এ কারণে আইনের আশ্রয় নেওয়ারও সাহস পাইনি। এখন আল্লাহর কাছে বিচার দেওয়া ছাড়া আমরা কোনো উপায় দেখছি না। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ওদের অনেকেই পলাতক। কিন্তু আমরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আরেকটি রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার প্রশ্রয়ে তাদের প্রতিনিধিরা এখনো দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে।’
ভুক্তভোগী অনেক জুলুম-নির্যাতনের কথা জানিয়ে বললেন, ‘আপনারা হয়তো আমার কথাগুলো রেকর্ড করে রাখছেন। কিন্তু অনুরোধ, আমার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করবেন না। তাহলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
এ ধরনের অভিযোগ রাজধানীর কালশী, মাটিকাটা, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্টসংলগ্ন এলাকার অনেকের। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় সাধারণ মানুষের ও সরকারি জমি, খাল জবরদখল করে নেওয়া আর্টিকেল স্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি জবরদখল : অভিযোগকারীদের বক্তব্য এবং প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনায় জানা যায়, হত্যাসহ সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি এবং সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি জবরদখলের সঙ্গে জড়িত অনেককে সঙ্গে নিয়ে ওই সব এলাকায় একটি সংঘবদ্ধচক্র দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেড’ নামের একটি কম্পানির হর্তাকর্তা ওরা। ‘আরজেড বিল্ডার্স লিমিটেড’ নামের আরেকটি কম্পানিতেও রয়েছে তারা। এরই মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি জবরদখল করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন সাক্কুর জমি দখল করার জন্য আর্টিকেলের লোকজন তাঁর জমির ওপর সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় এবং চারপাশের বাউন্ডারি ভাঙচুর করে বলে খবর পাওয়া যায়। এ ধরনের জবরদখলের অভিযোগ অনেক।
‘আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেড’ ও ‘আরজেড বিল্ডার্স লিমিটেড’ মাটি ভরাট করে প্লট বিক্রির পাশাপাশি ভবন নির্মাণের কাজও করে থাকে। প্রধান অফিস বনানীর ১৭ নম্বর রোডের রূপসা টাওয়ারে। আর সাইড অফিস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ইসিবি-কালশী মেইন রোডের পাশে। রূপসা টাওয়ারের অফিসে গত সপ্তাহে দুই কর্মদিবসে গিয়েও কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেখা মেলেনি।
কম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ৬০ থেকে ৭০ ফুট চওড়া কালশী খালের একাংশ এবং সরকারি রাস্তা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রায় ৩০ বিঘা সরকারি জমি দখল ও ভরাট করে তা প্লট আকারে বিক্রির অপচেষ্টা চলছে। এই সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। খালটি দখল ও ভরাট করায় ভাসানটেক, মিরপুর-১০, ১১, ১৪, পল্লবী ক্যান্টনমেন্ট, মানিকদী, মাটিকাটাসহ বিশাল এলাকার স্যুয়ারেজের এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধার মুখে। দখলদারদের প্রচারণা—এই খাল উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বসবাসের জন্য কালশী খালের পাশে সরকারিভাবে তিনটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ও বস্তিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই খালটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেড সরকারি এই খালের দুই পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু করে। এ কাজ গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত চালু ছিল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, খালটির প্রস্থ ছিল ৭০ ফুট। কিন্তু ভরাটের ফলে বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ ফুট রয়েছে। আর্টিকেল স্ট্রাকচারকে সিটি করপোরেশন খাল ভরাট করতে নিষেধ করলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। এলাকাবাসী গত বছর শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কাছে এই খাল ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করার জন্য লিখিত আবেদন জানায়। এর অনুলিপি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পরও একই অবস্থা বহাল।
এসব বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু কালশী সরকারি খাল নয়, সব খাল সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আগামীকাল (রবিবার) উত্তরের ১২টি খাল নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক আছে। আমরা আপাতত বৃষ্টির পানি যাতে সহজে সরতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। বর্ষা মৌসুমকে মাথায় রেখে আগে খালগুলো পরিষ্কার করব। পরে দখলমুক্ত করার বিষয়ে কাজ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খাল যেটুকু দখলমুক্ত আছে, তা পরিষ্কার করতে আমাদের কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। কিন্তু দখলমুক্ত করতে গেলে আইনের অনেক বিষয় থাকে। অনেক রকম জটিলতা পার করে সেটি করতে হয়। তাই আমরা পরিষ্কার করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
কম্পানির হর্তাকর্তা যাঁরা : আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আলম চুন্নু আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বড় ভাই। কম্পানিতে তাঁর শেয়ার দুই হাজার ৭০০টি। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের ধারণা, কাগজে-কলমে না থাকলেও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফই আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেডের মূল নিয়ন্ত্রক ও সুবিধাভোগী। তাঁর সঙ্গে সরকারের সাবেক ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
কম্পানির পরিচালক (সেলস) তরিকুল ইসলাম গত ২০ ফেব্রুয়ারি কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন, ‘রফিকুল আলম মাঝেমধ্যে সাইড অফিসে আসেন। তবে বনানীর রূপসা টাওয়ারের অফিসে এখন কেউ যাচ্ছেন না।’ কম্পানির লোকজন কালের কণ্ঠকে জানান, তরিকুল ইসলামই কম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম। কম্পানির এমডির সঙ্গে কম্পানিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে কথা বলতে বা দেখা করতে চাইলে তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি চেষ্টা করবেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপে ‘আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেড’ ও ‘আরজেড বিল্ডার্স লিমিটেড’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করে এ সম্পর্কে কম্পানির এমডি বা তরিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম মেসেজ পাঠান, ‘আমি কালকে (২২-০২-২৫) আপডেট দিচ্ছি।’ কিন্তু সে আপডেট আর পাওয়া যায়নি।
কম্পানির এমডির দায়িত্বে রয়েছেন মো. তারেক আল মামুন। কম্পানিতে তাঁর শেয়ার দুই হাজার ৫০০টি। তিনি কুষ্টিয়া দৌলতপুরের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বর্তমানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সহযোগী একটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন বলে জানা যায়। হঠাৎ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া তারেকের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রোর সঙ্গে ব্যবসা এবং তাঁর ব্যবসায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের ছেলে বিপ্লবের বিনিয়োগ রয়েছে বলেও জানা যায়। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতির ছবি দেখা যায়। সূত্র জানায়, একসময় তারেক আল মামুন দুজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার সন্তানদের গৃহশিক্ষক ছিলেন। ওই পরিচয় ব্যবহার করে এবং সে সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার মদদপুষ্ট হয়ে রাতারাতি বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান। প্রাথমিকভাবে মো. তারেক আল মামুনের বিপুল সম্পদের যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা বিস্ময়কর।
কম্পানির অন্যতম পরিচালক হচ্ছেন কসাই খলিল খ্যাত মো. খলিলুর রহমান। জানা যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত খলিল বাউনিয়া বাঁধ বাজারে নিজ দোকানে কসাইয়ের কাজ করতেন। ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক। জন্ম শরীয়তপুরে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর পিতা ইউনূস ভাণ্ডারী তেজগাঁও রেললাইন বস্তি ও ভাসানটেক বস্তিতে বসবাস করেন। পরে বাউনিয়া বাঁধ দুই হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবার পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্লক-বিতে পৌনে এক কাঠার বাসা বরাদ্দ পায়। দরিদ্র পিতার সন্তান খলিলুর রহমানের উত্থান ১৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। বর্তমানে তিনি শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক। পল্লবী থানায় কর্মরত ছিলেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খলিল ওই থানার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি মাদক কারবারি ও কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবেও পরিচিত এবং প্রতারণা, মারামারি, ধর্ষণসহ অনেক মামলার আসামি। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিছু মামলার ফাইনাল রিপোর্ট করিয়ে নিয়েছেন। খলিলের বিরুদ্ধে মামলার মধ্যে আছে বা ছিল, বাউনিয়া বাঁধ ডি-ব্লকের হাজেরা খাতুনকে জোর করে উচ্ছেদ করা। এ নিয়ে পল্লবী থানায় মামলা হয়, কলাবাগান বস্তির মো. আবুল কাশেমের বোনের ঘর দখল করতে গিয়ে ওই বোনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে পল্লবী থানায় মামলা হয়; খালেকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে মাটি ভরাট করতে গেলে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পল্লবী থানায় খলিলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়; বাউনিয়া বাঁধের ই-ব্লকের বাসিন্দা মো. আসলামের ছেলেকে চাঁদা না দেওয়ায় গুরুতর জখম করা হয়। এ বিষয়েও পল্লবী থানায় খলিলের বিরুদ্ধে মামলা হয়; খলিলের নেতৃত্বে কৃষক লীগের সভাপতি মাকসুদুল আলমের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে খলিলের সন্ত্রাসী দল দখল করে নেয় মাকসুদুল আলমের জমি। এ বিষয়ে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় মামলা হয় (মামলা নম্বর-৮২/৮৮৯)। সেনপাড়া ও বাউনিয়া মৌজায় অনেক জমির মালিক খলিলের দাপটের কাছে জিম্মি। রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। খলিল সর্বশেষ বাউনিয়া মৌজার বৈশাখী খামারের ভেতর বিভিন্ন মালিকের জমি জোরজবরদস্তি দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে বিক্রির পাঁয়তারা করছিলে বলে অভিযোগ রয়েছে। খলিলের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অন্যের জমি নিজের দাবি করে বিক্রির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেনপাড়া মৌজায় এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সেনপাড়া মৌজায় ১৩ কাঠা জমির জাল কাগজ তৈরি করে দখলে রেখেছেন। প্রকৃত মালিকদের দাম দিয়েছেন ৪০ লাখ টাকা। আর পাঁচ কোটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রির চেষ্টা করছেন। বাউনিয়া মৌজায় বৈশাখী খামারের ভেতর বিভিন্ন মালিকের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে মাটি ভরাটের পর জাল কাগজ তৈরি করে জমি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন বলে সূত্র জানায়। কোনো মালিক তাঁর জমির কাছে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন খলিল। মালিকরা থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয় না। বর্তমানে ১০০ কোটি টাকার মালিক তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতেও সাহস করে না অনেকে। পুলিশকে ম্যানেজ করে কিছু মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, থানা থেকে এসব বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না। বলা হয়, জমির মামলা কোর্টে, আমাদের কাছে না। ৫ আগস্টের পর থেকে খলিলুর রহমানকে তাঁর নিজ এলাকায় এবং কম্পানির অফিসে দেখা যায়নি। কিন্তু তাঁর সহযোগীরা এলাকায় সক্রিয়।
কম্পানির আরেক ডিরেক্টর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মহীউদ্দিন আহমেদ। আর্টিকেল স্ট্রাকচার লিমিটেডে তাঁর শেয়ারের সংখ্যা দুই হাজার ২০০টি। মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে গত বছর ২৭ মে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জমি দখল করে কবলাসূত্রে মালিক হিসেবে মেজর জেনারেল পদবির একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার শাশুড়ির নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ছোট ভাই পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে মহীউদ্দিন আহমেদও লাপাত্তা।