<p>বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে জাহাজ পাঠাচ্ছে বলে বার্তা দিয়েছে মিয়ানমার। এর আগে যে প্রক্রিয়ায় বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারও তা অনুসরণ করা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরা নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। এ সময়ে সাগর অশান্ত থাকে। এদিকে বিজিপি সদস্যদের ফিরে যাওয়া নিয়ে যখন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ও প্রস্তুতি চলছে, তখন রাখাইন পরিস্থিতির কারণে নতুন করে আরো বিজিপি সদস্যের আশ্রয় নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেখানে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি একের পর এক শহর ও স্থাপনা দখল করে নিচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তের এপার থেকে বোমা ও মর্টারের গোলার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। গত দুই দিনে নাফ নদ দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে এসেছেন বিজিপির আরো ২৪ জন সদস্য। তাঁরা নাফ নদে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় নেন। এরপর তাঁদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ২৮৫। উল্লেখ্য, রাখাইনে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর থেকে প্রথম দফায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিজিপি, কাস্টমস কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তি মিলে ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পর তাঁদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাগরপথে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর গত ১১ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় ২৮৫ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাঁদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনে একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।</p>