<p>আয়াতের অর্থ :  ‘তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে সব মানুষকে এক জাতি করতে পারতেন, কিন্তু তারা মতভেদ করতেই থাকবে। তবে তারা নয়, যাদেরকে তোমার প্রতিপালক দয়া করেন এবং তিনি তাদেরকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছেন।...আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই এবং তাঁরই কাছে সব কিছু প্রত্যানীত হবে। সুতরাং তুমি তাঁর ইবাদত করো এবং তাঁর ওপর নির্ভর করো। তোমরা যা করো সে সম্পর্কে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৮-১২৩)</p> <p>আয়াতগুলোতে ইতিহাসচর্চার ধর্মীয় উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p> </p> <p> </p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যদি আল্লাহ মানবজাতিকে এক সম্প্রদায়ভুক্ত করতেন, তবে তারা সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী হতো।</p> <p>২. তিনি আরো বলেন, মানবসমাজে বিভক্তির প্রধান কারণ ঐশী নির্দেশনার পরিবর্তে প্রবৃত্তির অনুসরণ করা।</p> <p>৩. সত্যের অনুসারী হওয়া এবং ঐক্য বজায় রাখতে পারা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। বিবাদ-বিভক্তি আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার লক্ষণ।</p> <p>৪. মুমিন ইতিহাস চর্চা করবে মানবজাতির কল্যাণ সামনে রেখে এবং এমন শিক্ষা গ্রহণের জন্য, যা তার ঈমানকে দৃঢ় করে।</p> <p>৫. মানব ইতিহাসের সবচেয়ে উপকারী অধ্যায় হলো নবী-রাসুলদের জীবন ও ঘটনাসমূহ। কেননা তাঁরা ছিলেন সর্বোত্তম মানুষ এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত। (জাদুল মাসির : ৪/১৭২; আত-তাহরির ওয়াত-তানভির : ১২/১৯১)</p> <p> </p>