চলতি বছর বোরো মৌসুমে চার টাকা বেশি দরে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার। ধান কিনবে সাড়ে তিন লাখ টন, আর চাল ১৪ লাখ টন। ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৯ টাকা কেজি দরে চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গত বছর বোরো মৌসুমে পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চালসহ ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি বোরো ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা দরে কেনে সরকার। ফলে এবার প্রতি কেজি ধান-চালের দাম সরকারিভাবেই বাড়ানো হলো চার টাকা হারে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সার, চাল আমদানি করে মোটামুটি আমরা স্থিতিশীল ছিলাম।
ফলে গত বছর ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আমাদের পরিপূর্ণ হয়েছে। এ বছরও আমরা ধান, চাল সংগ্রহ করব। সে লক্ষ্যে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর ৩৬ টাকা কেজি দরে বোরো ধান, সিদ্ধ চাল ৪৯ টাকা, ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। এর মধ্যে ধান সাড়ে তিন লাখ টন, সিদ্ধ চাল ১৪ লাখ টন কেনা হবে। তবে গমের জন্য কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, চাল ৪৯ টাকা ও ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। ধান সাড়ে তিন লাখ টন, চাল ১৪ লাখ টন এবং গমের জন্য কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে, তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পহেলা বৈশাখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে। ২৪ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে শুরু হবে।
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে, আশা করছি, তার থেকে বেশি উৎপাদন হবে।’