় ও দাম্ভিক ব্যক্তি। (বুখারি, হাদিস : ৪৯১৮)</p> <p>অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম। দেখলাম, যারা জান্নাতে প্রবেশ করছে তাদের বেশির ভাগ গরিব-মিসকিন। আর ধনীদের (হিসাবের জন্য) আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জাহান্নামিদের জাহান্নামে নিক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর জাহান্নামের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, তাতে যারা প্রবেশ করছে তাদের বেশির ভাগই নারী। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৭৩৬)</p> <p>রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যে বিবাদ হলো। জাহান্নাম বলল, আমার মধ্যে উদ্ধত অহংকারী লোকেরা থাকবে। আর জান্নাত বলল, আমার মধ্যে দুর্বল ও দরিদ্র ব্যক্তিরা থাকবে। অতঃপর আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করলেন এভাবে যে তুমি জান্নাত আমার রহমত, তোমার দ্বারা আমি যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করব। আর তুমি জাহান্নাম আমার শাস্তি, তোমার দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কেই পরিপূর্ণ করা আমাদের দায়িত্ব। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১১৭৫৪)</p> <p>যারা দারিদ্র্যকে নিজের দুর্ভাগ্যের কারণ মনে করে, আশা করি হাদিসগুলো তাদের লালিত বিশ্বাসে চির ধরাতে পারবে। দুনিয়ায় সম্পদহীনতা আপনাকে জান্নাতি হতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ।</p> <p> </p>