<p>আয়াতের অর্থ : ‘তারা বলল, হে শুআইব! তোমার নামাজ কি তোমাকে নির্দেশ দেয় যে আমাদের পিতৃপুরুষরা যার ইবাদত করত আমাদেরকে তা বর্জন করতে হবে? অথবা আমরা আমাদের ধন-সম্পদ সম্পর্কে যা করি তা-ও? তুমি অবশ্যই সহিষ্ণু, ভালো মানুষ।...অতঃপর যারা সীমা লঙ্ঘন করেছিল, মহানাদ তাদের আঘাত করল; ফলে তারা নিজ নিজ ঘরে নতজানু অবস্থায় পড়ে রইল, যেন তারা সেখানে কখনো বসবাস করেনি। জেনে রেখো! ধ্বংসই ছিল মাদায়েনবাসীর পরিণাম, যেভাবে ধ্বংস হয়েছিল সামুদ সম্প্রদায়।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৮৭-৯৫)</p> <p>আয়াতগুলোতে সামাজিক সংস্কারে আলেমদের দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, নামাজ মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং মানুষকে ঈমানি শক্তিতে বলীয়ান করে।</p> <p>২. শুআইব (আ.) ঈমানি দাওয়াতের পাশাপাশি লেনেদেনের অসততা পরিহার করতে বলেছেন। সুতরাং মুমিন সামাজিক অন্যায় ও জুলুম উপেক্ষা করবে না।</p> <p>৩. খিয়ানত ও অসততা সমাজ-সভ্যতায় বিপর্যয় ডেকে আনে। কেননা তা সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করে।</p> <p>৪. মুদ্রা জাল করা অবিশ্বাসী মাদায়েনবাসীর উত্তরাধিকার। কেননা তারা বিশেষ পদ্ধতিতে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার ওজন হ্রাস করত।</p> <p>৫. সামাজিক সংস্কার আলেম সমাজের ধর্মীয় দায়িত্ব। প্রতিটি যুগের নবী-রাসুল নিজ সমাজের অনাচারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। (তাফসিরে মুনির : ৬/৪৫৪)</p> <p> </p> <p> </p>