<p>যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য বিভিন্ন দেশের অপচেষ্টার কাছে বাংলাদেশ নতি স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি। আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৪৫ সালের ৮ মে (মস্কো সময় ৯ মে) নািস জার্মানি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। দিনটি রাশিয়া তাদের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে।</p> <p>রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নািসবাদের পুনরুত্থান রোধ করা আমাদের কর্তব্য। সংঘাত ও চরমপন্থার মতাদর্শের কারণে অতীতে যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধের শিক্ষা এখনো প্রাসঙ্গিক। কারণ বর্তমান সময়ে এ ধরনের হুমকি বড় আকার ধারণ করেছে। সন্ত্রাস ও চরমপন্থীরা শুধু রূপান্তরিত হচ্ছে। তাদের চেহারা পরিবর্তন করছে।’</p> <p>রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৯ মে রুশ নাগরিকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আমাদের ইতিহাস বীরত্বের। কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই কোটি ৭০ লাখ রুশ নাগরিককে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।’</p> <p>তিনি বলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নই জার্মানির তিন-চতুর্থাংশ সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করে নািসবাদের বিরুদ্ধে বিজয়ে বড় অবদান রেখেছে।</p> <p>রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, হিটলার এবং তাঁর দোসররা ভেবেছিল তারা রাশিয়াকেও বশ করতে পারবে। তারা ব্যর্থ হয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমাদের মাথার ওপর শান্তিপূর্ণ আকাশ নিশ্চিত করতে যাঁরা যুদ্ধ থেকে আর ফিরে আসেননি তাঁদের বীরত্বের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’</p> <p>বাংলাদেশের প্রশংসা করে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সেই ভয়ানক যুদ্ধের ধ্বংসলীলা ভুলে যায় না। সেই ধ্বংসলীলার ঘটনাকে বিকৃত করতে কিছু দেশের চেষ্টার কাছেও বাংলাদেশ নতি স্বীকার করে না।</p> <p>রুশ রাষ্ট্রদূত তাঁদের পূর্বপুরুষদের অমর বীরত্বের কথা স্মরণ রাখার পাশাপাশি অক্লান্তভাবে মাতৃভূমির স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকারের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’</p> <p> </p>