<p>আয়াতের অর্থ :  ‘একদল যাত্রী এলো, তারা তাদের পানি সংগ্রাহককে পাঠাল। সে তার পানির ডোল নামিয়ে দিল। সে বলে উঠল, কী সুখবর! এ যে এক কিশোর! অতঃপর তারা তাকে<br /> পণ্যরূপে লুকিয়ে রাখল। তারা যা করছিল সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত ছিলেন।...এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম তাঁকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। আল্লাহ তাঁর কাজ সম্পাদনে অপ্রতিহত; কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ তা জানে না।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১৯-২১)</p> <p>আয়াতগুলোতে কূপ থেকে ইউসুফ (আ.)-এর উদ্ধার এবং তাঁর মিসর গমনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. মিসরকে শিরক মুক্ত করতেই আল্লাহ ইউসুফ (আ.)-কে সেখানে পাঠিয়েছিলেন।</p> <p>২. আয়াত থেকে বোঝা যায়, উচ্চ মূল্যের জিনিস স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা জায়েজ। তবে তাতে বিক্রেতার সম্মতি থাকা আবশ্যক।</p> <p>৩. স্বর্ণ-রৌপ্যের পারস্পরিক বিনিময়ে ওজনই বিবেচ্য বিষয়, এগুলোর মানগত স্তর নয়।</p> <p>৪. ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ব্যক্তি নির্বাচনে তিনজন বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন : ক. ইউসুফ (আ.)-এর ক্ষেত্রে আজিজে মিসর, খ. মুসা (আ.)-এর ক্ষেত্রে শোয়াইব (আ.)-এর মেয়ে, গ. নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ওমর (রা.)-এর ক্ষেত্রে খলিফা আবু বকর (রা.)।</p> <p>৫. আয়াত থেকে বোঝা যায়, সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রচলন প্রাচীনকালেও ছিল এবং শর্তসাপেক্ষে তা জায়েজ।</p> <p>(তাফসিরে মুনির : ৬/৫৬৪)</p> <p> </p>