<p>আয়াতের অর্থ : ‘তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার প্রত্যাদেশ অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ করো এবং যারা সীমালঙ্ঘন করেছে তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বোলো না, তারা নিমজ্জিত হবে। সে নৌকা নির্মাণ করতে লাগল এবং যখনই তার সম্প্রদায়ের প্রধানরা তার কাছ দিয়ে যেত, তাকে উপহাস করত। ...যেমন তোমরা উপহাস করছ এবং তোমরা অচিরে জানতে পারবে, কার ওপর আসবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আর তার ওপর আপতিত হবে স্থায়ী শাস্তি।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৩৭-৩৯)</p> <p>আয়াতগুলোতে নুহ (আ.)-এর নৌকা তৈরির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. দ্বিনি কাজের ব্যাপারে হতাশা নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্য নয়, তবে আল্লাহ কখনো কখনো তাদেরকে ভবিষ্যৎ পরিণতি সম্পর্কে অবগত করতেন। যেন তাদের মানসিক কষ্ট দূর হয়।</p> <p>২. আলেমদের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। কেননা তাঁরা নবীদের উত্তরসূরি।</p> <p>৩. নৌযান তৈরির বিদ্যা আল্লাহ সর্বপ্রথম নুহ (আ.)-কে দান করেছিলেন। এর আগে মানুষ নৌযানের ধারণা রাখত না।</p> <p>৪. ইমাম জাহাবি (রহ.) লিখেছেন, মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব শিল্পের সূচনা ওহির মাধ্যমে নবীদের হাতে হয়েছে। অতঃপর যুগে যুগে মানুষের প্রয়োজন অনুসারে তার উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে।</p> <p>৫. তিনি আরো লিখেছেন, ভূমি আবাদ করা। কৃষিকাজ ও চাকাযুক্ত পরিবহনের সূচনা হয়েছিল আদম (আ.)-এর মাধ্যমে। (মাআরেফুল কোরআন : ৪/৬০৫)</p> <p> </p> <p> </p>