<p>মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুইবার চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি নির্ণয় ক্যাম্প। ক্যাম্পটি পরিচালনা করে ট্রিটমেন্ট আই অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টার। এ জন্য উপজেলাব্যাপী মাইকিংও করা হয়। তাতে বলা হয়, অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হবে এই ক্যাম্প। কিন্তু বাস্তবে আয়োজকরা শত শত চক্ষু রোগীর সঙ্গে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপস্থিত হলে ক্ষমা চেয়ে পার পান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</p> <p>ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা সদরে। ওই দিন সকালে সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সরেজমিনে চক্ষু ক্যাম্পে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে তিনি দেখতে পান, হাবিব নামের একজন চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই রোগীদের ধরিয়ে দিচ্ছেন আড়াই শ থেকে তিন শ টাকা দামের একটি চশমা। সঙ্গে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন তমছম চাকমা। চিকিৎসা শেষে তিনি প্রত্যেক রোগীর কাছে বিক্রি করছেন ৫০০-৬০০ টাকার ওষুধ। এ সময় চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া তমছম চাকমার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাকসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া তমছম চাকমার চিকিৎসার নামে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে ভুল স্বীকার করে রোগীদের চিকিৎসা ফি, বিক্রিত চশমা-ওষুধের টাকা ফেরত দিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে দুজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।  এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. অনুতোষ চাকমা বলেন, ডাক্তার পরিচয়ধারী তমছমের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো যোগ্যতাই নেই। ভবিষ্যতে এমন  আর করবেন না—মর্মে ভুল স্বীকার করায় প্রথমবারের মতো দুজনকে ক্ষমা করা হয়েছে।</p>