সংস্কারের নামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্ব করা ঠিক হবে না। এতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে। সংস্কার ও নির্বাচনকে প্রতিপক্ষ ভাবার সুযোগ নেই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের আয়োজন করা দরকার।
নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা তার আগেই করা সম্ভব বলে মনে করেন বিভিন্ন বাম দলের নেতারা।
গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে হোটেল সারিনাতে বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাম দলের নেতারা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ’১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ চায় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার।
এখন যারা সংস্কারের নামে নির্বাচন দেরি করিয়ে গণপরিষদ নির্বাচন বা অন্য যেগুলো আনছে, তারা এন্টি ডেমোক্রেটিক ফোর্স। শেখ হাসিনাও এন্টি ডেমোক্রেটিক ফোর্স। এরাও সেই জায়গাটাতে গিয়ে দেশটাকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এটা দেশের জন্য মঙ্গল হবে না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য মঙ্গল হবে না। এটা চলতে থাকলে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, সিপিবিসহ আমরাও সংস্কার চাই। আমাদের চাইতে সংস্কার কারা চায়? আমরা এই ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে চাই। আমরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এখনকার যে নিয়ম আছে সেটা ভাঙতে চাই। কিন্তু সংস্কার ও নির্বাচনকে একে অপরের প্রতিপক্ষ যেন না বানানো হয়। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সংস্কারের কার্যক্রমগুলো কার্যকর করতে হবে। অধ্যাদেশ জারি করেও যদি সংস্কার করা হয়, সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্টে অনুমোদন করতে হবে। তা না হলে সেটার কোনো কার্যকারিতা থাকবে না।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সিপিবি, বাসদের নেতারা। গণতন্ত্র ছাড়া সংস্কার হয় না, গণতন্ত্রের পথ ধরে সংস্কার আসতে হবে।