<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট বিকেলে মিছিল নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত থানায় অগ্নিসংযোগ করে। শুক্রবার থানা চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ক্ষতচিহ্ন। থানা ভবনের পাশে আগুনে পোড়া পুলিশের ছয়টি পিকআপ, পুলিশের প্রিজন ভ্যান, ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল। ১৩ আগস্ট মনিরুল ইসলাম নামের নতুন ওসি থানায় যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল নতুন যোগদান করেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধামরাই থানার নতুন ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছয়টি পিকআপ, একটি প্রিজন ভ্যান, পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত ১৮টি মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্যান, ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, আসবাবসহ প্রায় ২০ কোটি টাকার মালপত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া তালা ভেঙে লুট করে নিয়ে গেছে অস্ত্র। এখন ডিউটি করার মতো একটি গাড়িও নেই। তবে থানায় জিডি, অভিযোগ নেওয়া ও তদন্ত অব্যাহত আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সকালে ধামরাই থানার সাবেক ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে এসআই পাবেল মোল্লা, এসআই রাজু মণ্ডল, এসআই প্রদীপ বিশ্বাস ও এসআই সুজন সিকদার কয়েকটি পিকআপ নিয়ে ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ড, ঢুলিভিটা, কালামপুর, আইঙ্গন, সীমা সিনেমা হলসহ কয়েকটি এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া শরিফবাগ এলাকায় তিনজন নারী বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় তাঁদের উদ্দেশে গুলি করে পুলিশ। ওই সময় শওকত আলীর স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার হাজার হাজার জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও পৌর ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় এ দুটি কার্যালয়ের গাড়ি। এ ছাড়া থানা ঘেরাওয়ে আসার সময় ছাত্র-জনতার ওপর হার্ডিঞ্জ হাই স্কুল ও কলেজ মোড়ে গিয়ে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে। এ ঘটনায় সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আহত সাদ এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার চার দিন পর মারা যান।</span></span></span></span></p>