বেসরকারি পর্যায়ে শুল্কমুক্ত চাল আমদানির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই-তিন টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার দুই দফায় আমদানির সময়সীমা বাড়িয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত করে। মেয়াদ বাড়লেও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।
তাঁদের দাবি, তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ালে চাল পুরোপুরি আমদানি করা সম্ভব।
এদিকে সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় ভারত অংশে চালবোঝাই অন্তত ৫০০ ট্রাক পাইপলাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তাই ব্যবসায়ীরা পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটির দিনেও চাল আমদানি করার সীদ্ধান্ত নেন। গতকাল হিলি স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত থেকে যেখানে আগে ৪০-৫০ গাড়ি চাল আমদানি করা হতো, সেখানে ঈদের ছুটি শেষে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১২০ গাড়ি করে চাল আমদানি করা হচ্ছে।
সাধারণত আমদানি বাড়লে দাম কমে। সেখানে এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দামও। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ছিল ৫২ টাকা কেজি। এখন সেই চাল ৫৪ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এলো ৩২৫৭ টন চাল : আমদানির শেষ দিন গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন হাজার ২৫৭ টন চাল এসেছে। হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ (১৫ এপ্রিল পর্যন্ত) দেশে চাল আমদানির শেষ দিন ছিল। ভারত থেকে চাল আমদানির সময় বাড়াতে ব্যবসায়ীরা আবেদন করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বাড়ানোর কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।