ইলিশ রক্ষায় সমাজের দায়বদ্ধতা

শেয়ার
ইলিশ রক্ষায় সমাজের দায়বদ্ধতা

বাংলাদেশের নদীনির্ভর জীবনে ইলিশ শুধু মাছ নয়, বরং অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই ঐতিহ্যবাহী মাছটি আজ হুমকির মুখে। এর মূল কারণ জাটকা নিধন। জাটকা হলো ২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ, যেগুলো পরিণত হলে লাখ লাখ ডিম ছাড়তে সক্ষম।

অজ্ঞতা, দারিদ্র্য ও বিকল্প জীবিকার অভাবে অনেক জেলে বাধ্য হয়ে জাটকা ধরেন। এভাবে নির্বিচারে জাটকা ধরার কারণে দিন দিন ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সরকার প্রতিবছর ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালনসহ নানা আইনি ও প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে বাস্তবতায় এসব উদ্যোগ কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
কেবল আইন নয়, জাটকা সংরক্ষণের জন্য দরকার অর্থনৈতিক পুনর্বাসন, সচেতনতা বাড়ানোসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। তরুণরা প্রযুক্তি, গবেষণা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই আন্দোলনের বড় শক্তি হতে পারে। তাই জাটকা রক্ষা হোক জাতীয় দায়িত্ব, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইলিশ খেয়ে বলতে পারে, তাদের কারণেই আমরা আজও ইলিশ পাই।

জোলেখা আক্তার জিনিয়া

অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ চাই

শেয়ার
ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ চাই

আমাদের দেশে প্রতিবছর তামাকমুক্ত দিবস জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হলেও দেশটি এখনো তামাকমুক্ত হয়নি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তামাকের ব্যবহার। তামাকের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে ধূমপান। ধূমপান একটি কুঅভ্যাস।

বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি তৈরি হয় তামাক থেকে। এর প্রধান রাসায়নিক উপাদান নিকোটিন। নিকোটিন এক ধরনের উগ্র বিষ। ধূমপানে তাই নিকোটিন বিষ গ্রহণ করা হয়।
দেহে-মনে, ব্যক্তিত্বে ধূমপায়ী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপান যেভাবেই করা হোক, এর বিরূপ ফলাফল অনিবার্য। ধূমপানের কারণে আপাদমস্তক মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গে কুফল দেখা যায়। অনেক বিচিত্র রোগও দেখা দেয়।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের অন্যতম কারণ ধূমপান। এ কুঅভ্যাস হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা প্রদান করে। ধূমপানের বিষক্রিয়া প্রথম ফুসফুসে ও পরে রক্তে মিশে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো অনেক ধরনের অসুস্থতা তৈরি করে। তাই সুস্থ ও সবল জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশ থেকে ধূমপানের অবসান ঘটাতে হবে।

ওসমান গনি

সাংবাদিক

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

লুটতরাজ আন্দোলনের ভাষা নয়

শেয়ার
লুটতরাজ আন্দোলনের ভাষা নয়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঝড় উঠেছে বাংলাদেশেও। দেশের নানা প্রান্তে হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবাদ সভা, মিছিল ও অন্যান্য কর্মসূচি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে কিছু মানুষ এই সুযোগে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।

এসব ঘটনা প্রতিবাদের শান্তিপূর্ণ ও নৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সহিংস হামলা বিরল এবং স্পষ্টভাবেই জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ইসরায়েল সমর্থক প্রতিষ্ঠানের প্রতি ক্ষোভ থেকে তৈরি উন্মত্ততা ও সহিংসতা আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনবে। আন্দোলন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে এর প্রভাব পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। লুটপাট ও সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

হযরত হানিয়া রাতুল

ঢাকা

মন্তব্য

সড়কের ত্রাস ফিটনেসবিহীন বাস

শেয়ার
সড়কের ত্রাস ফিটনেসবিহীন বাস

ফিটনেসবিহীন বাসগুলো রাজধানী ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ। এই বাসগুলোর দাপটে রাজধানীর সড়কে অন্যান্য যানবাহন ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। নানা রকম ত্রুটি থাকায় সড়কে যানবাহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায়, যার ফলে যাত্রী ভোগান্তির পাশাপাশি বিশাল যানজটেরও তৈরি হয়।

বিভিন্ন পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চেকপোস্ট বসিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো জব্দ করা উচিত। ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন বাসগুলো বন্ধ করা গেলে রাজধানীতে যানজট সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। বাসগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যেও স্বচ্ছতা আনতে হবে। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অযোগ্য বাসও অনেক সময় লাইসেন্স পেয়ে যায়।

তাই স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাসের লাইসেন্স দিতে হবে।

মো. মাহিন ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূর করুন

শেয়ার
স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূর করুন

চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। খ্যাতিমান প্রভাবশালী ব্যক্তি সহজেই উন্নত চিকিৎসা পেয়ে যান, অথচ সাধারণ মানুষকে সেই একই সেবা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা এবং হয়রানির শিকার হতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবায় যে দীর্ঘসূত্রতা অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা যায়, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের সংকট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদাসীনতার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধরনের বৈষম্য কাম্য নয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ এবং জরুরি সেবা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি। ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হোক।

নুসরাত জাহান অর্পিতা

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ