দেশে গত মার্চ মাসে ২৪৮ কন্যাশিশু ও ১৯৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদ। দেশের ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
মহিলা পরিষদ জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে গত মার্চে মোট ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ১২৫ কন্যাশিশুসহ ১৬৩ জন; ১৮ কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়, দুই কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ও দুই কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মার্চে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১২ কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ছয় কন্যাশিশুসহ আটজন।
বিভিন্ন কারণে ৯ কন্যাশিশুসহ ৫৪ জনকে হত্যা ও দুজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৯ কন্যাশিশুসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। দুই কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, মার্চে ২১ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে পাঁচজন; এর মধ্যে দুজনকে হত্যা করা হয়। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই কন্যাশিশুসহ ১৭ জন। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন। দুজন গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ছয় কন্যাশিশুসহ আটজন অপহরণ এবং দুই কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। তিনজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এ ছাড়া চার কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।