সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে

  • মো. ফইম উদ্দিন, ওসি, সৈয়দপুর থানা, নীলফামারী
শেয়ার
সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে

গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সমাজের অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে এবং সংসারে তাঁদের মর্যাদা বাড়াতে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় মহতী উদ্যোগ নিয়েছে তারা। বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগানই হচ্ছে ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। তারা ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন মানবিক কাজ করে চলেছে।

গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র পরিবারের নারীদের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন প্রদান অত্যন্ত ফলপ্রসূ কাজ। কারণ আমাদের সমাজের অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে পারলে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হবে। কবির ভাষায়, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান, চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তাই নারীদের পিছিয়ে রেখে সমাজের উন্নয়ন কোনোক্রমেই সম্ভব হবে না।
সমাজকে এগিয়ে নিতে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। আর সমাজের অসচ্ছল নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন প্রদান করে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে সেই কাজটিই করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আশা করি, সমাজ ও দেশের উন্নয়ন এবং মানবতার সেবায় তাদের এই মহতী কার্যক্রম সবাইকে আরো বেশি বেশি অনুপ্রাণিত করবে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নারীদের এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক

    হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মুনতাকিম, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সৈয়দপুর উপজেলা শাখা, নীলফামারী
শেয়ার
নারীদের এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক

বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের একটি সর্ববৃহৎ শিল্প পরিবার। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ সারা দেশে নানা রকম কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সৈয়দপুরের অসচ্ছল নারীদের সেলাই মেশিন প্রদানের আগে বিনামূল্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদের এলাকার ২০ জন অসচ্ছল নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

তাঁরা দক্ষ হওয়ার পর বিনামূল্যে একটি করে নতুন সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হলো। সৈয়দপুরের অসচ্ছল নারীদের এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে উদ্যোগটি ধীরে ধীরে নীলফামারীসহ গোটা উত্তরবঙ্গে সম্প্রসারণ করা হোক। এই মহতী উদ্যোগটি শুধু অসচ্ছল নারীদের ক্ষেত্রে নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপের কল্যাণমূলক কাজগুলো আরো সম্প্রসারণ করা গেলে সমাজের সব অসচ্ছল মানুষ স্বাবলম্বী হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেলাই মেশিন পেয়ে যাতে অসচ্ছল নারীরা পেশাগত দিক থেকে আরো সমৃদ্ধ হন, সেদিকটিও ফলোআপে রাখতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে তাঁদের আরো যদি কোনো সহযোগিতা দেওয়া যায়, সেদিকটিও বিবেচনা করা যেতে পারে। অসচ্ছল মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের যেসব সহায়তা কার্যক্রম চলমান, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে—এই কামনা করছি।
আমাদের অঞ্চলে এই মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সৈয়দপুরবাসীর পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরো বেশি বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যাক।

 

মন্তব্য

অসচ্ছল পরিবারের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন

    মো. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সৈয়দপুর, নীলফামারী
শেয়ার
অসচ্ছল পরিবারের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন

বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে শীর্ষ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অনেক অনেক প্রশংসার দাবিদার। কারণ সারা দেশে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ এ দেশের নারীদের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করছে। এটির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।

সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুরে শিশু স্বর্গ বিদ্যা নিকেতনে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে তিন মাস বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। এটি তাঁদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগে নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সংসারে অর্থনৈতিকভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। বসুন্ধরার এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এলাকার ২০ দরিদ্র নারীর সংসারে পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে আশা করি।
এতে নারীরা কর্মের মাধ্যমে আয় করে সংসারে নিজেদের মর্যাদা বাড়াতে সক্ষম হবেন। ফলে তাঁদের নিজেদের যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়বে, তেমনি তাঁদের স্বপ্নপূরণে সমর্থ হবেন। জনবহুল নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা একটি শিল্প-কারখানা সমৃদ্ধ এলাকা। এসব শিল্প-কারখানায় অনেক রকম জিনিস ও যন্ত্রাংশ তৈরি হয়ে থাকে।
তাই দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে এখানে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি করার উদ্যোগ নিতে পারে বসুন্ধরা গ্রুপ। এখানে একটি স্থায়ী সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুললে এখানকার অসচ্ছল নারীরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। এখানে বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের কাজের পরিধি আরো বাড়াবে এমন প্রত্যাশা করি। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা রইল। এগিয়ে যাক বসুন্ধরা গ্রুপ, এগিয়ে যাক বসুন্ধরা শুভসংঘ।

মন্তব্য

এই মেশিন অসচ্ছল পরিবারের জন্য অনেক বড় সহায়ক

    মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সৈয়দপুর, নীলফামারী
শেয়ার
এই মেশিন অসচ্ছল পরিবারের জন্য অনেক বড় সহায়ক

সরকার দেশের অসচ্ছল মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন তথা স্বাবলম্বী করতে নানাভাবে কাজ করছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সমাজের অসচ্ছল মানুষের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এমনই একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। সমাজের অসচ্ছল নারীদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এবং বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ চমৎকার ও মহতী একটি উদ্যোগ।

মূলত সারা দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে চলেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। তারা এখানকার অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে। একটি সেলাই মেশিন প্রতিটি অসচ্ছল পরিবারের জন্য অনেক বড় সহায়ক হবে। একটি মেশিন দিয়েই ভবিষ্যতে অনেক কিছু করা সম্ভব, যদি সেটি দিয়ে যথাযথভাবে কাজ করা যায়।
জীবনযুদ্ধে সাহস ও শক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে। কর্মের মাধ্যমে নিজের জীবনে সফলতা আনতে হবে। একটি পরিবারে একজন পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি একজন নারী সদস্য আয় করলে ওই সংসারে সচ্ছলতা আসবেই। আর তখনই পরিবারের পুরুষ সদস্যের ওপর থেকে চাপ অনেকাংশে কমে আসবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমে আয় করে সংসারে সচ্ছলতা আনতে পারলেই কেবল সফলতা পাবে তাদের এই মহতী উদ্যোগ। বসুন্ধরা শুভসংঘের চলমান মানবিক কর্মসূচিগুলো আরো বড় পরিসরে ব্যাপ্তি লাভ করুক—এই প্রত্যাশা রইল।

 

মন্তব্য

আমার স্বপ্নপূরণে আর কোনো বাধা নেই

শেয়ার
আমার স্বপ্নপূরণে আর কোনো বাধা নেই
কলেজ শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী

বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পাওয়ার পর আনন্দে দুই চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছিল কলেজ শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরীর। সৈয়দপুর সরকারি কলেজে মানবিক বিভাগে ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়ছেন তিনি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় রাবেয়া সৈয়দপুর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। তাঁর বাবা সামান্য একজন দোকান কর্মচারী হওয়ায় তাঁর আয়ে ঠিকমতো চলে না সংসার।

সন্তানদের মধ্যে বড় হয়েও পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারার বেদনায় ভুগছিলেন রাবেয়া। দুই পায়ের প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্ম নেওয়া রাবেয়ার অন্তরে কষ্ট অনেক। চেয়েছিলেন লেখাপড়া শিখে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সেই কষ্ট দূর করতে, কিন্তু সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অভাব-অনটন। বাবা ঠিকমতো কলেজে পড়ার টাকা জোগাতে পারছিলেন না।
অনেক কষ্টে এইচএসসি পাসের পর এখন ডিগ্রিতে পড়ার খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। লেখাপড়ার চাপের পাশাপাশি খরচ জোটানো নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি। এরই মধ্যে সন্ধান পান বসুন্ধরা শুভসংঘের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের। ভর্তি হন সেখানে।
ওই সেলাই প্রশিক্ষণ অনেকটাই মনোবল বাড়ায় আত্মপ্রত্যয়ী রাবেয়ার। প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পাওয়ার পর তাঁর দুই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু। রাবেয়া বলেন, ‘বাবার কষ্টে ব্যথিত আমি। পরিবারের বড় সন্তান হয়েও কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না তাঁকে। অনেক চেষ্টা করেছিলাম নিজের একটি আয়ের পথ বের করার, যে আয়ে চলবে নিজেরসহ দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ।
এখন ফ্রিতে প্রশিক্ষণ পেয়েছি, সেলাই মেশিনও পেলাম। এই মেশিনের আয়ে নিজেরসহ দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাব। বাড়তি আয়ে বাবাকে সহযোগিতা করব। আমার স্বপ্নপূরণে আর কোনো বাধা থাকল না। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের জন্য অনেক দোয়া করছি আমি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ